হেঁশেলে ঢুকেছে মেশোমশাই আজ
রসদের যোগাড় করতে,
মাসী ক্ষেপে কয় তিনকাল পর
এখানে এসেছো কেন মরতে?
অগ্নিশর্মা মেসো ক্ষেপে ওঠে, ভারী তো দেমাগ
উনুনের পরে চাল ডাল দুটো ফুটিয়ে;
দূর হয়ে যাও এখান থেকে
নয়তো দেবো ঝেটিয়ে।
হায় হায় কপাল আমার
এ কোন মরণ দশা,
মিনসে এখন উনুনের পাড়ে
উল্টোবে নাকি পাশা!
মেসোতে মাসীতে তুমুল লড়াই
পুরো পাড়া জেগে উঠলো,
তিনকাল পরে কী এমন হলো
দুজনেই এমন ফুটলো?
মেসো ক্ষেপে কয় ক্ষুধার জ্বালায়
পারি নি ঘুমুতে রাতে,
নিষ্ঠুর মাসী দু মুঠো ভাত
তবুও দেয় নি পাতে।
ভেংচি কেটে মাসী বলে ওঠে
কবিরাজের আছে বারণ,
সাত সকালে পাড়া জাগানোর
নেই তো কোন কারণ।
কাঁদো কাঁদো মেসো অনুনয় করে
মাসীর কাছে এসে,
তুমি ছাড়া বলো এই অবেলায়
কেউ কি আছে পাশে?
মাসীও কাঁদে মেসোর সাথে
কেন চাও না বুঝতে,
অত রাতে আমি তোমার কিছু হলে
কোথায় যেতাম কাকে খুঁজতে?
কবিরাজের কথা মেনে চলি যদি
তুমি আর আমি দুজন,
শেষ বেলাটা কেটে যাবে ভালো
লাগবে না কোন স্বজন।