সুকান্ত পাল -এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে সুকান্ত পাল -এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:7d185313-565e-4d50-be79-02a6df9502c9;id=772024-03-29T08:15:54Zhttps://www.bangla-kobita.com/8348036359/prem-doj/প্রেম ডোজ 2024-03-29T02:38:17-04:002024-03-29T06:58:24-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এই ফুল পৃথিবীর বুকে আমরা সবাই মালি--<br />কেউ রূপালি কেউ আম্রপালি কেউ যে বনমালী!<br />কেউ দুরন্ত কেউ অনন্ত কেউ-বা হৃদয় মনোহর!<br />কারও ফন্দি কেউ বন্দী, জীবন যেন খেলাঘর!<br />যা নয়! - তাই'ই হয়! - তবুও তুমি বর্নময়--<br />অতি বুদ্ধি হোক শুদ্ধি, - মানুষ তোমার পরিচয়!<br />মান পাক হুঁশ থাক -- রাম রাবণের ছায়ায়--<br />কামী মিতা রন্ধ্রে সীতা - নির্ভয়া দ্রৌপদী মায়ায়, <br />কে কৃষ্ণ? কে সহিষ্ণ? কেইই-বা তুমি সদানন্দ?<br />যে অলীক! সে মালিক! - অদ্ভুত এক আনন্দ।<br />তুমি ঈশ্বর, হবে নশ্বর! -- ঘুমন্ত নীল শরীর--<br />স্মৃতিরা আসে স্বপ্ন ঘাসে, - খোঁজ মায়া পরীর--<br />এলোকেশী চুল পাহাড়ী ফূল - শুরু প্রেম ডোজ!<br />কবিতা বোঁঝা আমিত্ব খোঁজা, আমি যে নিখোঁজ!<br />তবু ফুল পৃথিবীর বুকে আমরা সবাই মালি--<br />কেউ রূপালি কেউ আম্রপালি কেউ-বা বনমালী!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/emon-jodi-hoto/এমন যদি হতো 2024-03-28T08:36:28-04:002024-03-29T04:17:50-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আচ্ছা-- এমন যদি হতো--<br />বাইক থামিয়ে রবীন্দ্রনাথ সপিং মলে যেতো!<br />থাকতো যদি স্মার্টফোন, - সঙ্গে জিও ভোডা!<br />অ্যালকোহলিক কবি মনে, বরফ কিংবা সোডা।<br />পরতো যদি ল্যাদার জ্যাকেট, বাঁধতো যদি চুল,<br />গান্ধীবাবু লজ্জা পেয়ে, পাকিয়ে দিতো গোল!<br />জিন্স-প্যান্ট আর টিশার্ট গায়ে হনহনিয়ে চলে--<br />আচ্ছা করে পূজো প্যান্ডেল দেখতো সদলবলে।<br />কি আর এমন হতো--<br />বাইকে বসেই রবীন্দ্রনাথ মোমো কিনে খেতো।<br />থাকতো হাতে ট্যাটু আঁকা, রুমাল বাঁধতো হাতে,<br />কবিতা কি আসতো? - " পিঁপড়া কাঁদে পাতে "!<br />রবীন্দ্রনাথ জন্ম হয়না, - তৈরী করতে হয়--<br />বুঝেই ছিলেন ঠাকুরবাড়ি - মিথ্যে মোটেই নয়।<br />চাইনা আমরা রবীন্দ্রনাথ, - চাইছি ঘোড়ার ডিম,<br />প্রতি ঘরে বাড়ছে, -- শুধুই রক্তপাগল ভীম!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/ovishap/অভিশাপ 2024-03-27T15:04:14-04:002024-03-29T02:29:57-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>কুসুমের ঘুম নেই! - সারা নিশীভর--<br />সুবাসিত করে রাত, - নেই অবসর।<br />আমিতো কুসুম নই! - কেনই-বা জেগে--<br />হেঁটেচলে পথ খুঁজি, - একাকী নিরবে? <br />পাখিদের ঘুম নেই, - নিশী বয়ে যায়--<br />গানে গানে মতোয়ারা, - আঁধারের গায়।<br />আমিতো পাখি নই, - কেনই-বা তবে--<br />জেগে থাকি সারারাত, - একাকী নিরবে?<br />তারাদের ঘুম নেই, - আকাশের গায়--<br />রাতের সঙ্গী হয়ে, - জাগে পাহারায়।<br />আমিতো তারা নই, - কেনই-বা তবে--<br />জেগে থাকি সারারাত, - একাকী নিরবে?<br />আমিতো শিশির নই, - মুক্তমনা হাসি--<br />মেঘ বালিকার দেশে - কেনই-বা বনবাসী?<br />আমি যে নিশাচর, - সারারাত জেগে--<br />স্মৃতিদের ছেঁড়া জল - তবু মহাসুখে।<br />কেমাকের গাঢ় ধোঁয়া, - বিষাক্ত মানুষ--<br />কফিনের বন্দী দশা! - জীবিত চাক্ষুষ।<br />নাটকের শেষ দৃশ্য; - ধুয়েমুছে সাফ--<br />মানুষ জন্ম আমার, - শ্রেষ্ট অভিশাপ!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/durgapuja/দুর্গাপূজা2024-03-26T12:41:35-04:002024-03-27T15:12:07-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে, ঠাকুর উঠোনে বাস।<br />খেটে খেটে হাড় কালি তার হচ্ছে বারোমাস।<br />মা মরেছে বাপ ছেড়েছে, কেউ রাখেনি কাছে!<br />অর্ধ নগ্ন দুর্গা এখন, -- কামীর চোখেই ভাসে।<br />সূর্য ওঠে ডোবে আবার, চাঁদের যত বায়না! <br />নির্জন রাতে ভয়ের বন্যা, - আসে যদি হায়না!<br />লাল পলাশে আবির রাঙা,- মুখখানি তার বেশ!<br />রুক্ষ হৃদয় জীর্ণ বস্ত্রে,-- কামিনী কালো কেশ।<br />দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে ঠাকুর উঠোনেই বাস,<br />খেটে খেটেই হাড় কালি তার, হচ্ছে বারোমাস।<br />কফির ধোঁয়া প্রেমের ছোঁয়া, রঙ লাগেনি মনে।<br />হিষ্টপুষ্ট নাদুস নুদুস শরীর ঢলা জোয়ার যৌবনে<br />সত্যি যেদিন হায়না এসে, - রক্ত মাংস খেলো--<br />যাবার আগে হাড় কঙ্কালে বীজটি পুঁতে গেলো!<br />দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে ঠাকুর উঠোনে বসে,<br />ধন্যি মেয়ে জন্ম তাঁহার, -- শিশির ভেজা ঘাসে।<br />সুপ্ত বীজ পূজা নামে, -- আজ ইস্কুলেতে পড়ে!<br />রাস্তা ঘাটে বিপর্যস্ত সে, ধূর্ত লোকের কুনজরে।<br />নেই তো দুমুঠো ভাত জোগান সময় অসময়!<br />থাকার মধ্যে আছে শুধু, -- নারী শরীরে ভয়।<br />এক পেট ক্ষুধা তবু, -- পূজা নেশায় ছোটে--<br />বন্ধ্যা মাটিই বীজ রোপণে অনাহারে দিন কাটে.<br />অথচ কত ভাতের ছড়াছড়ি, কেন পায়না তবে?<br />কিসের জন্য ঘরে তবে আজ দূর্গাপূজা হবে? <br />বাঁচাতে হবে নারী সম্মান, - দুর্গা পূজার নামে-- <br />প্রয়োজন তো অধিক আজ, শহর কিংবা গ্রামে।<br />দুর্গা মোদের পাড়ার মেয়ে ঠাকুর উঠোনে বাস<br />খেটে খেটে হাড় কালি তার হচ্ছে বারো মাস।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/adorsho-premlipi/আদর্শ প্রেমলিপি 2024-03-24T18:32:02-04:002024-03-27T14:02:33-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>মায়া বনে মৌ, - সে যে পারস্যের মুন্নি--<br />মীরজাফরের রুদ্ধ হৃদয়ে এক মনোহরা তন্বী।<br />জলসা ঘরে আজ নটি বিনোদিনীর বুক চিরে,<br />এক পশলা প্রেম গড়িয়ে নিচ্ছি কাঁচের গ্লাসে।<br />রঙিন জলে জলদস্যু - ঘোলাটে চোখের লালে, <br />বিলি কেটে হেঁটে ফিরছি কামিনীর কালো চুলে!<br />বিদিশার আম নিশা যেন সে হরিণী চোখ মেলে,<br />ইতিহাস লিখছি আবার, আমি যে দামাল ছেলে<br />প্রেমিক তবুও স্বার্থপর, - কেউ তো রাখেনি মনে,<br />সিংহাসন আমার ছিল, - লোভ লালসা গহীনে!<br />তুরুপ নাচে নটি'ই নাচে - যেমন নাচে রাই!<br />পতিত পাবণ অকাল শ্রাবণ, - মানুষ চেনা দায়!<br />চাঁদের গায়ে চাঁদ'ই লাগে, - জলেও লাগে ঘোর,<br />আসল নকল সময় রাগে - সমাজ সাজে চোর !<br />কৃপণ বাবু নিপূণ তবু, -- গোড়ায় রাখেন গলদ!<br />ভাবের পুঁথি সূক্ষ্ম অতি, - মানুষ চেনায় বলদ।<br />নাটোরের বনলতা সেন আজ সে মায়া বনে মৌ,<br />বৃদ্ধ বুকে জাফর সুখে, -- এখন মুন্নি বেগম বৌ।<br />তুরুপ নাচে'ই নটি নাচে - যেমন নাচে রাই!<br />পতিত পাবণ অকাল শ্রাবণ, - মানুষ চেনা দায়!<br />মায়া বনে মৌ, - এখন সে যে পারস্যের মুন্নি--<br />মীরজাফরের রুদ্ধ হৃদয়ে কোনো মনোহরা তন্বী।<br />জলসা ঘরে আজ নটি বিনোদিনীর বুক চিরে,<br />এক পশলা প্রেম গড়িয়ে নিচ্ছি কাঁচের গ্লাসে।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/jalyfishh/জেলিফিশ 2024-03-24T01:25:10-04:002024-03-25T00:59:18-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এপাড়ে বস্তা পঁচা মৃত মানুষের ভীড়--<br />ওপাড়ে মানব শূন্য মায়া বনে মৌ, প্রশান্তির নীড়!<br />মাঝখানে অভিমানী চপলা যুবতী নদী ঢল ঢল<br />চলো ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে নিই, মন যে বড় চঞ্চল!<br />কারো কাছে সঞ্জীবনী, কারো কাছে অমৃত সুধা।<br />পুরুষ নামে যৌন ব্যাবসায়ী যেন শরীরের ক্ষুধা!<br />দূরের চাঁদ তো সুন্দর কাছে গেলে নুড়ি কাঁকর!<br />তুমি পাহাড় হতে গিয়েও হলে এক শক্ত পাথর!<br />এপাড়ে আমি আর ওপাড়ে তুমি মায়া বনে মৌ<br />নাটোরের বনলতা - কেন হলেনা বৌ-কথা-কও;<br />বিষাক্ত নখে নেইলপলিশ দিয়ে ঢাকি অধিবিষ !<br />মায়া বনে মৌ সেজেছে আজ প্রকাণ্ড জেলিফিশ <br />এপাড়ে সেই বস্তা পঁচা মৃত মানুষের ভীড়--<br />ওপাড়ে আজও শূন্য মায়া বনে মৌ, প্রশান্তির নীড়!<br />মাঝখানে অভিমানী চপলা যুবতী নদী ঢল ঢল<br />চলো ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে নিই, - মন বড় চঞ্চল!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/maya-bone-mou/মায়া বনে মৌ 2024-03-22T19:59:28-04:002024-03-26T03:23:20-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>হঠাৎ করেই প্রশ্ন করলেন--<br />" অহেতুক, -- এই কাঁটাতার কে দিয়েছে?