কবিতা লিখবো? কক্ষনো না,
তবে কি ব্যাঙ্গো-বিদ্রুপে
ক্ষোভের প্রকাশ ঘটাবো?
না কি উন্মাতাল আন্দোলনে
প্রকম্পিত করে দেবো চারদিক?
না; এর কিছুই ঘটবে না আজ,
নিশ্চিন্তে থাকতে পারো তোমরা।


এমনিতেই মানুষের ভারে
ন্যুজ হয়ে আছে দেশ,
তাতে আবার মেয়ে মানুষ!
ফুঃ। গণায় ধরে কেউ?
যদিবা হতো কোন লাটের নাতি,
নিদেনপক্ষে ঐ মন্ত্রী-টন্ত্রির কেউ;
তাও না হয় ভেবে দেখা যেতো।


কোথাকার কোন কানা গলির রূপা......
মরবে না কেন বলো?
কেন বেরিয়েছিলি রাস্তায়? তাও আবার একা!
বেরিয়েছিস, বেশ!
একটু রেখে ঢেকে চল। নাহ
স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক!
এখন বোঝো, বেঘোরে গেল তো প্রাণ?
সাথে ঠুনকো মানটুকুও।


ক্ষমা করো না রূপা,
তোমার ক্ষমা আমরা চাই নি,
আর আমাদের প্রয়োজনও নেই।
শুধু সজাগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকো,
এরপর কোন রূপার পালা
তা দেখবার।


এক... দুই... তিন এভাবে ক্রমানুসারে
যেদিন কোনো লাটের ঘরের রূপা
কিংবা কোন গদিনিশিনের ঘরের রূপা
ক্ষত বিক্ষত লাশ হয়ে পড়ে থাকবে
ঐ শালবনের গহীনে,
সেদিন হয়তো তাদের টনক নড়বে।


অপেক্ষায় থাকো রূপা,
এ ছাড়া আর কিছুই করবার নাই
তোমার কিংবা আমার।