সুপ্ত মনের বাসনা নিয়ে
কলম ধরেছিল হাতে,
কাব্য রেখে দাও দেখি গো
ভাত তুলে এই পাতে;
গামায় ওঠা কর্তার স্বরে
কাব্য ভয়ে ঠকঠকায়,
ছেলে পুলে রেখে কাব্য
ভূতে কি ধরে চাপকায়?
কলম ফেলে ধরো দেখি
মশারীর ঐ কোণাটা,
সাত সকালে বেরিয়েছি
এখন সময় রাত দশটা।
হাড় খাটুনি খেটে খুটে
আনি রোজগার করে,
বুঝবে কি তার, শুয়ে বসে
কাটাও সময় নিজ ঘরে।
নাই কাজ তাই খই ভাঁজে
কাব্য লেখে কোন ভূতে,
ঘরের লক্ষী ঘরটা ছেড়ে
দরকার কি কাব্য চর্চাতে।
কূল কিনারা হারিয়ে শেষে
কাব্য লুকায় চুলোর তলে,
আতুড় ঘরেই ইচ্ছে মরে
কাব্য কাঁদে মরণ শোকে।
জলগুলো সব যায় ধুয়ে যায়
বাসন মাজার ছাইগুলোকে,
ডাল ঘুটুনি ডালের ভেতর
ঘুরতে থাকে তালে তালে।
লংকা পিষে হাতটা জ্বলে
হাতটা তবু থেমে নাই,
কাব্য ভাবনা ঝেড়ে ফেলে
আচ্ছা করে মাছ কষাই।
মাছের সাথে বেগুন যাবে
আরো কুচো চিংড়ির ভর্তা,
ব্যত্যয় হলে কাব্য ভাবনা!
ছাড়বে না আর আজ কর্তা।
দিনের শেষে রাত দুপুরে
কর্তা পাশে নাক ডাকায়,
ইচ্ছেমতো যাচ্ছে লিখে
ভরছে কাব্য পাতায় পাতায়।
হঠাৎ করে ঘুমে ভেঙ্গে যায়
কোলের খোকার কান্নাতে
ব্যস্ত হয়ে উঠে যায় সে
ভেজা কাঁথা বদলাতে।