<br />আচ্ছা বাঙালির কি কোনো ভাগ হয়? "<br />সবিনয় উত্তরে কবি বলিলেন--<br />ওরা তো কাঁটাতারেই সর্ব স্বার্থ সুখী হয়েছে!<br />বাঙালি এক ও অদ্বিতীয়, - ঘটি বাটি কিছু নয়!<br />আমি বললাম--<br />নির্বাক বন্ধু যেন সে ল্যাম্পপোস্টের সমান!<br />বকবক করা বন্ধু তো প্রেমীর ওই ভগ্ন হৃদয়!<br />আমরা শুনলাম--<br />পৃথীবিতে প্রেম নেই, -- উপলদ্ধি নাকি অনুমান?<br />বয়সী চোখের ছাপেই অশ্বত্থে নব বসন্ত উদয়!<br />কবি বলিলেন--<br />হিমালয় সম চিরদিন - শুভ্র তুষার তোমার হোক!<br />তুমি নাহয় বৃষ্টির ফোঁটা ধরেই উঠে এসো---<br />ওপার বলিলেন--<br />আমি যে বন্ধুহীন - মনের মাঝে গভীর শোক!<br />মিথ্যে মায়ায় বাঁধতে চাইনা, বৃথা ভালোবাসো?<br />প্রেম তো ঠিক এভাবেই হঠাৎ করে আসে--<br />এপার থেকে ওপারে, প্রেম যে অনন্য ইতিহাসে।<br />নাটোরের বনলতা, - আজ সে মায়া বনের মৌ--<br />না পেলো জীবনানন্দ, - না সাজলো কবির বৌ!<br />আমি তো সুনীল নই, - মীরাও তো আমার নয়--<br />আমি যে নির্ভয়, নেইতো কিছু হারানোর ভয়!<br />লাল শাড়ি, চুড়ি, বৌ, ওড়না সব আছে পড়ে!<br />প্রেম পাখি দানা খেয়ে আজ ফিরে গেছে বনে। <br />না পেয়েছি প্রেমিক ভালা, -- না পেয়েছি বর!<br />তুমিই আল্লাহ তালা, - আর আমি জীবন্ত ঈশ্বর!<br />না আছে আমার আকাশ, - না আছে ঠিকানা!<br />না আছে মনে বিশ্বাস, - না আছে রঙে কল্পনা!<br />আছে শুধু মুখোশ, - বিলাসিতায় চিঠি নিখোঁজ,<br />বিষণ্ণ খঞ্জনার আক্রোশ - দীর্ঘশ্বাসে ভরা বোঝ!<br />নাটোরের বনলতা, - আজ সে মায়া বনের মৌ--<br />না পেলো জীবনানন্দ, - না সাজলো কবির বৌ!<br />আমি তো সুনীল নই, - মীরাও তো আমার নয়--<br />আমি যে নির্ভয়, - নেইতো কিছু হারানোর ভয়!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/bonoful/বনফুল 2024-03-22T01:56:09-04:002024-03-23T09:47:39-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আমাদের ছোটো গাঁয়ে, - প্রাচীন সেই স্কুল,<br />গুটি কয়েক শিক্ষক - ভবন যেন হাউস ফুল!<br />চকচকে ঘর বাড়ি -- ধকধকে বোর্ড যার!<br /> নিক নামের কারিগর -- শিক্ষায় মুখ ভার!হুটোপুটি তো রোজকার - ঠেলা ঠেলিও লাইনে!<br />খ মানেই ভুলে বেশ -- পড়ুয়ারা আজ নাইনে!<br />দাদা দিদির পাশে বসেই কেটে যায় সারা বেলা, <br />নিলামে ওঠে শিক্ষা - জানিনা এ কেমন খেলা?<br /> মঙ্গলে ডিম হয় -- তাই লাগে ভীড়!<br />স্মার্টফোন ব্যাগে থাকে -- যেন স্বপ্নের নীড়।<br />বছর শেষে মোটা টাকা, প্রকল্প হাতের মুঠোয়!<br />বানভাসি শিক্ষা ডুবি, আঁকড়ে বাঁচি খড়কুটোই।<br />কবেকার সেই দিন -- চোখে সব ঝাঁপসা!<br />এসি চাই এইবার -- ফ্যানের হাওয়া ভাঁপসা!<br />ডিজিটাল হতেই হবে -- ভেবে দেখুন এবেলা!<br />অধুনিক এই বেশ, ঘনিয়ে আসে সাঁঝবেলা।<br />শিক্ষক পরেই আসুক -- আগে হোক ইমারত! <br />সে বিচারে তিন তল -- নিকেতন এ যাবৎ। <br />খোলা মাঠ জুড়ে আজ - ধোঁয়া ভাসে অবিরত!<br /> সময়ের ঘেরাটোপে গল্প লেখা হয় কতশত।<br />গরমিল থেকেই যায় -- ঘুণে খায় চাল সব!<br />সাদা নীল পোশাকে -- বয়ে চলে শিক্ষার শব।<br />সব দেখেও চুপ থাকে শিক্ষিত -- বকে যায় মূর্খ,<br />শব্দের অপচয় শুধুই -- বেড়ে যায় যুক্তি-তর্ক!<br />যুক্তি নয় মুক্তি চাই - তাই লড়াই হোক রাজপথে<br />মানুষ তো মানুষের'ই কবর দেয় নিজের হাতে--<br />লেলিহান শিখায় পোড়ায় তার সাধের দেহটা--<br />তবে লড়াই হোক -- মুছে যাক এ অরাজকতা!<br />মিছিলের পায়ে পথ -- হেঁটে যায় কচিফুল!<br /> নীতিহীন রাজপথে আঁকা হয় বনফুল!<br />ইতিহাস সাক্ষী -- হোক সে যতই বড়ো বীর!<br />সময়ের ব্যবধানে পরাজয় -- খুঁইয়ে যায় শির!<br />.<br />.<br />.<br />বিঃ-দ্রঃ -- আপনার মনের কথা কিংবা কবিতা ভালো লাগলে একটু প্রতিবাদ চাই,,,,<br />শিক্ষার উন্নতি চাই, প্রকৃত শিকক চাই......</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/kimpurush/কিম্পুরুষ2024-03-21T04:08:10-04:002024-03-22T01:40:47-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এক নারীর জঠর যোনি পথে এসে--<br />আর এক নারীতে যৌন মিলন শেষে!<br />আমি সেই পুরুষ! - অযথা প্রেমিক নামে,<br />আমি যে কিম্পুরুষ! -- এক নারী জানে,,,<br />বিষাক্ত নখে, -- বুকের আঁচড় কাটা আমি--<br />প্রেম সমীকরণ লিখি, -- " শরীর প্রেমে দামী "! <br />আমি তো পুরুষ! -- হতেও পারি প্রেমী--<br />নপুংসক সমাজ ঘরে, -- আমি অনন্য সংগ্রামী!<br />চৈতি বিকেলের বুকেই, -- লিখতে পারি গান!<br />এক নারীর সুখেই, -- দেহ গঙ্গায় স্নান।<br />তবু আমি পুরুষ, -- কালবৈশাখী হতেও পারি,<br />অভিশপ্ত রাতের গল্প বিদূষী এক নারী!<br />কামনার কড়া আগুনে, পোড়া চুল্লীর দাবদাহে,<br />এক নারী সর্বশান্ত! -- ধর্ষিত জীবন প্রবাহে!<br />তবু সেই পূরুষ, - মৃত মনের দেহে,<br />বেঁচে থাকে প্রাণে! - নিছক নিশ্চিন্ত নিঃসন্দেহে</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/soudagor/সওদাগর 2024-03-20T00:58:36-04:002024-03-21T04:02:06-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>চার দেওয়ালে বন্দী - দুটো ক্ষুধার্ত শরীর,<br />লুম্পেন চোখের কবলে লুন্ঠিত দেহ মন্দির।<br />চাঁদের গায়ে চাঁদ - তবুও চাঁদ'ই সাক্ষী!<br />কুচক্রী চক্রবুহের ফাঁদ - লুন্ঠিত হবে লক্ষ্মী।<br />লিপলক প্রেম সন্ধী - সঙ্গমের খেলা নিত্যদিন!<br />আমি প্রেমিক বিবেকহীন, প্রেমিকা যেন অর্বাচীন,<br />বিছানায় ক্লান্ত শরীর - ঊষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া!<br />শিরা উপশিরায় শিহরণ - অদ্ভুত প্রেমের মায়া।<br />তুমি দিও কিছু - আমিও দেবো কিছু;<br />তবে'ই জন্ম নেবে - ছোট্ট এক শিশু।<br />তাই আকাশ চিনে - ওড়াই আবেগী ঘুড়ি!<br />এখন পাথর চিনে - কুড়াই পথের নুড়ি!<br />আমি যে জাদুকর - আমার বেশ বাহাদুরী;<br />নৈতিক নাগরিক প্রভাকর - প্রেম সওদা করি।<br />বাণিজ্য নগর পথে - মণি, মুক্তা খুঁজি!<br />আমি প্রেমিক সওদাগর - শুধু শরীর বুঝি!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/choruivati/চড়ুইভাতি2024-03-19T02:29:43-04:002024-03-21T03:59:45-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>প্রেয়সী,<br />হয়তো তুমি'ই--<br />নয়তো কেউ না!<br />এই যে হাসতে দেখো,<br />এক সুরে আমায় গাইতে দেখো,<br />অনেক কথায় মুখর হতেও দেখো তুমি!<br />তবুতো কখনো দেখো না হাসির শেষে নীরবতা।<br />খোঁপা খুলে তোমার ঐ চিতল পিঠের উপর,<br />আছড়ে পড়া চুলের মতোই বৃষ্টি আজও, <br />উষ্ণতার আলিঙ্গনে এই ব্যাস্ত শহরে,<br />মানুষী তোমার শরীর ছুঁয়ে,<br />কিংবদন্তির এই শহরে,<br />আমি বহুরুপী।<br />আজও <br />হঠাৎ করেই--<br />শহরে বৃষ্টি এলে!<br />মন যেন কেমন করে।<br />খুব করে ভিজতে ইচ্ছে হয়,<br />একলা একার একাকী নিশি রাত ভোরে,<br />আবার তুমি অন্ধকার পথ ধরেই হেঁটে এসো।<br />বিষন্নতার দুপুর ফল্গু রোদে পুড়ে যাওয়া শরীর,<br />চিকন ঠোঁটের উ্জ্বলতা চাতকের মতো তৃষ্ণার্ত,<br />নদীর তীরে কুড়িয়ে পাওয়া 'কুচ',<br />সময়ের বাতিঘরে বিলুপ্তির পথে,<br />ছদ্মবেশীর আখড়ায় অর্বাচীন,<br />জনতার উল্লাসে,<br />চড়ুইভাতি!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/ekhon-choitro-maash/এখন চৈত্র মাস 2024-03-18T00:56:47-04:002024-03-21T03:58:21-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এখন চৈত্র মাস--<br />ফাগুন সরিয়ে, আগুণ বুকে, রোদেলা আভাস!<br />এখন চৈত্র মাস--<br />বিষণ্ণ দুপুর, নীরব যেন, একাকীত্বের দীর্ঘশ্বাস!<br />এখন চৈত্র মাস--<br />শিকারী তুমি, শিকার আমি, ভাগ্যের পরিহাস। <br />এখন চৈত্র মাস--<br />রুক্ষ বাতাস, পাতা খসানো, স্বর্গীয় অভিশাপ।<br />এখন চৈত্র মাস--<br />চৈতি পাগল, চাতক মনে, বৃষ্টির অনুতাপ। <br />এখন চৈত্র মাস--<br />শিমুল পলাশ প্রেমে, - গোলাপ হোক ইতিহাস!<br />এখন চৈত্র মাস--<br />আমের মুকুল আর, - মাছিদের মৌন সহবাস।<br />এখন চৈত্র মাস--<br />শক্ত মাটির বুকে, - সবুজ ঘাসের পরবাস।<br />এখন চৈত্র মাস--<br />আবির রাঙা, একুশ বসন্ত, রঙীন ক্যানভাস। <br />এখন চৈত্র মাস--<br />মানুষ কিন্তু জানে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বভাস। <br />এখন চৈত্র মাস--<br />তবু তোমার পৌষ, - আর আমার সর্বনাশ!<br />এখন চৈত্র মাস--<br />তুমি ছোটো গল্প, -- তবুও লিখছি উপন্যাস।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/ekti-gach-jodi-hoi-ekti-pran/একটি গাছ যদি হয় একটি প্রাণ 2024-03-16T18:38:12-04:002024-03-18T14:57:47-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>একটি গাছ যদি হয় একটি প্রাণ--<br />কেন তবে তরুদলের এই নির্মম বলিদান?<br />কুড়ি বসন্ত অপেক্ষায় বেড়ে ওঠা অটবি,<br />কুঠার আঘাতে নিমিত্তেই লণ্ডভণ্ড ছিন্ন বিটপি!<br />মাথার ওপর থেকে উঠে আসে ছায়ার আচ্ছাদন<br />রোদে পোড়া পরিবেশ জুড়ে বাড়ে বিশ্ব ঊষ্ণয়ন!<br /> <br />একটি গাছ যদি হয় একটি প্রাণ--<br />বৃক্ষ ছেদন মানুষের বুকে লালসার প্রতিদান!<br />দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে, - মাটি দূষিত হচ্ছে,<br />পথিক জনের ছাতা, - বটবৃক্ষ সেও ধুঁকছে,<br />চোখ থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে সবুজের সমারোহ<br />তাই একটা নয়, - বৃক্ষ রোপণ করি অহরহ!</p>
