আমি শুয়েছিলাম চারকোণা একটা বাক্সে
সবাই এটাকে বলে কফিন,
আমার দম বন্ধ হয়ে আসতো; কিন্তু
বেরোতে পারতাম না, সেখানে ছিল না
কোন আলো কিংবা কোন বাতাস।
আমি বেরোতে চাইতাম প্রাণপণে
চিৎকার করতাম যদি কেউ এসে
কফিনের ডালাটা দেয় খুলে!
অপেক্ষায় অপেক্ষায় কেটে গেলো
অনেকগুলো দিন, অনেকগুলো প্রহর,
রাত হয় গভীর থেকে গভীর
তবু আসে না আলো ফোটা কোন ভোর।
মৃত্যুর গভীরে হারাতে যখন প্রস্তুতিটা
প্রায় শেষ; ঠিক তখনই কফিনের ডালাটা
উঠলো একটুখানি নড়ে।
চমকে উঠি আমি!
কে এলো কে এলো এই অবেলায়?
সামান্য একটা ছিঁদ্র ছিল কফিনের ডালাটায়,
সেখান দিয়ে দেখা যায় এক জোড়া চোখ।
মায়ায় ভরা চোখ দুটো বলে যায়
ইশারায় অনেকগুলো কথা,
দেয় নতুন করে বাঁচার মন্ত্রণা।
আমার হাত পা সব ছিল অবশ কারণ
আমি অনেকদিন কফিনে বন্দী।
চোখ জোড়া মনে হয় আমাকে
নতুন করে বাঁচতে শেখাতে চাইছে।
আমারও খুব বাঁচতে ইচ্ছে হলো
ঐ চোখ দুটোকে ঘিরে।
বাঁচার ইচ্ছেটা যখন তীব্র থেকে তীব্রতর
ঠিক তখনই সরে গেল চোখ জোড়া
আর শুনতে পেলাম কফিনে
শেষ পেরেক মারার নির্মম এক শব্দ।