দিনান্তের সূর্যটা ঘুচিয়েছে আলোরছটা
লালিমা পরা সন্ধ্যার গালে চুমো খেয়ে হারিয়ে যায় রাত্রির বুকে
শরতের আকাশে মেঘের শুভ্র বলিরেখা রয়েই গেছে
অপলার চোখে মুখে।
অথচ বর্ষার গানে বিরহ ঝরেনি রয়ে গেছে
জীবন নদের অনুর্বর চরের সদ্য ফোটা কাশে,
হয়তো আগামী বর্ষার শেষে শরতের দ্যুতি নিয়ে।
অপলা! আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব,
যদি সব পাখি ফিরে যায় নীড়ে
যদি সব পথিক ফিরে চলে ঘরে
যদি সব নদী ফিরে যায় সাগর তীরে
বিরহ কাতর চোখে তোমার জিঞ্জাসা ছিলো  
সব ফিরে গেলেই কি ভালবাসা ফিরে যায়?
এর উত্তর ছিলোনা জানা-আমার
আমি শুধু জানি---
রাতের গাঢ় ঠোঁটে চুমো দিয়ে ভালবাসার উষ্ণতায় ডুবে থাকা।
আশ্বিনের উদাসীন মেঘ কতোটা বেপরোয়া হয় ভালবাসায়
পারিজাতহীন মাটির বুকে নিষিদ্ধ গন্ধম ছড়িয়ে।
নিশীতের সন্ধিক্ষণে নিভৃত নিশ্বাসের ঘ্রাণ চেপে ----
কিভাবে বেঁচে থাকে নিদ্রাহীন পাখি
আদিগন্ত সাধ মাড়িয়ে সৌরভের ভেঁজা চোখে।
অপলা! আমাদের ভালবাসা না হয়,নিদ্রাহীন পাখিদের মতো বেঁচে থাক
আদিগন্তের আজন্ম সাধ নিয়ে।