<br /><p>একটি গাছ যদি হয় একটি প্রাণ--<br />তবুও গায়না কেন ঐ গাছেদের গান ?<br />ফুল, ফল, কাষ্ঠ, ছায়া -- আরও কতশত,<br />পরমবন্ধু কোথায় পাবে ঐ গাছেদের মতো?<br />বিষ বাষ্প ছড়িয়ে পড়ছে মুক্ত বাতাসের বুকে,<br />বাঁচতে চাইলে এখনই তুমি গাছ লাগিও সুখে।</p>
<br /><p>একটি গাছ যদি হয় একটি প্রাণ--<br />তবে কেন গাছেদের সেই আত্ম বলিদান?<br />মধু, ধুনো, ভেষজ উপাদান সবটুকু জুড়ে,<br />দাঁতের মতো শিকড় সন্ধানী মাটির বুক খুঁড়ে,<br />পায়ের তলা থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে মাটি,<br />ইচ্ছে হলে গাছ লাগাবো আরও বেশ কয়েকটি।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/choitonno/চৈতন্য 2024-03-16T05:10:12-04:002024-03-21T06:19:42-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>একটা জ্বলন্ত মোমবাতি আর আমি,<br /> ভিন্ন এক নীল গ্রহে একাকী,<br /> এক দমকা হাওয়ায় আমি সর্বগ্রাসী,<br /> নিভে যায় জীর্ণ পৌড় বয়সী।<br /> হামাগুড়ি দিয়ে হানা দিয়ে যাওয়া,<br /> আঁধারে আমার তো কুকুর হওয়া!<br /> এ-ঘর থেকে ও-ঘরে ছুটে গেছি।<br /> মৃত গন্ধে ধ্বংসস্তূপের বুকে আমি,<br /> মুখ গুঁজে গুঁজে খুঁজে ফিরেছি,<br />মাংসের টুকরো কিংবা উচিষ্ঠ পরমান্ন।<br /> তুমি বিদুষক - আমি যে অপরাহ্ন!<br /> বাকি সব স্বার্থ লোভেই চৈতন্য।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/voy-bhoy/ভয় 2024-03-15T01:24:47-04:002024-03-22T06:30:09-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>সত্যি বলছি, -- <br />এই যে, - তোমার সঙ্গে আর কোনোদিন,<br />আমার দেখা, - কিংবা কথা হবে না!<br />এসব ভেবে--<br />আমি তো, - কখনোই ভয় পাই না!<br />ভয় তো আমার তখন হয়,<br />এরপর থেকে যখন তোমাকে,<br />আর কিছুতেই ভুলতে পারবো না!<br />দিনে-রাতে, উঠতে-বসতে, শয়নে-স্বপনে,<br />শুধু তুমি, -- আর তোমার স্মৃতির পশরা!<br />সব বৃষ্টির মত ঝরে পড়বে সিক্ত চোখের ভাঁজে,<br />ওষ্ঠ চিবুক বেয়ে নিমিত্তেই কঁচুপাতার ন্যায়,<br />গড়িয়ে পড়বে, -- দুপায়ের ওই ফাঁকে।<br />ভয় তো আমার তখন হয়!<br />দ্রোহী, বিদ্রোহী, বীরাঙ্গনার ভাষা যদি,<br />এক পথে আস্ত একটা নদী যদি হয়ে যায়। <br />ভেঁপুর শব্দে তুমি আবার যদি মাতাল হও! <br />তাই ভয় হয় -- ভয় তো আমিও পাই ---</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/abahoman/আবহমান 2024-03-14T05:20:26-04:002024-03-15T04:37:19-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>যেদিন আমি ছোট্ট শিশু ,<br /> মায়ের কোলে শুয়ে !<br />সবার চোখে আমিই যীশু ,<br /> পা পড়েনি ভুঁয়ে !<br />যেদিন আমি খোকা হলাম ,<br /> বাবার কাঁধে চড়ে !<br />জীবন চলার বন্ধু পেলাম !<br /> সুখের বেলা উড়ে !<br />যেদিন আমি বাপী হলাম ,<br /> পিঠে স্কুলের ব্যাগ !<br />জানার আশায় ডুব দিলাম ,<br /> আঁকতে বসে ম্যাপ !<br />যেদিন আমি বাবু ডাকে ,<br /> আমার মাথায় চাপ !<br />সুখের আশায় সময় কাটে !.<br /> এ কেমন অভিশাপ ? <br />যেদিন আমি বাবাই হলাম ,<br /> বেকার বললেই চলে !<br />সময় স্রোতে শিক্ষা পেলাম !<br /> জীবন কাকে বলে !<br />তবু যেদিন খোকন ছিলাম ,<br /> ভীষণ ছিলাম বোকা ! <br />এখন যখন আমি হলাম !<br /> খেলাম শুধুই ধোঁকা !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/smriti/স্মৃতি 2024-03-13T01:04:44-04:002024-03-14T05:23:27-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>যখন আমি ছিলাম তুমি! - তোমার মতোই বেশ!<br />চোখের মণি সবার রানী! - আমার কথাই শেষ!<br />মায়ের হাতে বাবার পাতে। ভরতো আমার পেট!<br />রোজ রাতে ঠাকুমা সাথে! - গল্প দিতো ভেট।<br />ঘুমের ঘোরে ভীষণ জোরে! - যখন উঠতাম কেঁদে!<br />আমায় ধরে ঘুমের ঘোরে! - শক্ত হাতে বেঁধে।<br />বলতো পরী হায়রে হরি! - দেখেছো মেয়ের কান্ড!<br />"কী-যে করি ভয়ে মরি! - বাঘ যে প্রকান্ড!"<br />একটু হেসে বাবা শেষে! - বলতো এবার থাম।<br />সুখের শেষে অন্য দেশে! - বাবার এলো নাম!<br />বাবার শোকে মায়ের বুকে! - ছিলাম কদিন ভালোয়!<br />লোকের চোখে সংসার সুখে! - জীবন জুড়ে প্রলয়।<br />ছোট্ট খুঁকি এখন সুখী! - বুঝবি পরে সব !<br />মনের দুখী মায়ের খুঁকি! - মায়ার খেলায় ভব!<br />একার দেশে একাই আমি! - আমার আমি প্ৰিয়।<br />দিনের শেষে অন্য ছবি! - থাকনা বলাই শ্রেয়!<br />দেখনা ছুঁড়ি আমি বুড়ি! - পথেই আছি বেশ।<br />লাঠি ধরি খিদেই মরি; - হারায় কেনা দেশ!<br />রাখেনি খোঁজ আমি নিখোঁজ! - পাগলী নামে ডাকিস!<br />জীবন বোঝা এতোই সোজা? - একটু ভেবে দেখিস!<br />ওরে সোনা চাঁদের কণা! - দে-মা এবার ছেড়ে,<br />লক্ষীটি মা ঘরে যা, - মায়ায় মায়া বাড়ে!<br />হীরের খনি চোখে ছানি, - তবুও স্মৃতি ভাসে!<br />আজব জানি এই কাহিনী, - লাজুক লাজুক হাসে।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/lal-prithibi/লাল পৃথিবী 2024-03-12T01:21:12-04:002024-03-15T16:29:43-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>নিষ্ঠুর " লাল " আগুন--<br />সাজানো চিতায় জ্বলতে থাকে দেহ।<br /> দস্যুর " লাল " ফাল্গুন--<br />ষোড়শীর বুকে জমতে থাকে সন্দেহ।<br /> লাবণ্য " লাল " উপহারে--<br />ভালোবাসায় যেন বসন্ত কেনা যায়!<br /> অস্পৃশ্য " লাল " সংসারে--<br /> আসল নকল সকলকেই চেনা যায়।<br /> সংকেতে " লাল " চাইলেই--<br /> চলন্ত ট্রেনকেও থামিয়ে দিতে পারে।<br /> একচিলতে " লাল " পরিধানেই--<br /> নারীও দেবীর রূপান্তর নিতে পারে।<br /> গ্লাসের " লাল " জলে--<br /> আমিত্ব ফিরে পাই অতিথি বেশে।<br /> নকশার " লাল " ফুলে--<br /> চেনা মুখ যেন রাতের অভিযানে।<br /> একটা " লাল " তবু--<br /> মানুষের রক্তে মিশে থাকা হিমোগ্লোবিন।<br /> একটা " লাল " কভু--<br /> ব্যাস্ত সড়কের থামা ট্রাফিকের আইন।<br /> তবুও " লাল " হোক--<br /> প্রেমিক চোখে আঁকা ভালোবাসার চিহ্ন।<br /> স্বার্থেও " লাল " শোক--<br /> শয়তান চোখে দেয়, - বিদ্রহের জন্ম।<br /> অন্তহীন " লাল " আকাশ--<br /> পড়ন্ত বিকেলে রবি, - লালচে আঙিনায়।<br /> নেশাতুর " লাল " চোখ--<br /> অচেনা ঘ্রাণে সাঁঝবাতি জ্বলে যায়।<br /> একটুকরো " লাল " তবু--<br /> আগুন পাখির ঠোঁটে লেগে থাক।<br /> শহীদের " লাল " প্রভু--<br /> আমার বিপ্লবী রক্তে মিশে যাক।<br /> একটা " লাল " চাই--<br /> শোষণের নাগপাশা ছিঁড়ে আলো আনুক।<br /> একটাও " লাল " নাই--<br /> শাসনের নীল পৃথিবীকে " লাল " মানুক।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/biral-topossi/বিড়াল তপস্বী 2024-03-10T18:41:16-04:002024-03-11T17:36:53-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ওই নীলাকাশে উড়াল দিয়ে,<br /> একদিন তুমিও দিয়েছিলে ফাঁকি।<br /> প্রশ্ন করবার সুযোগ ছিলনা,<br />তুমিতো কল্পনার অভিমানী পাখি!<br /> প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে,<br />চশমার কাঁচ ঝাঁপসা হয়ে যায়!<br />নির্বাক, নিশ্চুপ একলা বারান্দায়, <br />নব-সৃষ্টির উন্মাদনায় শুধু কালক্ষয়।<br /> আবেগ দিয়ে জীবন চলেনা,<br /> তবু আবেগেই কতশত ভুল!<br />মাপকাঠিতে আজ শুধু একটিবার,<br />মাপতে চাই, -- প্রতারণার শতমুল।<br /> সব যেন মিলেমিশে একাকার,<br /> মানিয়ে চলাই যে মূলমন্ত্র!<br /> লিটমাসে ঘষে দেখি রূপান্তর!<br />চেনা ভীড়ের অচেনায় জীবিত।<br />অভ্যাসই আসক্তির মূল কারণ!<br /> নিয়ম ঘরে বধূ বেশে,<br />মাতাল করো পাগলী তুমি!<br /> চিন্তা হয় দিনের শেষে।<br /> এক পুরুষে আসক্ত তুমি ,<br />কী পেলে ছলনাময়ী নারী?