যখন মানবতার বুকে ছুরি মেরে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে
বিজয়ের ঝান্ডা উড়াতে কাপে না এতটুকু বুক,
আমরা তখন গ্যালারিতে বসা নির্বাক দর্শকেরা
বাহ বাহ ধ্বনিতে ব্যস্ত; আহ! কি অনাবিল সুখ।
আমরা পিঠে ছালা বেঁধে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি
যাক উচ্ছন্নে সমাজ সংসার, কি আসে যায় তাতে;
আমি তো ভালো আছি আমার মতো করে,
দরকার নেই দেখার হচ্ছেটা কি গভীর অন্ধকার রাতে।
ওদিকে গলির মুখে দাড়িয়ে জীর্ণশীর্ণ দেহের এক মানুষ
ক্ষীণ কন্ঠে যখন বলতে চায় আমি সত্যকে ভালবাসি;
তখন ভ্রু কুঁচকে খুঁজতে থাকি নেপথ্যের ঘটনাটিকে
ধরে নেই ধান্ধাবাজির খেলায় মেতেছে, নিশ্চিত ধান্ধাবাজি।
এরপর শুরু হয় ছোটা তার পিছে,
টেনে ছিঁড়ে উদোম করা হয় তার জীর্ণ দেহটাকে,
তখনও আমরা কিছু সভ্যতার মুখোশধারী মায়াকান্না করি শুরু,
আহারে! সত্যকে বুঝি মেরে ফেলা হবে; কি করা যায়,
কি করা যায়, পথ বাতলে দাও গুরু।
গুরু যখন দৃঢ় কন্ঠে নির্দেশনা দেন, পথে নামো, সত্যরে বাঁচাত শুরু করো কাজ,
তখন আমরা লেজটি গুঁটিয়ে এক পা দু পা পেছনে ফেলে ভাবি
এ কেমন কথা, এ কি করে সম্ভব, কপালে চিন্তার ভাঁজ।