লজ্জা লজ্জা লজ্জা লজ্জা লজ্জা
প্রনব মজুমদার


(বন্ধুবর কবি শ্রী অজিতেশ নাগ এর ১৪/৭/১৩'র কবিতা
'এই কবিতার নাম দেবো না' এক অসাধারন, উদাহরনমূলক কবিতা,একজন যথার্থ কবির মতন যতদুর
সম্ভব আওয়াজ উঠিয়েছেন তিনি-কিন্তু আমি মনে করি
সমবেত কবিকন্ঠস্বরই কিছু পরিবর্তন আনতে পারবে।
কবিদের কাছে তো তলোয়ার কিম্বা বন্দুক নেই, আছে
তীক্ষ্ণ শব্দরাশি।এই কবিতাটা পরিপূরক হিসাবে ধরা যেতে পারে।
আসরের সব কবিদের তরফ থেকে পোষ্ট করলাম)


নির্ভয়ার মৃত্যুর পর--
অত্যাধুনিক হাসপাতাল,
ঢুকতেই বা দিকে
শবব্যবচ্ছেদ ঘর।
টেবিলে শোয়ানো এক ধ্বস্ত সবুজ
নীল হয়ে গেছে যাতনায়
ছিন্নভিন্ন নারীঅঙ্গ,ক্ষুদ্রান্ত্র
নরপশুরা ছিঁড়েখুড়ে খেয়েছে লালসায়।
আচ্ছা মৃতেরা কি কাঁদে
যদি তাই হয়
মূহুর্তরা কেঁপে কেঁপে উঠছে মৃতার
অনন্ত কান্নায়।


তারপর-
লক্ষ লক্ষ মোমবাতির দহন
লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদ উচ্চারণ
সারা দেশ কাঁদে ভাঙা মূর্ছনায়।
শেষমেষ বিচার সাধন
চার দোষীর সাজা বিবরন
কিন্তু হয়েছে কি সত্যি সমাপন?
উঁহু এখনো অনেক কিছু বাকী রয়ে যায়।


ঘন্টা ঘন্টা নগ্ন নারীশরীর পড়ে ছিল রাস্তায়
সময়ে হাসপাতালে গেলে,
হয়তো বা বেঁচে যেত--বলে হৃদয়।
প্রশাসনের গাফিলতি
হায়!হায়!
সবচেয়ে জঘন্য দুরাচারী ধর্ষনকারী হত্যাকারী
বয়সের দোহাই দিয়ে বেঁচে যায়।
পুরনো বস্তাপচা কানুন
হায়! হায়!
অর্থলোভী, স্বার্থপর আসামীপক্ষের উকীল
মৃত নারীচরিত্র কলঙ্কিত করার প্রচেষ্টায়
আইনের ব্যবসায়িক ধ্বজাধারী
হায়! হায়!
' ফেলানী'র হত্যাকারী এখনো কেন শাস্তির অপেক্ষায়?
মানবতা বিরোধীরা জাগো
হায়!হায়!
ভারতীয় সাহিত্যিক সুস্মিতা ব্যানার্জী'র রক্তে কলঙ্কিত
সন্ত্রাসবাদীরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়
বিশ্বসংস্থা কি  আচ্ছন্ন নিদ্রায়?
হায়!হায়!
শুনে এত শত শত হায় হায়
প্রচ্ছন্ন অপরাধীরা মুখ লুকায়,মুখ লুকায়,মুখ লুকায়
মুখ লুকায়,মুখ লুকায়...............