<br />সেই যখন ভোরের আলোয় ,<br /> ক্লান্ত চোখে মুখ ভারী!<br />শরীরের উষ্ণতায় অগোছালো বিছানায় <br /> তবু ছটফট করা ভালোবাসায়!<br />স্বর্গ-সুখের নেশায় সর্বনাশী চোখে,<br />শুধু সর্বনাশ! -- স্বর্ণালী রোজনামচায়!<br /> সংসার ধর্ম জলের মতো!<br /> কুলু-কুলু নীরব স্রোতে বানভাসি।<br />বিবাহ বিচ্ছেদ সামাজিক ব্যাধি!<br /> মোম গলনে সস্পর্ক সন্ন্যাসী!<br /> তবু নিলামের লাল চোখে,<br />বিচারের ব্যাবিচারে বৃথাই আর্তনাদ!<br /> একার লড়াই একলা পথে,<br />পায়ে-পা মিলিয়ে মিছেই প্রতিবাদ!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/shikari/শিকারী 2024-03-10T07:15:21-04:002024-03-12T10:06:48-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>সত্যিই একদিন আমি খুব করে,<br /> তোমার হৃদয় গহিন ছুঁয়ে দেখলাম,<br /> তোমার ওই লালচে সরীসৃপ বুকে,<br /> আমি তো আজ কোথাও নেই!<br /> আর যতটুকুই-বা রয়েছি -- শুধু সবটাই,<br /> তোমার যেন ওই খরচের ছেঁড়া পাতায়!<br /> এখন তো মানুষ মৃত্যুর চেয়ে,<br /> হারানোর ভয়ে যেন আরও বেশি কাঁদে!<br /> শেষ নিঃশ্বাস অবধি হারানোর ব্যাথা,<br /> মানুষকে যে বড় বেদনায় কাঁদায়!<br /> একবার মৃত্যু এলে তো,<br /> সব গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে।<br /> আসলে এই রঙীন পৃথিবীটা হচ্ছে,<br /> এমন এক মায়ায় মোড়া জায়গা, <br /> যেখানে তোমাকে অপেক্ষা করতে নেই। <br /> সুখের দেখা তুমি যেখানেই পাবে, <br /> তুমি কিন্তু ভুল করবে না!<br /> এক সেকেন্ড দেরিও করবে না। <br /> খপ করে তুমি ধরে ফেলবে।<br /> নাহলে সেটা আবার পালিয়ে যাবে।<br /> এটাই হয়তো নিয়মের এক শিকার,<br /> মানুষী স্বীকার করে নিতে হয়।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/togorer-atmobilap/টগরের আত্মবিলাপ 2024-03-08T18:43:01-05:002024-03-10T07:12:05-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>যেদিন আমার জন্ম হয়েছিলো--<br />দিগন্ত ছোঁয়া নীল নীলিমার অস্তাচলে!<br />সকালের সোনা রবি পূর্ব আকাশে উঁকি দিয়ে,<br />আমাকে স্বাগত জানিয়ে ছিলো!<br />শান্ত-স্নিগ্ধ ভোরের ফুরফুরে হাওয়ারা--<br />কেন জানিনা বারবার ঘুরে ফিরে এসে,<br />আমার নাভি, নিতম্ব, ওষ্ঠ স্পর্শ করে,<br />আমাকে বেঁচে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলো!<br />দূর থেকে ভেসে আসা প্রভাতি গানে,<br />আর পাখিদের কিচির মিচির কলাতানে,<br />সরলা ভোরের মায়াবী নিস্তব্ধতাকে কাটিয়ে,<br />একটি ব্যস্ততম দিনের সূচনা হয়েছিলো!<br />জানো তো কালপুরুষ,<br />আমাকে সেই দিন জন্মাতে হয়েছিল!<br />যে দিন, -- ঐ গগণ ললাটেই রূদ্রদেব, <br />প্রলয় হুঙ্কারে প্রখর তেজে জ্বলে উঠেছিলো,<br />সাহারা! গোবি! থর! -- কিংবা কালাহারি!<br /> শুধু তাই কি ? -- তাই নয়!<br />এই পৃথিবীর সমস্ত বালুকা রাশি,<br />যেদিন খুব করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিলো,<br />আমাকে সেই দিন-ই জন্মাতে হয়েছিলো! <br />কত সাধ করে আমার নাম রাখা হল " টগর "।<br />যদিও নামের সার্থকতা নিয়ে কোনদিন,<br />অবাক পৃথিবীর কাছে প্রশ্ন করা হয়ে ওঠেনি।<br />তবু জানো, -- আমি অবাক হই বারেবার!<br />তোমাদের শিষ্টাচারে কচি-কাঁচারা যখন,<br />আমার এই শান্তির নীড়ে ঢিল ছুঁড়ে মারে!<br />সদ্য কুঁড়ি ফোঁটা বিকশিত যৌবন যখন,<br />তোমাদের খাম খেয়ালিপনার কাছে শিকার হয়,<br />এক, দুই, তিন করে সহস্র আঁচড়ের দাগে যখন, আমার যৌবন জৌলুস ধূসর, বিবর্ণ হয়ে ওঠে,<br />সত্যি বলছি আমার তখন খুব কষ্ট হয়!<br />আচ্ছা কালপুরুষ, -- বলতে পারো,<br />ওরা কি পায় এই নিষ্ঠুর অনন্দ উল্লাসে ?<br />তবু দ্যাখো, -- সেই তো নীরবেই শতশত,<br />নিস্পাপ, চম্পা, চ্যামেলি, কিংবা করবীর মত,<br />আমাকেও একদিন অকালে ঝরে পড়তে হয়।<br />এরপরেও জানো তো কালপুরুষ,<br />আমাকে আবার জন্মাতে হয় বহুবার,,,<br />কখনো কামিনী, -- কখনো যামিনী,<br />কখনও বা জবা, শিউলি, জুঁই!<br />কখনও বা সন্ধ্যা মালতী হয়ে,<br />আঁধার গলিতে আমাকে দলিত হতে হয়!<br />যার সলিল সমাধি দাও,<br />তোমাদের ঐ পাচনের উন্মুক্ত পবিত্র মাটিতে।<br />জানো তো কালপুরুষ,<br />কখনো ওই মল্লিকার সাজে,<br />গোলাপ হয়ে প্রেয়সীর শাড়ির ভাঁজে,<br />নিথর, নীরব শরীরের প্রতিটি খাঁজে খাঁজে,<br /> ঢেলে দাও - আত্মহ্যুতি-র অধি-বিষ!<br />তবু জানো তো কালপুরুষ,<br />তোমাদের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানায়নি!<br />বারবার সাজানো ঐ শ্রী ঘরের কাননকে,<br />আমি যে বহুকাল ধরে শোভিত করে এসেছি!<br />দখিনা, মলয়া, চঞ্চলা, বাতাসকেও তো,<br />আমি সুবাসিত করেছি বহুবার!<br />কখনো তোমাদের-ই প্রয়োজনে,<br />মন্দিরের পুরোহিতের ফুলের ডালিতে!<br />কখনও-বা মসজিদের ঐ সিংহ দুয়ারে,<br />সজ্জিত আমি, - নিজেকে করেছি উৎসর্গ!<br />অথচ দ্যাখো আজ তোমরা'ই আমাকে,<br />" বাঁশি ফুলের " আখ্যা দিয়ে এড়িয়ে চল সর্বদা!<br />তবে এখন আর তেমন একটা কষ্ট হয়না !<br />সংসারে নারীরূপি জননীর মর্ম যারা বোঝেনা,<br />সামান্য এই টগরের করুণ আর্তনাদ,<br />তারা কেমন করে বুঝবে বলো ? <br />অবাক করা এই অন্ধকার পৃথিবীর বুকে-ই, আজও চেয়ে দেখো কালপুরুষ,<br />আমাকেই যেন বারবার জন্মাতে হবে!<br />সঙ্গে একবুক যাতনা আর মৃত্যু ভয় কুরে খাবে!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/bhumihin-sunnota/ভূমিহীন শূন্যতা 2024-03-07T18:47:05-05:002024-03-24T01:22:18-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এ যেন এক 'অসুস্থ সময়'!<br /> কারো যদি খোঁজ না রাখি,<br /> অজান্তেই কখন যে দূরত্ব বেড়ে যায়!<br /> আর যদি তার খোঁজ রাখি!<br /> তবে সে আজও বিরক্ত হয়ে যায়।<br /> এ এক চরম 'অসুস্থ সময়'!<br /> রাতের অন্ধকার গভীর থেকে গভীরে, <br /> আরও যত বেশি গাঢ় হতে চাই,<br /> আমার বুকের বাম পাশের খাঁচাখানি,<br />হঠাৎ কেন জানি অবিরত মোচড় দিতে থাকে, <br /> মিথ্যে জমানো শত স্বপ্নডালি কেন জানি,<br />কারণ-অকারণে পল্টনের মতো হানা দিয়ে,<br />আমার এই ক্লান্ত চোখের ঘুম কেড়ে নেয় !<br /> সত্যিই, এ এক কঠিন 'অসুস্থ সময়'!<br /> এখন নিয়ম করেই তোমার নামে,<br /> রোজ রোজ আমার যত অসুখ হয়।<br /> ভাঙনে ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া<br /> আমার ভাঙা বুকের ডান পাশটা,<br />এখনো একটু আধটু ভেঙে যায় বৈকি!<br /> তুমি কখনো আবার যদি নদী হয়ে,<br />ফিরে আসবো ভাবো, -- এই খেলাঘরে,<br /> জলছবির কোনো চেনা জলসা ঘরে!<br />এবার কিন্তূ তুমি তবে সত্যি হয়েই এসোl<br /> কল্পনা হয়ে আর কিন্তূ থেকো না দূরে সরে!<br />তবে কী আমার বুকের ভিতরেই ভুমিহীন শূন্যতা?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/mukhosh/মুখোশ 2024-03-07T01:49:51-05:002024-03-10T18:09:19-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>মুখের আড়ালে, - ওই যে প্রলেপ দেওয়া,<br />পোষাকি মুখোশটা, - তোমরা খুলে দিলেই!<br />বিশ্বাস করো, - বা নাই করো!<br />আমি আর মুখ লুকাবো না।<br />ভেতরের মৃত মানুষটাকে বাঁচিয়ে তুললে,<br />বৃথা লাশের অভিনয় আমি তো করবো না!<br />মানুষের প্রতি হিংসা করা ছেড়ে দিলেই,<br />বহু সাধের সিগারেট নাহয় ছেড়ে দেবো!<br />রাস্তার পাশে ঐ বাংলা ভাটিগুলো বন্ধ হলে,<br />সুস্থ সমাজে আমি শিক্ষিত কারিগর গড়ে নেবো।<br />তোমরা একবার যদি রক্ত খাওয়া বন্ধ করে দাও,<br />জল ছাড়া আমি আর কোনো পানীয়ই খাবো না!<br />অন্যের মাংস খাওয়া তোমরা বন্ধ করে দাও<br />সত্যি বলছি, - এক্কেবারে তৃণভোজী হয়ে যাবো।<br />বেশ! - তবে খাঁচা তৈরি করা বন্ধ করে দাও,<br />পণ করছি, শিকার করা আমিও বন্ধ করে দেবো।<br />আমাকে যদি বেঁচে না দাও, - কথা দিলাম,<br />আমি'ও বেঁচবো না তোমার ওই গৈরিক বিশ্বাস।<br />কবরের কাছে লাশ বেচে পাওয়া যে দাম,<br />আমি তো চাইনি তার কোনো ভাগ--<br />পৃথিবীতে শুধু হাসতেই জন্মেছিলাম--<br />আমায় তুমি আর হাসতে বাধ্য কোরো না!<br />একবার যদি সেই অট্টহাসি শুরু হয়,<br />তবে ঐ ঠান্ডা লাশের পাশে বসেও,<br />সে হাসি কিছুতেই তুমি থামাতে পারবে না।<br />সমাজের বুকে আজও সিংহাসন না থাকলে,<br />শিশুদের বলতাম না, - মানুষ কতটা বজ্জাত হয়!<br />মুখে মুখোশ টেনে মানুষও যে কীভাবে সভ্য হয়!