সত্যি যাদের মন ভালো নেই আসুন আমার কাছে।।
মন ময়ুরী মন আনন্দে এথায় পেখম খুলে নাচে।

মনের টনিক একটু ক্ষণিক আসুন বাকা গায়ে।
হিরন্ময় শিশির একটু ছোবেন প্রাতে মাঠে  যায়ে।।

খেতে দেব ভাপা পিঠা, দুধ চিতই আর পুলি।
পিঠার স্বাদে উড়াল দেবে হৃদয়ের দুঃখ গুলি।

দীঘির জলের সাতার দেব রাজ হংসের মতো।
আচল ছেকে পুটি  কিংবা বড়শী বাইব ইচ্ছে যতো।।।

নদীর তীরে মাঝি ভাইয়ের বাধা তরি।
আসুন তবে দুজন মিলে বৈঠা কয়েক মারি।

কৃষক ভাই দেখ ঐ আলে খাচ্ছে মজার খাবার।
কৃষাণ বধুর মজার পানতা- মরিচ চল করে দেই সাবার।

চল দুজন পেরে খাই গাছ পারা তাজা ডাব।
বকবে না কেউ মাইন্ড করবেনা ডাবের মালিক মোল্লা সাব!

খাব দুজন হাসের মাংস সাথে চালের পিঠে।
দুষ্টুমিতে জুড়ি চল চড়ি মহিষের পিঠে।

চলো দুজন চুপিচুপি বড়ই গাছে মারি ঢিল।
কুড়িয়ে নিতে কাড়াকাড়ি হৃদয়ে আনবে চিল।

কুয়োর ঐ অল্প পানি সেচে চল টাকি -কই মাছ ধরি!
বাইন মাছ ধরতে গিয়ে কাদায় হয়ে যাবে জড়াজড়ি।

চল দুজন কুড়িয়ে আনি ক্ষেত থেকে নানা শাক।
তেলে ভেজে খাব দুজন - কি স্বাদ!- শেষে ঘুমাব ডেকে নাক।

গাইয়ের দুধে চুবিয়ে দিয়ে খেজুরের মিষ্টি গুড়!
দুজন মিলে পান করে হাড়িয়ে যাব অচীন পুর!

আস একটু দানা ছিটাই কপোত-কপোতীর ঘরে।
চলো কলাই শাকের ডগা আনি একটু চট করে!

কলার মোচা, তেতুল, মরিচ, সরিষা তেলে মেখে,
শতাব্দীর সেরা চাটনি হবে দেখবে একটু চেখে!

সাউলি থেকে ধানের গোছা মলিয়ে পুটলি ভরে।
গাজী কাকার হাজের পাশে বসে খাব মনটি ভরে।

বটতলায় চাঁদের আলোয় পুথি পাঠের আসর।
ঠিক করেছি এবার দুজনেই বাজাবো পাতিলের কাসর