ঠাস ঠাস হাতে তালি কড়া গলায় অর্ডার
কে কি দিবি, জলদি দে,
অগত্যায় পাবি না নিস্তার।
বিদঘুটে মেকআপে ঢাকা পোড়া মুখ,
অশ্লীল পোষাকে গা রি রি করা ঘেন্না
কেন ওরা করে এমন, ভেবে পায় কান্না।
সর্পিল ঢং-এ মুচড়ে দেহখানি
শূন্য হাতে ফেরালে, করবে না দ্বিধা
ধরতে তোমার কলার,
জীবন করে দেবে পানি পানি।
কেউবা চাইছে ঢেলে দিতে গা গুলানো বমি
ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে কেউ
এই বুঝে কেঁদে ফেলে করে ভেউ ভেউ।
কি যেন ভেবে শুধু থেমে যাই আমি-
ওরাও তো ছিল কোন বাবা মায়ের সন্তান
তবে কেন পথে ঘুরে হয় শুধু পেরেশান?
মনের ভেতর প্রশ্ন জাগে-কোথায় ওদের ঘর?  
হয় না কেন আপন কারো? সবাই ওদের পর।
সভ্যতার বড়াই করে ভদ্রবেশী মানুষ,
অসভ্য, বর্বর, হিংস্র জানোয়ার
তাদের দলে দেখি না তো এমন আজব ফানুস।
রাগে, দুঃখে, ঘেন্নায় এখনই বুঝি হারাবো হুঁশ।
আজ কিংবা কাল কিংবা পরশু
ওদের সাথে তাল মিলিয়ে ঠাস ঠাস শব্দে
আমারো ইচ্ছে করে কষে চড় দিতে
সভ্যতার ঐ গালে-
অক্ষমতায় আমি বড় অসহায়, তাই
অপলক চেয়ে থাকি হয়ে নির্বাক,
বুকের ভেতর জ্বলে পুড়ে হয়ে যায় খাক।
সময়ের স্রোতে কেবল-
অভাগারা ভেসে যায় নয়নের জলে।