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sorisrip/সরীসৃপ 2024-03-05T19:01:01-05:002024-03-15T07:42:37-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ঘন অন্ধকার, - মায়াবী কালো আঁধার রাতে,<br />নরম বিছানায় এলিয়ে দেওয়া দুটো নগ্ন দেহ,<br />তীক্ষ্ণ আলপিনের মতোই কৃষ্ণ চতুর্দশীর চাঁদ,<br />আলোক রেখা পথে হেঁটে চলা গুঁড়ো সন্দেহ।<br />প্রতিটা রাত যে আমি একলাই জেগে থাকি,<br />পেঁচার মতো আমার চোখ দুটোও রাত জাগে।<br />স্বপ্নেরা শুধু বৃষ্টি স্নাত হয়ে কাক ভেজা হয়।<br />জানালার ধারে একাকীত্বের ইজেলে বসে,<br />অভিমানে সে ধরে রাখে এক মুঠো অন্ধকার।<br />অক্টোপাসের থাবায়! - একরাশ নিঃসঙ্গতার<br />শারিরীক ভাষা সব যেন তার পড়া হয়ে গেছে। <br />আকাশ খসে ঝরে পড়ছিল এক ঝাঁক তারা,<br />চোখের পাতা ছিঁড়ে আমি সযত্নে রেখেছিলাম,<br />তোমার ওই মুষ্ঠিবদ্ধ নরম হাতের পাতায়। <br />উষ্ণ আলিঙ্গনে খুব সাধ করে বলেছিলাম,<br />আজ আবার নাহয় এক পশলা বৃষ্টি আসুক।<br />না-হয় আজ রাতেই হে প্রজাপতি ঋষি,<br />আপনি আবার আমাদের মুখ ঢাকুন !<br />আজ না-হয় নিভে যাক পৃথিবীর সমস্ত দীপ,<br />শুধু জেগে থাক দুটো "ক্ষুধার্থ জিভ" ! <br />উষ্ণতায় ছুঁয়ে যাক গোলাপি ঠোঁটের পলেস্তরা।<br />শরীর ক্রমশঃ নিথর থেকে হয়ে যাক নিষ্কলুষ। <br />ভাঙা পাঁজর জুড়ে যে নৈসর্গিক উথাল পাতাল,<br />ঠিক যেন সফেন সমুদ্রের এক অতিকায় ঢেউ!<br />ঘাম হয়ে ঝরে পড়ুক আজ তোমার শষ্পমুলে ।<br />আঙুলের ডগায় এবার জন্ম নিক সরীসৃপ।<br />বুকের উপর হেঁটে চলুক এদিক থেকে ওদিক।<br />তোমাকে না পাওয়ার মধ্যে যে তৃপ্তি আছে;<br />অর্বাচীন, পেয়ে গেলে তো শুধুই অবহেলা,<br />আর ধীরে ধীরে অভিযোগ জমতে দেওয়া।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/bosonto-bilap/বসন্ত বিলাপ 2024-03-05T02:02:08-05:002024-03-07T14:24:39-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ধীরে ধীরে কচি পাতার মতো,<br /> অচিরেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে অবিরত।<br /> বাতাসের প্রতি পালে ছুটে যায়,<br />জল-পরীর জল্পনা। - জগতের জটিল জটলায় <br /> খবর নেয়, -- আবেগ ছোঁয়ার আশায়।<br /> আঁকিবুকি লিখন শুরু ডাইরির পাতায়।</p>
<br /><p> কালজয়ী তিন শব্দেই শুর হয়!<br />অধিকার , পৌরুষোত্ত , ভালোবাসা। - তবু ক্ষয়! <br />উপভোগ শুধু ক্ষণিক সুখ-সাচ্ছন্দের উপমান্য!<br />বিন্দুতে সিন্ধু - আড়ম্বর বলাবাহুল্য যৎসামান্য;<br /> মার্জিত তিন শব্দেই তাই শেষ।<br /> স্মৃতির পশরা জুড়ে স্মৃতির ছদ্দবেশ।</p>
<br /><p>মুঠোফোন জাদুকরী , সমাজ বিধান ভয়ংকরী!<br /> জীবন খেলায় জীবত মানুষও অহংকারী!<br /> স্বার্থ, ত্যাগী! - ত্যাগের আগেই আবিষ্ট!<br />লোভী-কামী, পাপী-ট্যাপি সমাজ জুড়ে উপবিষ্ট<br /> ইতি টানি ! -- ইতিহাস হয়ে যায় !<br /> ঋতু-রানী ! -- বসন্তে বিলাপ ঘটে যায়।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/somahar/সমাহার 2024-03-03T18:34:24-05:002024-03-07T00:51:30-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ছানা দিও, চানা দিও না, - কিছুটা পুষ্টি হবে।<br />বাদা দিও, বাধা দিও না, - সবুজের দেখা পাবে।<br />দানা দিও, ডানা দিও না, - ঠিকই উড়ে যাবে।<br />ধরা দিও, দরা দিও না, - তবেই চেনা হবে।<br />শান্তি দিও, শাস্তি দিও না, - হৃদয়ে ঘৃণা জমবে।<br />জীবন দিও, জীবনী দিও না - সবাই উপহাস করবে।<br />বলে দিও, ভূলে দিও না, - নাহলে প্রাক্তন হবে।<br />থাকতে দিও, ঠকতে দিও না, - ওরা প্রতারক বলবে।<br />সব দিও, শব দিও না, -- খুব ভয় পাবো!<br />খুদা দিও, ক্ষুধা দিও না, -- স্বার্থপর হয়ে যাবো।<br />কিছু দিও, কিছু দিও না, - তোমারও কিছু থাক!<br />ইতি দিও স্মৃতি দিও না, - ভালবাসা মুক্তি পাক।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/chhera-taar/ছেঁড়া তার 2024-03-03T09:51:22-05:002024-03-07T00:49:45-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>হঠাৎ করেই , - যদি চলার পথে , <br /> আবার কখনো আমাদের দেখা হয় !<br /> চুরি যাওয়া পড়ন্ত বিকেলের বুকে , <br /> শেষ হওয়া , -- সিঁদুর রাঙা আলোয় ।<br /> কাজলী চোখে , যদি আবার কখনো ,<br /> ইচ্ছে হয় , তোমাকে আগলে রাখি !<br /> তিমির রাতের নিস্তব্ধতায় সব লুকানো ।<br /> তাই , কথা দিয়েই কবিতা লিখি !<br /> রং মিলন্তীর খেলায় শহর জুড়ে ,<br /> যদি আবার বসন্ত নামে দু-চোখে !<br /> চাওয়া পাওয়ার হিসেব খাতা ছিঁড়ে ,<br /> তুমি কী পারবে , আমার হতে ?<br /> জানিনা , ঠিক কতটুকু বদলে গেলে ,<br />মানুষের চোখে , তাঁকে পরিবর্তন বলে !<br /> জানিনা , কতোটা পথে পাড়ি দিলে ,<br /> সভ্য সমাজ , তাঁকে পথিক বলে !<br /> ভাসতে ভাসতে , দূর থেকে বহুদূরে ,<br /> তলিয়ে যাওয়া সম্পর্কের ভিন্ন সমাহারে ,<br /> আজও সময় , সম্পর্কের বৃথা অপচয়ে ,<br />শূন্য-হৃদয় , ছেঁড়া তার, -- শুধুই হাহাকারে !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/doitochari/দ্বৈতচারি 2024-03-02T08:11:37-05:002024-03-15T03:21:50-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আজও আমি "অধরার অপদার্থ" হয়েই,<br />পৃথিবীর বুকে ধুকে ধুকে যেন ভাগ্য দোষেই,<br />একার একা লড়ায়ে একা লড়ে বেঁচে আছি।<br />বহুরুপী চশমার স্বচ্ছ ক্রমাটিন কাঁচে,<br />এই শহরটা এখন বেশ অভিমানী!<br />আঙ্গুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে শান্ত করেছি,<br />চঞ্চলা বিকেলের যত বদ্ধ পাগলামি।<br />যৌনতার বুকে লাথি মেরেও,<br />যৌনতায় আসক্ত পুরুষ আমি!<br />কাঁচের গ্লাসে লাল জলের জলদস্যু আমি,<br />চিকন নাক, ঘোলাটে চোখ, সরীসৃপের নখ,<br />তবে কেঁচোর মতো আমি বেশ উপকারী,<br />কখনো আমি প্রেমিক সাজতে পারি!<br />কখনো আবার প্রেম ভেঙে দিতে পারি।<br />কখনো আমিই আমার বুকে দাসত্ব করি,<br />আবার কখনো তোমার বুকে রাজত্ব করি।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/lorai/লড়াই 2024-03-01T09:52:51-05:002024-03-01T11:45:03-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এখন আর আমাদের দেখা হয় না।<br />গল্প কথা প্রেম ভালোবাসা কবিতা কিচ্ছু হয় না, <br />এক আকাশের নীচে আমরা শুধু বেঁচেই আছি!<br />এক আকাশ দূরত্বের নাম বোধহয় " তুমি "!<br />তোমার নিকট যুদ্ধ এসে, - কেন যে থেমে যায়?<br />অভিমানী বৃষ্টি, - শুধুই কী আমার আঙিনায়?<br />সিলেবাস পাল্টে গেলে তুমি বই বদলে নাও,<br />মানুষ পাল্টে গেলে কি তুমি মন বদলে নাও?<br />সে একা বসে - এক রঙীন স্বপ্ন তার দুই চোখে,<br />সে খঞ্জনা, শত লাঞ্ছনার যন্ত্রণাও বুকে পোষে!<br />তাল খেজুরের বনে, সে যে বারোমাসি হাওয়া।<br />আমি খড়কুটো - নিত্য আমারি উড়ে যাওয়া!<br />মিছিলেও তাই প্রেম হোক, - ভেঙে যাক মোহ!<br />তুমি সাজো ব্যারিকেট, - আমি হই বিদ্রোহ!<br />সমুদ্র তোমার থাক, - তোমারি হোক বারি!<br />মরুভূমি আমি হই, - আমি যে অভ্যাসেই পুড়ি!<br />পৃথিবী নাহয় তোমার বুকেই লিখে দিলাম নোট,<br />"ভালো আছি" বলে শুধু এই মিথ্যেবাদী ঠোঁট!<br />যুদ্ধ শেষে কাতর কণ্ঠে ধ্বংসলীলাও বলে,<br />সত্যি কী বেঁচে আছে, - কাছে কী আর পাবে?<br />আমি ভারী লাঞ্ছিত, - এক্কেবারে অবাঞ্ছিত!<br />হ্যাঁ সত্যিই - ' আজ আমি পরাজিত '!<br />আগামীতে এক বিজয়ীর অনুতাপ হবো।<br />প্রেমিকার কপালে রঙীন ছোট্ট এক টিপ হবো!<br />আমার হাতে যে আজ, - কলম কিংবা কাস্তে,<br />নিজেকে তৈরী করছি শুধু, আগামীতে বাঁচতে!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/antohin/অন্তহীন 2024-02-29T07:44:51-05:002024-03-18T07:54:10-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>শুধু একদিন, -- দীর্ঘশ্বাস ভারী হলে,<br /> চোখে, আশ্রুরাও যেন কথা বলে।<br /> ফুসফুস জুড়ে যে কালো বিষবাষ্প!<br /> নিকাশ হবার নেই তার পথ।<br /> হৃদয় জুড়ে বাড়িয়ে দিয়েছে ক্ষত,<br /> সেরে ওঠার নেই তার সখ।<br />"জলপট্টি টোটকা, - জ্বর তো সারলো!<br /> কপাল, - সে, কী আর সারলো?"<br /> "ও মেয়ে, - তুমি কী জানো?<br />'আমার 'ভিতর গহীন' কতোটা তীব্রভাবে,<br /> নড়াচড়া করে শুধু তোমার অভাবে!'<br /> "ভালোবাসি ! -- বলা যে খুব কঠিন,<br />ভালোবাসি না বলা! - আরও অন্তহীন।"<br /> "অমি তো জুতো হয়েও দেখেছি,<br />ক্ষয় ভয়ের চেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি,<br /> তোমার ওই শীতল কোমল স্পর্শে।"<br />"কঠিন সময়ের এক বিশেষ বিশেষত্ব<br /> একবার শুধু পার করতে পারলেই,<br /> সব যেন, -- খুব সহজ লাগে।"<br />তবে, -- প্রেমিক মিথ্যে হতে পারে!<br />প্রেমিকা, -- সেও, মিথ্যে হতেই পারে!<br /> কিন্তূ, - প্রেম কখনো মিথ্যে হয়না।<br /> মন, -- কাঁচের মতো ভাঙতে পারে !<br />প্রতিশ্রুতি, - ঠুনকো - ভেঙে যেতেই পারে!<br /> কিন্তূ, প্রতিজ্ঞা কখনোই ভেঙে যায়না।<br /> আমি তো তোমার সেই প্রতিজ্ঞা,<br /> ঐ আকাশের বুকে, - শ্বাশ্বত ধ্রুবতারা।<br />একলা রাত, - অন্তহীন অপেক্ষায় আনকোরা।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/porijayi-pakhi/পরিযায়ী পাখি 2024-02-28T07:01:17-05:002024-03-24T07:42:05-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>তোমার শহর ভীষণ রঙিন,<br /> চোখ ধাঁধানো আলো।<br /> আমার শহর আমার মতোই,<br /> অন্ধকার আর কালো।</p>
