প্রেস্টিজটা আর থাকছে না দেখি
যাচ্ছে মেজাজ বিগড়ে,
ঢল ঢল যৌবনের মাতারীটাকে
ইচ্ছে করছে দিতে একটু রগড়ে।
যায়নি কো বউ আমার
ইসকুলে আজ পড়াতে,
যদি যেতো-
মোক্ষম সুযোগটা করে হাত ছাড়া
হতো না আমার কপাল চাপড়াতে।
বউতো নয়, যেন এক শকুন!
মাতারীটা ঘরে এলে-
চোখের পাওয়ার তার, বেড়ে হয় দ্বিগুন!!
মাছের গন্ধ পেলে বিড়ালটা যেমন
পতি-ভক্তে বউ আমার হয়ে ওঠে তেমন!!!
বাহানায় ঘুরি ফিরি এ ঘর, ও ঘর
পায়ে পায়ে হেটে চলে বউটি আমার।
ছেড়ে কথা বলার পাত্র নই আমি-
মনে রেখ, আনুগত্য আর  বিশ্বাসে
অতুলনীয়, তোমার এ স্বামী।
ছলে বলে বউটাকে দেই আমি সরিয়ে
ভেতরের পশুটা চলে আসে বেরিয়ে।
চোখ দুটো হয়ে ওঠে লোভে চক্ চক্
রেখেছে খুলে কে সদরের ফটক?
হুংকারে জমে ওঠে চমৎকার নাটক।
মাতারী ছুটে আসে ছেড়ে পানির কল্
জাপটে ধরে বলি- ঘরের কোণে চল্।
ছেড়া আচঁল ধরে করে টানাটানি,
ঢাকে না যে মাতারীর পোড়া দেহখানি।
চারখানা ছেলেপুলে, ঘরে লুলা স্বামী
ছেড়ে দাও সাহেব, যেতে চাই আমি।
অভাবী মাতারী! পাবি না তো ছাড়া
আর্তনাদেও তুই যাস যদি মারা।
সাহেব আর সাহেব নেই,
সেজেছে ড্রাকুলা!!!
রক্ত তোর শুষে নেবে ভরে আজলা।