বহুদিন বহুক্ষণ কাটিয়েছি একা
নীরবে কেঁদেছি, করেছি তীব্র আর্তনাদ,
চার দেয়ালের মাঝেই ধ্বনিত হয়েছে
পায়নি বেরোবার পথ;
ভেঙ্গে গেছে পাঁজরের হাড়,
চোখ ফেটে ঝরেনি কোন জল।
হয়েছে রক্তক্ষরণ, তীব্র দহন,
বোবা কান্নায় গুমরে গুমরে মরেছি
হাতড়ে ফিরেছি আঁধারে; খুঁজে পেতে
একটা ভালবাসার হাত।
ভিখারীর বেশে ছুটে গেছি
বন্ধ দরজার কাছে;
মিনতি করেছি, আঁচল পেতেছি,
বলেছি কেঁদে কেঁদে
এক ফোটা প্রেম চাই, এক ফোটা প্রেম
তোর ঐ ভালবাসার সাগর হতে।
ক্লান্ত হয়েছি, হয়েছি পরিশ্রান্ত,
হারাইনি তবু আশা।
তারপর-
অকস্মাৎ মধ্য রাতের এক প্রহরে
খুলে গেল বন্ধ দরজার কপাট।
গৃহে তার প্রেম রাশি রাশি;
জোনাক পোকার মতো উড়ছে
সারাটা ঘরময়।
তৃষ্ণার্ত এ হৃদয় হয়ে ওঠে দূরন্ত,
দু হাতে সোনা ঝরা প্রেম
মেখে নেই চোখে মুখে।
সুজন আমার দু হাত বাড়িয়ে
মেলে ধরে ভালবাসার ডালা;
অপলক আমি তাকিয়ে দেখি
শত শত প্রেমের কণা!
সুখ! সুখ আর সুখ,
চোখে মুখে আনন্দের ধারা।
বুকে জাগে শিহরণ,
সখা আয় কাছে আয়
টেনে নিয়ে পোড়া এ মনটারে
রেখে দে তোর মনের গহীনে।
চোখ দিয়ে ছুঁয়ে দে
কান্না ভরা এ চোখ জোড়া।
অধর ছুঁয়ে দ্যাখ, কাপছে সে
হরিণ শাবকের মতো;
কান পেতে শোন
এ বুকে খেলছে এ কোন শিহরণ!