<br /><p>তোমায় শহর প্রাসাদ ঘিরে<br /> ইটের নগরী বলে।<br /> আমার শহর আমার মতোই<br /> বিষাদ যন্ত্রণায় জ্বলে।</p>
<br /><p> তোমার শহর ভীষন প্রিয়,<br /> রোদেলা দুপুর হাসে।<br />আমার শহর আমার মতোই,<br /> হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বাঁচে ।</p>
<br /><p> তোমায় শহর তোমার মতোই,<br /> মানুষ এড়িয়ে চলে।<br /> আমার শহর আমার মতোই,<br /> মানুষ চেনায় কৌশলে।</p>
<br /><p> তোমার শহর ভীষন চেনা,<br /> মায়ায় মোড়া আবেশ।<br />আমার শহর আমার মতোই,<br /> অচেনা ঘ্রাণে নিরুদ্দেশ।</p>
<br /><p>শহর জুড়ে বাঘ-বন্দির খেলায়, <br /> ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্তপদ।<br />মৃত আন্দোলন, আসন্ন কালবেলায়,<br /> ভিন্ন শহরেই সন্ধিপদ।</p>
<br /><p>আজ ঠান্ডা লড়াই শেষে,<br /> তবু থাকছি মহাসুখে।<br />আজ নেশা নেশার চোখে,<br /> ভিন্ন শহরের বুকে।</p>
<br /><p> ওই ফাগুন পরশ মেখে,<br /> আগুন পাখির বেশে।<br /> আবার ফিরি নষ্ট নীড়ে,<br /> ভিন্ন শহরে ভালবেসে।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/hushiyear/হুঁশিয়ার2024-02-27T11:47:51-05:002024-02-28T09:36:52-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এখন তো আর আমাদের দেখা হয় না !<br />কথা প্রেম গল্প কবিতা ভালোবাসা কিছুই হয় না <br />এক আকাশের নীচে আমরা শুধু বেঁচেই আছি!<br />এক আকাশ দূরত্বের নাম বোধহয় " তুমি " !<br />তোমার নিকট যুদ্ধ এসে কেন যে থেমে যায় !<br />অভিমানী বৃষ্টি তবে কী আমারি আঙিনায় ?<br />সিলেবাস বদলে গেলে যেভাবে বই বদলে নাও, <br />মানুষ পাল্টে গেলে কী তুমি মন পাল্টে নাও ?<br />একা বসে - এক রঙীন স্বপ্ন দু-চোখে এঁকে ,<br />সে খঞ্জনা, শত লাঞ্ছনার যন্ত্রণাও বুকে পোষে!<br />তাল খেজুরের বনে, সে যে বারোমাসি হাওয়া।<br />আমি তো খড়কুটো, নিত্য আমার উড়ে যাওয়া,<br />এবার মিছিলেই প্রেম হোক, - ভেঙে যাক মোহ !<br />তুমি সাজো ব্যারিকেট আর আমি হই বিদ্রোহ !<br />সমুদ্র তোমারি থাক, - তোমারি হোক বারি !<br />মরুভূমি আমি হই, - আমি যে অভ্যাসেই পুড়ি !<br />পৃথিবী তোমার বুকে নাহয় লিখে যায় এই নোট,<br />"ভালো আছি" বলে শুধু দুটো মিথ্যেবাদী ঠোঁট !<br />যুদ্ধ শেষে কাতর কণ্ঠে ওই ধ্বংসলীলাও বলে,<br />সত্যি কী বেঁচে আছে, - কাছে কী আর পাবে ?<br />আমি ভারী লাঞ্ছিত, - এক্কেবারে যে অবাঞ্ছিত !<br />হ্যাঁ সত্যিই - " আজ আমিও পরাজিত !<br />আগামীতে এক বিজয়ীর অনুতাপ হবো "।<br />প্রেমিকার কপালে রঙীন ছোট্ট এক টিপ হবো !<br />আমার হাতে নাহয় থাক কলম কিংবা কাস্তে !<br />নিজেকে তৈরী করেছি শুধু আগামীতে বাঁচতে !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/matchis-kathi/ম্যাচিস কাঠি 2024-02-24T04:24:50-05:002024-03-11T17:41:01-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ম্যাচিসের বুক জুড়ে,<br /> শুয়ে থাকা কাঠি :<br /> ডোরাকাটায় ঘষা লেগে,<br /> জ্বলে ওই ফুলকি!</p>
<br /><p> স্থিতি থেকে গতি ,<br /> অল্প হাতের ছোঁয়া;<br /> বারুদটা নগণ্য অতি ,<br /> মুখে ঠুসে দেওয়া ।</p>
<br /><p> ছয়তল, - তিন ভাগে,<br /> চারকোন জুড়ে থাকি ;<br /> ঘনকের মহা নামে ,<br /> খাতা জুড়ে আঁকিবুকি !</p>
<br /><p> দিনশেষে কালো হই ,<br /> পুড়ে যায় মুখ !<br /> আমিতো আমার নই !<br /> তবু ভাঙে বুক ।</p>
<br /><p> তোমার স্নেহের হাতে ,<br /> ঘুরে ফিরে রোজ ;<br /> বিনা ব্যবহারে রাতে ,<br /> রাঁধা হয় ভোজ !</p>
<br /><p> বিজ্ঞান আজ মহাবলে ,<br /> গ্রাস করে সব !<br /> উন্নয়ন হেঁটে চলে ,<br /> শুধু মানুষগুলোই নীরব !</p>
<br /><p> প্রয়োজন তাই জ্বলি ;<br /> শেষ ভাষা প্রতিবাদী !<br /> সমাজের চোখে ঠুলি ;<br /> বোধহয় স্বল্প মেয়াদি !</p>
<br /><p> আমি একটা ছোট্ট ,<br /> পোড়া ম্যাচিসের কাঠি !<br /> দৈত্য দানবের মত ,<br /> চুপ থাকা জাদুকাঠি !</p>
<br /><p> টিক টিক শব্দে ,<br /> কেটে যায় যুগ !<br /> পোড়া বারুদের গন্ধে ;<br /> সবুজ চোখে অসুখ ।</p>
<br /><p> মানবতা মরেই ভূত ,<br /> তবু ফুল ফোটে !<br /> নীতিহীন দুর্নীতি নিখুঁত ;<br /> দশে দেশ লুটে ।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/choddobeshi/ছদ্মবেশী 2024-02-23T09:27:26-05:002024-03-15T03:33:29-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>বোধির হয়ে আমার ঘরে ,<br /> স্বার্থ, লোভে উড়াল দিলে ।<br /> দিনের শেষে আঁধার পথে<br /> পথিক তুমি কোথায় গেলে ?</p>
<br /><p> শরীর ছুঁয়ে দেখলে তুমি ,<br /> মন ছুঁতে পারলে কই ?<br /> দিয়েছিলাম আস্ত একটা লাইব্রেরি !<br /> পড়লে শুধু একটি বই ।<br /> <br /> চাওয়া পাওয়ার হিসেব বাকী ,<br /> তোমার দেখা পেলাম কই ? <br /> দিয়েছিলাম সুস্বাদু ক্ষীর একবাটি ,<br /> ভাবলে মিছেই টক দই ।</p>
<br /><p> কথার কথা-ই আঁকড়ে তুমি ,<br /> আসল নকল ভুলেই বেশ !<br /> আজও শূন্য-খাঁচায় আশায় বাঁচি !<br /> এ কেমন তোমার নিরুদ্দেশ ?</p>
<br /><p> মিছেই শুধু পুষছো রাগ ,<br /> অহংকার পত্তনের মুল কারণ !<br /> সমাজ, কিছু সময় নির্বাক !<br /> বৃথাই এ লড়াই আমরণ !</p>
<br /><p> এই বেশ ভালোই আছি ,<br /> একলা একাই ঘুমের দেশে ।<br /> ফুলের মালায় ভনভনে মাছি !<br /> আজ শমন আসে ছদ্দবেশে ।</p>
<br /><p>#everyone</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/papi/পাপী 2024-02-21T20:06:53-05:002024-03-15T03:32:25-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>পাপী <br />#সুকান্ত_পাল</p>
<br /><p> কোথায় যাচ্ছিস ?<br /> কেন খবর নিচ্ছিস ?<br /> এমনি! - নাম কীরে তোর ?<br /> তোদের দেওয়া শখের " ছিচকে চোর"<br />আজব তো তুই , - বলি থাকিস কোথায় ?<br /> ওই যে খোলা মেলা সবুজের নকশি কাঁথায়!কীভাবে কাটাস ঝড়, বৃষ্টি, রোদের জ্বালা? অদৃষ্টের লিখন! - অভ্যাস তাই সারাবেলা।<br /> বলছি পরিবারে কেউ নেই ?<br /> খুঁজছি সেই পরিবারকেই।<br /> পেলি খুঁজে ?<br /> নীরবে দুচোখে বুজে।<br /> তাহলে এবার খাবি কিছু ?<br /> বাবু , বলছি অযথাই নিচ্ছেন পিছু।<br />থমকে থেকে খানিক হেসে বলেন জোরে ,<br />খাবি না ? বাড়ি যে আমার অনেক দূরে!<br /> নীরব চোখেই পথের বাঁকে চেয়ে থেকে !<br /> সময় ফেরে আজ ফকির বেশে !<br /> অবাক এই মায়ার পৃথিবী !<br /> সব যেন জলছবি !<br /> অচেনা ভয় !<br /> ক্যানভাসে জমা হয়।<br /> তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা।<br />ভগবান নিষ্টুর ! - নির্বাক নিশ্চুপ সর্বনাশা !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/ekdin/একদিন 2024-02-21T09:29:21-05:002024-03-21T06:19:21-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>একদিন তোমাকেও আমি বলবো,<br />কেন পাহাড় হতে চেয়েও পাথর হয়ে গেলাম।<br />একদিন তোমাকেও আমি বলবো,<br />কীভাবে সফেন সাগর থেকে অশ্রুবিন্দু হলাম!<br />হৃদয় গহীনের নীল কলিজার ওই একটুকরো,<br />শুকনো কাঠগোলাপ, - সে তো শুধুই,<br />তোমার জন্য স্ব'যত্নে লুকিয়ে রেখে ছিলাম ।<br />তাই একদিন তোমাকেও আমি বলবো,<br />কোন জাদুতে এখন আর দু'চোখ ভিজে না।<br />নিষ্ঠুর এই একা একার, ক্লান্ত, ব্যস্ত, পৃথিবীতে,<br />পুরুষ যন্ত্রনায় কীভাবে "আত্মহুতি" দিতে হয়!<br />একদিন তোমাকেও আমি সব বলবো।<br />এ পথের কত মানুষকেই তো দিয়েছি ফিরিয়ে!<br />ফাগুনের লাল আগুনকেও দিয়েছি নিভিয়ে!<br />শুধু তোমাকে আবার ফিরে পাওয়ার আশায়!<br />অথচ তুমিই মুগ্ধ হলে অন্যের ভালোবাসায়।<br />একদিন তোমাকেও আমি বলবো, -- কীভাবে <br />কালো মিথ্যাটাকে শুভ্র ছায়ায় ঢেকে নিলাম!