আমার নারীত্বকে তুমি করেছো অপমান,
কি করে তোমাকে দেই বলতো
তোমার প্রাপ্য সম্মান?
ভেবেছিলে নারী দেহটা বুঝি বা
বানিয়ার দোকানের সস্তা কোন গয়না,
ইচ্ছে হলেই হাতড়ে নেয়া যায়
দিতে হয় না কোন বায়না।
প্রতিবাদে যখনই সোচ্চার হতে চাই
মেনে নিতে চাই না আর কোন খামখেয়ালীপনা;
তখনই সালিশ বসিয়ে ফতোয়া জারী করো
ললাটে বসিয়ে দাও অপবাদ বারবনিতা।
মাথা নীচু করে হারিয়ে যাই অন্ধকারে
দ্যাখে না কেউ, করে না তো বিচার,
এ দেহটাকে নিয়ে অবলীলায়
খেলে গেলো যে দূরাচার।
বারবণিতার দেহের কি আছে আর দাম?
তার চেয়ে অধিক মূল্যবান
মুখোশে ঢাকা ভদ্রলোকের
মান আর সম্মান।
বারবণিতার অপবাদ নিয়ে যাবো না
আর অন্ধকারে হারিয়ে,
আর্তনাদে প্রকম্পিত করে আকাশ বাতাস
রেখে যাবো প্রতিবাদের চিহ্ন শুধু অভিশাপে।
তুমি মরবে জহরে কহরে,
দেখার অপেক্ষায় আমি থাকবো
অষ্টদুপুর প্রহরে।
জানি একদিন মরবে তুমি
মরতে তোমাকে হবেই,
ফলবে অভিশাপ বারবণিতার  
হও না কেন তুমি যেই।