আজ আরও একবার ধুলো পড়া ডাইরির পাতা খুলে,
তোর দেওয়া রক্ত গোলাপে তোর স্পর্শ অনুভব করলাম!
পাতার পর পাতা রঙিন শব্দে বন্দি ভালোবাসায়,
তোকে কলঙ্কিনী রাধা রূপে দেখলাম !
তাৎক্ষণিক মনে হল মান অভিমানের পালা শেষ,
এবার শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাস!
কিন্তু বাস্তবতা যখন চোখের সামনে ভেসে উঠলো,
তখন বুক জুড়ে শুধুই নিরাশা আর হাতাশা,
আমার সমস্ত সুখ স্মৃতিকে ক্রমশ গ্রাস করে,
মরুভূমির মরিচিকা করে তুলতে চাইলো!
তাই বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে এই সামান্য চিরকুটে,
আমার সকল সুখ স্মৃতি তোর জন্য বন্দী রইল।
কোনদিন যদি ফিরে আসিস এই নষ্ট নীড়ে, সেদিন নাহয় খুলে দেখিস,
বুঝবি রে সখি সেদিন, প্রেম যাতনা কাকে বলে।
দেখতে পাবি কত অন্যায়কে প্রশয় দিয়ে,
আমাকে ভেঙেচুড়ে তুই গিয়েছিলি চলে,
জানি সেদিন তোর আমার জন্য অনুশোচনা হবে,
নিজেকে বারবার অপরাধী মনে হবে।
ইচ্ছে হবে হেমলোকির সন্ধানী হয়ে,
আর একটা শ্মশানমুখী লাশ হয়ে শায়িত হতে এই ভবে।
না সখি না! ভালোবাসা তো মরণেই শেষ নয়,
তবে কেন আরও একটা অন্যায়কে প্রশয় দেওয়া ?
ভালোবাসা তো ব্যাকুলতার মাঝে অকুলতা,
অন্তর আত্মার সাথে পরমাত্মাকে কাছে টেনে নেওয়া !
তাই যদি পারিস এই চিরকুটে বন্দি ভালোবাসা নিয়ে,
আরও একটি প্রাণের জন্ম দিতে, আরও একটি মানুষকে সুখ দিতে,
তবেই বুঝবো সখি ভালোবাসা কারে কয়।
ভালোবাসা হয় অন্তরে, দুটো শরীরের মিলন নয়!