<br />নিভে যাওয়া প্রদীপের অন্ধকারে, -- কীভাবে<br />বেঁচে ছিলাম একদিন তোমাকেও আমি বলবো।<br />প্রতিটা রাত যে, - আজও আমায় জানান দেয়, <br />কষ্ট'রা বাড়ি চিনে গেলে আর পিছু ছাড়ে না।<br />এরপর, -- এরপর আর কী ? - এভাবেই,<br />কথা না বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেলো,<br />যেমন একদিন কথা বলতে বলতে হয়েছিল।<br /> অনেক কিছুই পারি! -- তবে তোমার মতো,<br />সহজভাবে অস্বীকার করা তো সম্ভব হয় না।<br />নাহয় তোমাকে ভালোবেসে আমি ভুল করেছি!<br />ভুল করে, - নষ্ট ফুলের রাঙা পরাগ মেখে,<br />পাঁচ দুপুরের নির্জনতাকে আমি খুন করেছি !<br />তবু এক জীবনে আর কতোটুকু নষ্ট হতে হবে ?<br />মানবী আর কতোটা তুমি আমায় কষ্ট দেবে?<br />একদিন তোমাকেও আমি সব বলবো,<br />কীভাবে আঙ্গুলের ডগায় সরীসৃপের জন্ম হয়!<br />কথা দিলাম একদিন তোমাকেই আমি বলবো,<br />কীভাবে ভালবেসে ভালবাসার মানুষ তৈরী হয়!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/kagojer-nouka/কাগজের নৌকা 2024-02-20T06:27:17-05:002024-03-16T17:35:15-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>" পৃথিবীর এই একগুচ্ছ মৃত ঘাসের মতোই ,<br /> একদিন আমিও তো সবুজ ছিলাম। "<br />" ক্ষনিকের আনন্দে, - কর্তব্য লালন পালনে,<br /> একদিন আমাকেও হারিয়ে যেতে হবে! " <br />নিভে যাওয়া প্রদীপের অন্ধকারে বেঁচে আমি!<br />আসলে বেশি যত্নে দুঃখ বাড়ে, আর দুঃখে?<br />মানুষ একদিন "পাতাহীন গাছ" হয়ে যায় !<br />কিছু কথা দীর্ঘশ্বাসের ভীড়েই গোপন থাক ! <br />আবার না-হয় হারিয়ে যেও অচেনা শহরে।<br />উড়তে থাকা সুতো কিছু সময় পর ছিঁড়ে যায়!<br />সব জেনেও 'অলীক সুখে'ই উড়ে চলে ঘুড়ি,<br />দুটো শক্ত বিশ্বাসী হাত যে তাঁর খুব দরকারী!<br />মানুষের 'প্রয়োজন' হওয়াটা খুব সহজ,<br />কিন্তু তার 'প্রিয়জন' হওয়াটা বেশ কঠিন!<br />ও মেয়ে, তুমি কী দুঃখ চেনো? - চেনো না!<br />তবে কেমন করে তুমি চিনবে আমাকে?<br />"আমি যে সেই দুঃখ! - আমাকে ছুঁয়েই তো,<br /> তুমি আজ "অমরত্ব" লাভ করেছো । "<br />অবশ্য ব্যক্তিগত বলতে এখন আমি নিজেই,<br />বাকি সব সুসময়ে এসে অসময়ে চলে গেছে!<br />বুকের খাঁচায় মানুষ পোষা যে বড্ড ঝুঁকির!<br />ঘুম হয়নি বহুদিন, - রাগ ভাঙেনি ছোট্ট খুকির!<br />চোখের নীচে কালো রঙ ছোঁয়া টোল পড়ে যায়,<br />চশমার কাঁচে ঘোলাটে চোখ মরণের খাবি খায়।<br />কাগজের নৌকায় ভালবাসা বিসর্জন দিয়েছি,<br />হালকা ধাক্কায় আজ সে নদীতে মিশে গেছে।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/anuvutir-nil-khame/অনুভূতির নীল খাম2024-02-19T09:01:37-05:002024-03-12T01:18:09-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>" ব্লাউজের বোতামে কিংবা খোলা হুকে,<br />ভালোবাসার মাদকতা দু-চোখে এঁকে,<br />কখনো তোমাকে আমি ভালোবাসিনি।<br />বুকের কয়েক ইঞ্চি ট্রেন বগিতে,<br />হতে চেয়েছি শুধু এক নিঃসঙ্গ পথযাত্রী।<br />যৌন ক্ষুধার তাড়নায় আমি ছদ্মবেশ নিয়ে,<br />অন্তরজালের ফাঁকে কখনো রঙ খুঁজিনি!<br />পোড়া চোখ দিয়ে শুধু দেখতে চেয়েছি,<br />" প্রশান্ত ওই স্থীর মায়াবী চোখ দুটিতে,<br />এ দেহ-লাশের দাম ঠিক কতখানি ? "<br />ইচ্ছে থাকার সত্ত্বেও কথা বলতে না পারা,<br />আসলে সত্যিই যেন এক নির্মম অনুভূতি!<br />মায়ার পৃথিবীতে যেন আর দ্বিতীয়টি নেই!<br />জীবনটাকে যদি ঋতুর সমষ্টি ভেবে নাও,<br />তবে আমাদের মুহূর্তগুলির নাম হোক বসন্ত।<br />এবার তোমার মতো আমিও আকাশ হবো!<br />নামহীন পুষে রাখা যত দুঃখের কালো মেঘ,<br />সেদিন জলের দরে সব আমি কিনে নেবো!<br />লুকানো আছিলায় তবু যদি থেকে যায়!<br />তখন না-হয় সবটুকু দুঃ'খ তুমি আমায় দিও,<br />অনুভূতি মোড়া ছোট্ট একটা "নীল খামে"।<br />"ভালো খারাপ" বলে আজ কিছুই নেই !<br />মন রাখতে পারলে, - "তুমি" বেশ ভালো!<br />আর না পারলেই, - বড্ড বেশী অহংকারী।<br />"বাঁশি ফুলের মতো অপ্রয়োজন বেনামে,<br />তোমাকেও ছুঁড়ে ফেলবে ওরা ধ্বংস স্তূপে!"<br />সেই স্তূপেরই এক সাক্ষী ফিনিক্স আমি,<br />আজও গল্প লিখি "অনুভূতির নীল খামে! "</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/chinnomul/ছিন্নমূল 2024-02-18T11:56:10-05:002024-02-18T18:19:41-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এই যে তুমি, - দূরত্বের নামে অভিনব অছিলায়,<br />চোখের আড়ালে নিদারুণ অভিযোগ সাজাও;<br />এই যে তুমি, - দেখা না করার নিছক বাহানায়,<br />হৃদ-মাঝারে আরও বেশি দূরত্ব বাড়িয়ে দাও,<br />সব বুঝতে পারলেও আমি কিন্তূ চুপ থাকি!<br />"সংসারের বহুরূপী" নাটকের শেষ পার্টে,<br />এক ঝলক দেখবো বলেই তোমার জন্য,<br />কিছু সময় অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকি। <br />একদিন যে প্রেম, তিলে তিলে গড়ে তুলেছি।<br />সে প্রেম আজ বুকের খাঁচায় দীর্ঘশ্বাস জমায়।</p>
<br /><p> তারপর এ মন যে, আর কভু ক্ষান্ত হয়না! <br />ধীরে ধীরে তা ঘৃণায় পরিবর্তিত হয়ে যায়।</p>
<br /><p>দূরত্বের বাহানায় তুমিও এক ক্লান্ত বিকেলে,<br />হারিয়ে গেলে অচেনা শহরে মানুষের ভীড়ে ।<br />বিদায়ে সবাই চিৎকার করে বলছিল "বিচ্ছেদ"!<br />তুমি বললে, - এ ভালোবাসার নাম "প্রাক্তন"।</p>
<br /><p>প্রেমিকা, - সে হয়তো আজ মহান অভিনেত্রী!<br />আমিহীন জীবনে তাঁর "নব জোয়ারের সুখ",<br />ভেতর ঘরে আমিই কী একলা বন্দি কয়েদী?<br />আমি কবে আবার তোমার "অচেনা মুখ"।</p>
<br /><p>জীবন তবু চলে যায় জীবিত থাকার অভিনয়ে,<br />ওই কাঁচের ছবিঘরে আমি স্মৃতি-সারণী বেয়ে <br />হৃদ-মাঝারে শুধু অ'তীত পুষতে থাকি কতশত।<br />এ যাবৎ কেউ তো কখনো ফিরেও দেখে না!<br />ওই শীতল তরলের সাদা-কালো ছিন্ন পরানে, <br />রঙের পরশে কীভাবে স্মৃতির আত্মা হয় নিহত।<br />তবু যার নিদ্রায় তৃপ্ত হয়ে যায় এই নীল দৃষ্টি,<br />মিটে যায় সমস্ত "শারীরিক ক্ষুধা" কামনা।<br />কখনো সে যদি আমায় গরল পান করিয়ে দেয়,<br />তবে আমার তা যেন মনে হয় "অপূর্ব দেবসুধা"।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/bohurupi/বহুরূপী 2024-02-17T09:30:19-05:002024-03-11T17:42:47-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>উত্মাল জনতা, লাশের ভীড়ে আমি দেখেছি,<br />শহরের বুকে কাউকে একটু বেশীই মূল্য দিয়ে !<br />তুচ্ছ বৈ, আমায় তো সে আর কিছুই ভাবেনি!<br />সমাজের বুকে হেঁটে চলেও আমি দেখেছি,<br />মানুষের ঐ কদর্য নগ্নরূপ! - তাঁর হিংস্রতায়,<br />নিষ্ঠুরতার যেন পাষন্ড পাশবিক প্রবৃত্তির রঙধনু<br />শঠতার ভীড়ে কীভাবে সততাকেও হার মানায়।মানুষ মানুষকে কাঁদিয়ে আজও ঈশ্বর পূজারী!<br />মসজিদ ভেঙে মন্দির, - ধর্মের নামে বাটপারি!<br />লাভ নেই ! - পূণ্যফল লুম্পেন কপালে জুটেনি।<br />বীজ রোপণের কুশলে বিষ ঢুকিয়ে দেখেছি,<br />নীলকন্ঠ শোভিত উদ্যান পর্যন্ত হাঁটা যায় কিনা!<br />কাঁটার পথে অন্ধ পথিকের মতো হেঁটে গেছি!<br />অথচ কাঁটার দোষ অমি কীভাবে দিই বলো ?<br />পা তো নিজেই ছুঁইয়ে হেঁটে চলেছি অনন্ত পথ।<br />এখনও যে কেন মানুষ মিথ্যাকেই বিশ্বাস করে!<br />সত্যি তো আজও প্রমাণ দিয়েই প্রমাণিত হয়।<br />শুনেছিলাম সময়কেও নাকী বদলে যেতে হয়,<br />এখন সময়ই প্রতিনিয়ত আমাকে শেখায় যে,<br />স্বার্থের পৃথিবীতে কীভাবে মানুষেরও বদল হয়।<br />ভেজা মুহূর্তগুলো শুধু রয়ে যায় স্মৃতি পাড়ায়।<br />অবেলায় অবসরে ওরা যে চঞ্চল হৃদয় নাড়ায়।<br />যদি মৃত্যু হতে! - একদিন ঠিকই ফিরে আসতে।<br />তুমি যে আমার জীবন! -- ছেড়ে তো যাবেই।<br />আবার কখনো ইচ্ছে হলেই, আমায় ডেকে নিও<br />সময়ের ঘেরাটোপে আজও অমি বন্দী থাকি!<br />মানুষরুপি বহুরূপী, তাঁর বহুরুপ আমি দেখেছি<br />তবে আমি তো আর সেই গলে যাওয়া সময় নই<br />যে চাইলেও কখনো ফিরে আসতে পারবো না।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/muktir-pandulipi/মুক্তির পাণ্ডুলিপি 2024-02-16T14:04:29-05:002024-03-11T17:41:55-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>" মুক্তি " পাওয়ার জন্য ছটফট করা মানুষটাই,<br />একদিন দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যখন "মুক্তি" পায়।<br />সে-ও বুঝতে পারে, আসলে "মুক্তি" চাওয়াটাই,<br />তাঁর যেন জীবন অধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ ভুল বোধহয় !