( শৈশব থেকেই অপরাধী দাগী নেতাদের হাতে শাসন থুড়ি দুঃশাসন ব্যবস্থায় জর্জরিত সাধারন মানুষের অবস্থার পরিনতির ব্যঞ্জনায় হিন্দি কবিতার আসরের কবি কুশল শর্মার কবিতার চেষ্টাকৃত অনুবাদ নিজভাষে....)

দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি,দৈনন্দিন শত শত সমস্যায় জর্জরিত
এক সাধারন মানুষ আত্মহত্যা মহাপাপ জেনেও
আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিলো।
বাঁধ বানাতে গিয়ে উৎপন্ন
এক ডোবার ধারে গিয়ে  দাঁড়ালো।
লোকটা ডোবার জলের গভীরতা
আন্দাজ করছিলো
সমস্যায় ভারি শরীরটা এই জলে ডুববে তো?
অলক্ষ্যে কেউ যেন বলে উঠলো-
তোর মত সাধারন মানুষের জন্য
' চুল্লু ভর পানি ' ই যথেষ্ট।
যেই না লোকটা ডোবার ধারে ঝুকলো
একটা হাত লোকটাকে টেনে ধরলো
আর হাতের পিছনের মাথাটা বলে উঠলো,
দাঁড়া আমাকে দ্যাখ-
প্রথম আত্মহত্যা কৈশোর-যৌবনের বাকে
যখন ঠাকুরের ঘট থেকে পয়সা চুরি করে
মিথ্যা বলেছিলাম মাকে।
দ্বিতীয় আত্মহত্যা যৌবনে
মন্দির যাচ্ছি বলে গিয়েছিলাম
প্রমোদহেতু পতিতা উদ্যানে।
তৃতীয় আত্মহত্যা প্রৌঢ়ত্বে
প্রায় আদ্ধেক দেশ বেঁচে দিলাম
সুইস ব্যাঙ্কের মেয়াদী খাতা ভরে দেবার শর্তে।
এতবার আত্মহত্যা করেও
দ্যাখ কেমন মজবুত আছি,
সদম্ভে হেঁটে বেড়াচ্ছি সংসদ ভবনে।
তুই একটা আত্মদুর্বল টিকটিকি মানুষ
সামান্য কারণেই মরতে চলেছিস ডোবার গহনে।
বলেই লোকটা কোথায় অদৃশ্য হয়ে যায়।
আর এইসব দাগী নেতার হাতে
জনতার ভবিষ্যত কি হবে
আর সাথে নিজের দুর্বলতার কথাটাও ভেবে
আত্মহত্যা না করেও সাধারন মানুষটা
লজ্জায় মরে যায়।।