(১)
বিশাল দেশ আমাদের--
তার বিশাল মানচিত্র বেয়ে বেয়ে
আমরা নামছি--
দারিদ্রসীমা'র নীচে।
প্রধানমন্ত্রী এখন গ্রীষ্মাবকাশে
ফ্লোরিডা সি-বিচে।
মানচিত্রের মেঝেয় ছড়ানো ছিটানো
আমরা বাউন্ডুলে জনতা
যেন পড়ে থাকা ভাঙা কাপ-প্লেট।
চিৎ হয়ে পড়ে তাকিয়ে দেখছি,
নেতাদের পোয়াতির মত ফোলা পেট।
অলক্ষ্যে ঘোষিত হয়--
আমরা ঠিক নরকের মাঝখানে আছি।
(২)
লোকে বলে--একটু আগেই নাকি স্বর্গের সিংহদুয়ার,
মাঝখানে বেদীমূলে ছাইভস্ম মেখে বসে আছে
দিব্যকান্তি সুঠাম দেহাধিকারী জটাজুটধারী।
তাঁর কপালে তাকালেই বিশেষতা বোঝা যায়।
সম্পূর্ণ প্রণাম জানিয়ে নিবেদন করি--
তোমার ত্রিনয়ন এখন নিষ্প্রভ,
তাইতো আমরা পিষে যাই শোষনকারী'র যাতনায়।
স্মিত হেসে তিনি বলেন--
এখন মানুষেরা জন্তুর স্বভাব পেয়েছে
আর জন্তুরা মানুষের বেশ ধরেছে,
তাইতো আমার জ্ঞাননেত্রের আর বিশেষ প্রভাব নেই।
তবে যে আজ--
তোমার মন্দিরে মন্দিরে ভারি ভিড়,
আরে বাছা! আজকাল পূজোআচ্চা মানে জলসা
ছুটির দিন! ওরা একটু টাইম পাস করছে তাই।
হোক দুরাচারী নেতা কিম্বা আমজনতা
নিমেষে মানুষের সঠিক অবস্থান বুঝে যাই।