বৃষ্টির নতুন পানি পেয়ে,
শোল মাছের সে কি লাফ!
এই বছরে তার বিয়ে হবে,
এই বছরে ছেলের বাপ।
দাড়ি নেড়ে মাগুর মাছ এলো,
ঘটকালি তে খুব পাকা ।
ভালো পাত্রী আছে আমার কাছে,
নয়তো নিরবে একা থাকা।
মুন্সির পুকুরে পাত্রি থাকে,
গুনে মানে খুব ই ভালো।
নাদুস নুদুস শরীর তার,
চেহারাটা নয় জমকালো।
সারাদিন ই সে ভদ্র-শোল,
রাত্রি যখন নির্জন হয়।
ট্যাংরা পুটি চিংড়ি ধরে,
উদরে লুকায় - নিশ্চয়!
পাত্র শোল পাত্রীর বর্ণনা,
শোনে আর শুধু ই ভাবে।
এই পাত্রী জীবনে পেলে -হায়!
আনন্দে ই জীবন যাবে।
শোল- মাগুর তাই ঠিক করে,
যাবে তারা কন্যার বাড়ি।
এই পুকুরের পরে হাত কুড়ি,
দিতেই হবে গড়িয়ে পাড়ি।
২) শোলের বিয়ের নাচ
শোল মাছের বিয়ের খুশিতে
নাঁচে সকল মাছে।
ট্যাংরা, পুটি চিংড়ি, মৃগেল,
ডুবে -ডুবিয়ে নাচে।
বোয়াল মাছটা দাড়ি পাকিয়ে,
মারে কোমর ঝাড়া।
নাচের তোপে কাঁটায় জড়িয়ে
পুটির কাম সারা!
মুখে তুলে নিয়ে বলে শোন রে,
নাচিস তো ভালো ই।
পুরস্কার তুই পাবি জানি,
মুখ তবু কালো ই!
প্রশংসা শুনে পুটি মাছের,
নাচের বাড়ে তেজ।
শিং মাগুর আওয়াজ শুনে,
নাচায় শুধু লেজ।
লেজ নাড়িয়ে জলের কাপনে,
জেলের পরে সারা।
জাল গুছিয়ে মারলো উড়িয়ে,
হয়ে পাগলপারা।
ঢুশ মেরে তীব্র শক্তিতে,
বোয়াল হয় পার।
টাংরা পুটি আটক কতক,
বাকি পগারপার ।
সেই থেকে ই মাছের বিয়েতে
হয় না নাচ- গান।
পুকুর নদী খালি পড়ে থাকে,
কঠিন অভিমান।