আমি ২০১৩ সালের ২২ জুন থেকে এই আসরে কবিতা লেখা শুরু করি। প্রথম কয়েক মাস কবিতা লেখার পর দীর্ঘ আড়াই বছরের বিরতি। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোন এক বিশেষ কারণে আমি এই আসরে অনুপস্থিত ছিলাম। এ সময়ের মধ্যে আমি একটিও কবিতা লিখতে পারিনি। এই দীর্ঘ দিন পর আবার যখন আসরে আসার সুযোগ হলো, এসে আমার প্রিয় কিছু কবিদের নাম যাদেরকে আমি অন্তরে গভীরভাবে উপলগ্ধি করি তাদের অনুপস্থিতি দেখে বুকের মাঝে বিশাল এক শূন্যতা অনুভব করছি। তখনকার নিয়মিত কবিদের মধ্যে প্রিয় কবি কবীর হুমায়ূন, কবি সাইদুর, দীপঙ্কর দা, প্রনব দা, মিমি দি, মিতা দি, পরিতোষ দা, পলক রহমান, হাসান ইমতি, নীল, বিভূদা, শক্তি কুমার, মঞ্জবাক কবি, সুখেন্দ্র দা এখনো লিখে চলেছেন। এবং কেন যেন আমার বিশ্বাস করতে ভাল লাগে, এই কজন কবির মধ্যে বেশ কয়েকজন কবি আগামী দিনে বাংলা ভাষাভাষি কবিদের মঞ্চে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দ্যুতি ছড়াবেন। আমার ভাবতে ভালো লাগে, জীবনের পড়ন্ত বিকেলে হলেও নামকরা কবি হিসেবে আপনাদের সুনাম আমি দেখে যেতে পারব এবং, সেদিন আমি হয়ত বলতে পারবো, ‘’দেখো অমুক আমার বন্ধু কবি। আমরা একসাথে একই আসরে লিখতাম’’।
এছাড়াও, আসরের অন্যতম প্রতিভাবান কবি প্রিয় কবি অরুন কারফা, এবিএম সাব্বির, আলোকিত অন্ধকার, সুশীল রায়, অভি, ফারহানা শারমিন, নাজমুন নাহার, অহনা, রুম্পা শিমুল, অজিতেশ নাগ, মহারাজ, ডিজিটাল কবি, সুবীর কাস্মীর, প্রবীর কুমার, রিয়াদ পাটোয়ারী, ভানম আলয়, রাজু আহমেদ, খান, তানিয়া, জোহরা, শ্বেতা, কাজী সাগর, সালমান মাহফুজ, ঝন্টু, আজিজুল হক রাসেল, মীর শওকত, পবিত্র, চয়ন, সরকার মুনীর, মুজিবুর রহমান, ধ্রব জ্যোতি এবং আরও যারা আছেন, যাদের নাম এই মুহুর্তে আমার মনে পড়ছেনা সবাইকে ভীষণভাবে মিস করছি। সেই সময়ের কবিদের মধ্যে এখনও যারা লিখছেন এবং যারা ব্যস্ততার কারণেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণে- সবাই যে যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। এই আসর আপনাদের ভুলে যায়নি। ক্ষুদ্র এই জীবনের চলার পথে আপনাদের মতো কিছু মানুষদের সাথে আমার পরচয় হয়েছিল বলেই হয়ত জীবনটাকে এক অর্থে সার্থক মনে হয়।