আচ্ছা, আমি সেই মৈত্রেয়ী দেবী
আর তুমি যদি হও বিশ্ব কবি,
কেমন আঁকা হবে অদেখা এক ছবি?
মির্চার প্রেমে ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে
ছুটেছিল মৈত্রেয়ী শান্তি নিকেতনের
সৌম্য শান্ত মানুষটির কাছে।
আমার অন্তরের রক্তক্ষরণে
লাগাতে একটু দুর্বাঘাস,
চেয়েছিলাম যেতে তোমার ঐ দ্বারে।
কিন্তু পারিনি, কেন জানো?
ভয় ছিল যদি ফিরিয়ে দাও পাছে।
অন্তরের সবটুকু ব্যথা ঢেকেছিলাম
নীল অপরাজিতার আড়ালে।
ক্লান্ত হয়ে শ্রান্ত শরীরে ধীর লয়ে
পায়ে হেটে দেই পথ পাড়ি,
মিনতি ভরা কন্ঠে ডাকি-
কবি, খোলো দ্বার, এসেছি বহু দূর হতে
আকন্ঠ সুধা পানে চাই শুধু
অচিন কোন এক দেশে যেতে।
তোমার পদতলে ক্ষণিকের ঠাই
এর বেশী চাওয়া ছিল না কোন কালে
দোহাই কবি, অন্তিম এ চাওয়াটুকু
দিও না যেতে বিফলে।