পার্টিটা বেশ ভালই চলছিল
গোল বাঁধালো বুকের ব্যাথা টা
দেখছে সবাই, ভাবছে কি যেন
তারপর সব ফেলে, ধরাধরি
এসাইনমেন্ট, হাসপাতালে ছোটা।
ডাক্তার বাবু নাড়ি টিপে মাথা নেড়ে
বললে, হয়েছে বড্ড দেরী।
হঠাৎ সব গেছে থমকে
খবর চাউর হতে......
অনেকেই গেলো চমকে।
আমি এখন আমার ড্রইং রুমে
এক কোণে পেয়েছি ঠাঁই,
সাধের বেড রুমে ঢোকার
সাধ্য নাকি আর নাই।
ঐ যে মেয়ে দুটো আমার
গগন বিদারী করছে চিৎকার।
দেখছি, কিন্তু পারছি না বলতে
কাঁদিস না মা সোনারা আর।
ফুলদানী, বুক সেল্ফ, ড্রেসিং টেবিল
ডাইনিং এর পাশে ফ্রেমে বাঁধা ছবি
সযতনে রাখা আছে আলমিরাতে সব-ই
নিজ হাতে সাজানো টিপটপ ঘর
ভাবিনি এভাবে হয়ে যাবে পর।
কেউ এসে ধরলো মেয়ে দুটোকে জড়িয়ে
গ্যারেজে হবে এবার আমার ঠাঁই
সে কথাটাই হচ্ছে বলা ওদের বুঝিয়ে।
কি লজ্জা! কি লজ্জা!
আমার-ই শরীর অন্যের হাতে
নাকে কানে তুলো গুঁজে,
আতর লোবান সব কিছু মেখে
সাদা কাফনে পেঁচিয়ে শুরু হলো
আমার শেষ যাত্রার সজ্জা।
খাটিয়াতে শুয়ে আমি, টিপ টিপ বৃষ্টি
মেয়ে দুটো চেয়ে আছে অপলক দৃষ্টি।
ধীরে ধীরে এপার্টমেন্টের গেট-টা ছাড়িয়ে
এসেছি আমি অনে......ক দূর এগিয়ে।
স্যাঁতসেতে ভেজা মাটি, শুয়ে আছি চুপচাপ,
বাঁশ মাটি সাথী আমার, নেই কোন উত্তাপ।
আলো কমে ধীরে ধীরে
ধরছে ঘিরে আঁধার,
বুঝে গেছি হয়েছে সময়, দল বেঁধে ফেরার।
চলে গেছে সবাই একলা আমায় ফেলে
হিসাব কষতে কেউ ডান বামের খাতাটা
সামনে ধরলো মেলে।
ডান দিকে চেয়ে দেখি সব প্রায় শূন্য
বাম দিকে ভুলে ভরা নেই কোন পূণ্য।
ছুটেছি শুধু মোহ মরিচীকার আশে
ভাবিনি তো আসতে হবে
না ফেরার দেশে!!!