কিচ্ছু কি বলার আছে? এরই মাঝে--
তন্দ্রাহীন শীতল রাত ব্যথায় ককিয়ে ওঠে চির আঁধারের যাতনায়,
অথচ দ্যাখো জীবনের কিনারে পাললিক প্রেম নোনাজলের ছটায় বিমুখ ।
এই অসময়ের অসহায় আবর্তের ঘুর্নন থেকে
মাধবীলতার মতো আমায় জড়িয়ে রেখো
যেমন তুমি আছ, ঠিক তেমনি।
সময় যায়, প্রহর কাটে নিজের নিয়মেই
অথচ দেখেছি ষোড়শী স্তনের খুঁজে বৈশাখী তুমুল রাত
ক্ষতবিক্ষত করে নিরন্ন লোকালয়ের স্বপ্ন।
দেখিছি নীড়ের খোঁজে ভীষণ তৃষ্ণায় অসহায় এক গাঙচিল
বেদনার দীর্ঘ রাত্রী শেষে ঝিমুয় পড়ে স্বপ্নীল ভোরে।
দুরের বাতাশে অসহায় চোখ কাঁদে
জলের বন্যতা নাচে ভরা লোকালয়ে ----
আসে জল, আসে প্লাবন ধূয়ে নিয়ে যায় প্রপিতামহের ভিট।
বুকের মাঝে নেচে উঠে বেদনার নীরবতা,
ভেঙে পরে পাড় ডুবে বিলিন হয়, স্বপ্নের বাগান
আহা! এ-কেমন বেদনার নীরবতা।
আমার লাঙলে রমণীর জঠরে যে বীজ বুনেছি
অতচ সে শিশুর জনক আমিতো নই।
তাই আজ কাঁদে মন
বুকের 'পরে ফাটে পাকা পেয়ারার মতো কষ্টের হলুদা'ভ
আজি শুধু  আমার সমস্ত  পরাণ জুড়ে দগদগে মৌনক্ষত।
বুকের তৃষ্ণার তিমির জেগে স্বপ্নের দিনগুলো কেনো দ্রুত মুছে যায়?
এখনো কেনো নীড়ের নিবিড় কোল জুড়ে শুধুই স্নেহহীন হাহাকার?
কারা তবে সুখী জীবনের ভোরে?
আয় পাখি আয় জীবনের মুখরতায়---
একবার জেগে ওঠো,ডেকে ওঠো কোন এক সোনালী ভোরে।
যে প্রার্থনায় হৃদয়ের রাত ছিঁড়ে নেমে আসে কষ্টের নামতা,
পাললিক মাটির সিঁথানে জমে অনুর্বর প্রেম
সে প্রার্থনার কি এমন প্রয়োজন!
নিভিয়ে দাও নিভিয়ে দাও হে পুরোহিত যজ্ঞের আগুন
যে আগুন পোড়ায়না যতো ক্লেদ হিংসা কষ্টের বহ্নি, শুধুই বাড়ায়,
এই যজ্ঞের কি এমন প্রয়োজন?
যা শুধুই নিজেকেই ছাই ভস্ম করে প্লাবনে ভাসায়,
কিসের আশায় তবুও মাঝিহীন  খেয়াঘাটে হাজারও ভীড়।
এতো কিছুর পরেও বুকের মাঝে ঢেউয়ে ঢেউয়ে বাড়ে ---
অচেনা জলের অকূল পরিধি।
হাতছানি দেয় ধ্বংস প্লাবন আর অনিশ্চিতের ভয়,
ভয় হতাশায় আজ নিজেকেই যেনো, নির্দোষ নখগুলো ক্ষতবিক্ষত করে
আজ চোখ বুঝলেই ভাসে ভিন্ন আলো ভিন্ন প্রহরে--
একজোড়া মৃত হাতের আহবান।