মাটিতে ( কাব্যিকতায় )


নিরপেক্ষ আর উদার গাছেরা
মূলত সুস্থির।
তাদের অজস্র হাতগুলো থুড়ি ডালপালাগুলো
আন্দোলিত করে
রঙীন প্রজাপতি ধরে ধরে
সবুজ পাতায় রাখছিলো আলগোছে মুড়ে,
শিশুগাছরা খেলবে বলে।
রোজ নয় শুধু পূর্ণিমার রাতে এইসব হয়
যখন জোৎস্না আর জোনাকিরা গাছের তলায়
লুটোপুটি খায়।


নদীতে (কল্পনায় )


জলজ শব্দেরা নাচে ঝিনুকের ছাঁচে।
এইকথা গাঙচিল পাহাড়কে শোনায়
লুকনো পাহাড়ের গুহায়
ঘুমন্ত জলপরীরা জেগে উঠে
মেতে ওঠে নৃত্যমুদ্রায় শরতপূর্ণিমায়।


সংসারে (সাদামাটা কথায় )


দশটা পাঁচটা'র ছোটাছুটিতে ক্লান্ত
ছাপোষা মানুষ
দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা ও রাত্রির মোহনায়।
চেয়ে দেখে পৃথিবীর ঐশ্বর্য
চন্দ্রালোকিত বিশ্বচরাচর।
স্রষ্টার প্রতি, এই সবকিছু
শুন্য বিনিয়োগে প্রাপ্তির কৃতজ্ঞায়
মানুষটার মাথা নুয়ে যায়।
আর কি আশ্চর্য! মাথা নত করতেই
পাথর দেবতা বনে যায়।
আয়তনে নুড়িমাত্র
কিন্তু গদগদ ভক্তিহেতু
দৃশ্যমান হয় মহেশ্বরের মহিমায়।
        ' মানুষ একটা জটিল কবিতা
          শুদ্ধ পূর্ণিমাই তাকে সরল করে দেয় '।।