<br />" আমি শুধু তাঁর প্রেমিক হতে পারিনি " বলেই,<br />এভাবে পেঁচার মতো এই চোখ দুটো রাত জাগে,<br />' তুই ' কেন্দ্রিক ভাবনায় ' তোকে ' কেন্দ্র করেই,<br />না আসা যায় কাছে, -- না যাওয়া যায় বহুদূরে!<br />অধিকার হারিয়ে ফেলেছি বলেই এতো সাধনা।<br />বিকেলের আলো ছুঁয়ে আমি দেখেছি অনন্যা,<br />কত যে রূপ! - কত যে মাধুর্য তার পরতে পরতে<br />সব যেন ওই আবছা আলোর ভীড়ে খুঁজে পাই !<br />ধীরে ধীরে আগ্রহ ফুরিয়ে গেলে একদিন ঠিকই,<br />আমিও সবার অলক্ষ্যে শূন্যতায় হারিয়ে যাবো।<br />জ্বালানি ফুরালে কুপির আগুন নিভে যায়।<br />নিভে যায় পোড়া চুল্লীর গনগনে আগুনের আঁচ!<br />তবু কেউ তো কখনও কাছে ডেকে নিরালায়,<br />বলেনা, - আমি আছি, আমার জন্য তুই বাঁচ।<br />খাঁচায় বন্দী পাখীর মতোই আজ "তুইও",<br />মুক্তির জন্য ছটফট করিস! - তাই 'তোকে'ও,<br />ওই আকাশের সুনীলে 'আমি'ই নিজের হাতে,<br />অভিমানে একদিন 'উড়িয়ে দিয়েছি ।<br />"তুই" কী জনিস? - আজ 'তোকে'ই মুক্তি দিয়ে,<br />এভাবেই আমি বিস্তর মুক্তি পেয়েছি !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/august-biplob/আগস্ট বিপ্লব2018-08-08T14:38:45-04:002023-06-24T21:15:41-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>জন্ম, মৃত্যু, শোক, কিংবা স্বাধীনতা নই!<br />কালক্ষয়ের জন্য শুধু একটা আগস্ট চাই!<br />.<br />অর্বাচীন ফ্যাকাসে মুখের আড়ালে যে মুখোশ,<br />ক্রমশ এই পৃথ্বী-কে গ্রাস করে চলেছে,<br />সেই সুশীল একাত্ত বর্ষার পিঞ্জরে পিঞ্জরে,<br />কিছুটা সুখ-শান্তির বীজ রোপণ করতে চাই!<br />.<br />মিথ্যে স্বাধীনতার গুঁড়ো-আবর্জনায় মন আজ ভারাক্রান্ত!<br />কালগ্রাসী, বিষণ্ণ, ঘন-কালো পরিযায়ী মেঘের কুণ্ডলী,,<br />শ্রাবণধারায় রক্ত ঝরিয়েও আজ বঙ্গের বন্ধু!<br />তবু এ মন একটা আগস্ট চাই!<br />.<br />যে আগস্টে হত্যা নেই, -- শোক নেই,<br />নেই কোনো বিস্ফারণ! -- আছে শুধু শান্তি...<br />যে আগস্ট বাঁচে, -- যে আগস্ট বাঁচাই!<br />এ হৃদয় তেমন-ই একটা আগস্ট চাই....<br />.<br />যে আগস্ট স্বাধীনতার গল্প বলে না....<br />যে আগস্ট বাইশে শ্রাবণ মানে না!<br />যে আগস্ট দেশলাই কাঠি বুকে নিয়ে,<br />রবির ভারত তীর্থ--কে বিষ-বৃক্ষ মানে। -- তাই...<br />.<br />আহ্বান নই, -- শুধু একটা বিপ্লব চাই!<br />যেখানে পরিবর্তন উন্নয়নের শিখরে হেঁটে যায়!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/laterite/ল্যাটেরাইট2018-07-21T13:17:50-04:002023-06-24T14:41:23-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ক্লান্ত পরিযায়ী নীড়ে ফেরা এক ফাঁক পাখি,<br />সন্ধ্যার আকাশ জুড়েই যেন তাদের ছাপোষা জীবনের বিড়ম্বনা,<br />ক্রমশ প্রকট হয়ে উড়ে চলে দূর থেকে দূরন্তে,<br />কেশ কালো দিগন্ত রেখার পথ ধরে মায়াবী মেঘমল্লারে।<br />মোমবাতির নিভু-নিভু নীলাভ প্রদীপ শিখার নীরব মিছিলে,<br />তারপর আস্ফালকের মতো একে একে সামিল হয়ে যায়,<br />কালজয়ী মেঘে ঢাকা তারাদের মিলিত ক্ষয়িষ্ণু কালপুরুষ।<br />নির্মোক আলোকে কয়েকটা সুশীলা ঝিঁঝিঁর মুখে পটি মেরে,<br />ওরা এক-এক করে কুড়িয়ে নেয় শরীরী রুপ-রস-গন্ধ,<br />যৌবনের অঙ্গীকার আর একনায়কত্বের জন-গণতান্ত্রিক আমরণ অধিকার।<br />জলের বুদবুদ ফেটে একটা লালচে হিম-শীতল স্রোত,<br />রূপালী আলোয় ক্রমশ ফুলে-ফুলে উঠে আবার মিলিয়ে যায়।<br />ফাঁসির দড়ি হতে বেরিয়ে আসে দমবন্ধের শেষ-নিশ্বাস!,<br />আজন্মের চিরচেনা পাখির চিৎকার আমাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে মারে।<br />ল্যাটেরাইট দেখলেই বড় ভয় হয় গো আমার!<br />হয়তো শিকারের শুরুটা এই রক্তাক্ত মাটির পাটি হতেই!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/rajnitir-nitik/ভালোবাসা তোমারে সেলাম 2018-06-27T17:39:10-04:002024-03-20T14:47:15-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>দু-আঙুলের ফাঁকে একটা গভীর সুখটান!<br />কিছুটা ধোঁয়া, কিছুটা ধুলো! -- আর বেশ কিছুটা,<br />বহু সাধের, সুসজ্জিত গোলাপের বিছানায় নির্জন দুপুর,<br />কিংবা অভিসপ্ত রাতের অতীত স্মৃতি, -- ইতিকথার আত্মহুতি!<br />কিছু ভগ্ন হৃদয়ের মরা পূর্ণিমার আলো ঝলসানো প্রেম,<br />আজ শুধুই ফোনেটিক্স! -- ভার্চুয়াল! সেক্সচুয়াল!<br />একবিংশের মানুষী, আর তার রহস্য ! -- ডাইরির পাতায় আজও ডকুমেন্ট্রী!<br />ইনকামিং ক্লিয়ার !!! -- কিন্তু আউট গোয়িং সেইতো ওয়েটিং!<br />তবুও বিসর্জন ! -- বিবেক, আবেগ, সহানুভূতি, মানবতা নিশ্চিহ্ন !<br />" লাইলা নেই! - মজনু সেইই! " -- তাই ভালোবাসা তোমারে সেলাম!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/atmobiswas/আত্মবিশ্বাস2018-06-26T16:11:48-04:002023-06-24T14:41:18-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>সময়ের অবকাশে ভাগের পরিহাসে --- নন্দিনী,<br />সকলের ঘুমঘরে স্বপ্নের হাত ধরে -- আজ আবার তোমায় দেখলাম !<br />তোমার শান্ত দীঘল চোখে স্থির জলের মগ্নতা এঁকে -- রাজনন্দিনী,<br />রোগা শালিকের বিবর্ণ হৃদয়ের -- আরও কিছু স্বপ্ন-সুখ সাজিয়ে রাখলাম<br />তুমি আসবে বলে, পালে পালে -- লেগেছে বসন্তের হাওয়া,<br />তুমি দেখবে বলে, ডালে ডালে -- শিউলি, কাশের মেলা,<br />তুমি শুনবে বলে, কিঞ্চন-অকিঞ্চনের এক সুরে -- সাম্যের এই গান গাওয়া,<br />তুমি গাইবে বলে, পাখিদের কলাতানে -- মুখরিত সারা বেলা !<br />জানো নন্দিনী খুব ইচ্ছে ছিল -- আরও কিছুক্ষণ তোমাকে দেখবার,<br />ইচ্ছে ছিল তোমার ওই বয়সী চোখে-ঠোঁটে প্রেমের চুম্বন চিহ্ন আঁকবার !<br />কিন্তু হলো আর কই ? -- রবি-নন্দিনী, তুমি যে রবির অংশ,<br />তাই ছলে-বলে, রূপ-রস-গন্ধে -- প্রেম অনলে পুড়িয়ে আমাকে করেছো ধ্বংস!<br />অথচ দেখো -- আমি এই ধ্বংস স্তূপের নীচে থেকেও <br />কোনদিন কিছু বুঝে উঠতে পারিনি ! -- হে নন্দিনী,<br />কখন যে সাইক্লোন এসে তোমার শরীরি চাওয়া-পাওয়ায় মিশে গেছে,<br />আমি আজও তা বুঝে উঠতে পারিনি -- হে মায়াবিনী,<br />তাই আজও ঘুম-ঘোরে, নীলিমার ওই দূরে -- দরজায় কান পাতি,<br />তুমি আসবে বলে পথ চেয়ে, বুকে হাজার বছরের জমানো যন্ত্রণা নিয়ে -- রাত জাগি,<br />এই বুঝি প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শেষ হল -- এই আশায়,<br />যুগের পর যুগ স্বপ্ন সাজিয়ে নন্দিনী আজও আছি তোমার প্রতীক্ষায়,<br />জানি একদিন তুমি ঠিকই ফিরবে আমার এই নষ্ট নীড়ে,<br />মরণের আগে-পরে হয়তো কোনো একদিন -- দেখো তুমি ঠিক ফিরবেই আমার এই নষ্ট নীড়ে !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/ovishapto-rojoni/অভিশপ্ত রজনী2018-06-24T17:13:16-04:002023-06-25T23:43:07-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ঢলে পড়া দুটি চোখ,<br />একটা রেপ্টড্ হয়ে যাওয়া রজনী,<br />চাতকের দেহ মাংসের তৃষ্ণা,<br />আমার বুকে, তোমার যামিনী কায়া:<br />তোমাকে পাওয়ার লেলিহান শিখা জ্বলিয়ে দেই।<br />একটা অকাল ভাদর যৌবনের বুকে চাবুক মারে!<br />অকস্মাৎ বজ্র বিদ্যুতে এক পশলা বৃষ্টি !!<br />দামকা হাওয়ার অবসান !!!<br />উঠোন ভেজা এক নোংড় জল,<br />পরিবেশের পরিবর্তন নাকি বির্বতন ?<br />এই কী পৃথিবীর ইতিকথা নাকি অশ্লীলতা ?<br />আর কত ধর্ষিত হতে হবে ধর্মের চাকায় ?<br />যেখানে কন্ডোম হাতে, ' ভক্ষক আজ রক্ষক ',<br />সেখানে রোজ রাতে,.দ্রৌপদীর বস্ত্র-হরণ হই,<br />যেখানে মন্দিরের আজান আর ঠাকুরের সংকর্ত্তীণ,<br />আজ দু-টাকার চটি বইয়ে চাপা পড়ে !<br />সেখানে মানব ধর্মের বিবর্তন কেমন করে সম্ভব!<br />আমি নাহয় অধম, তুমি তো উত্তম !<br />' বিড়ালের মাছ বাছা ' একি তোমার মাধ্যম ?<br />রাত জেগে ঢলে পড়া চোখে,<br />আজও তোমার বর্বরতা আর আমার কা-পুরুষত্বা,<br />নিশীর প্রহরে প্রহরে হেঁকে যায় অচল দরিয়ায়,<br />একটা দমবন্ধ নিশ্বাস, হালকা নিকোটিনের ধোঁয়া,<br />ইতি টানে গলে যাওয়া একফালি রূপালি কবিতায় ।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/r-ekta-sunami-chai/আর একটা সুনামি চাই !2018-06-23T16:08:06-04:002023-06-25T00:09:07-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>বলতে পারো সম্পর্কগুলো এমন কেন হয় ?<br />অহ্নিক গতিতে শেষ, বার্ষিক গতিতে কেন নয় ?<br />কাল যে আপন ছিল, আজ সে তো পর!<br />কাকে নিয়ে বাঁধবো তবে সাধের এই খেলাঘর ?<br />বিশ্বাসের দেওয়ালে যে আজ অবিশ্বাসের শ্যাওলা জমছে!<br />তাইতো সম্পর্কের পর্ণ কুটিরেও ফাটল ধরছে ?<br />প্রেয়সীর গলে যাওয়া প্রেম, আর বন্ধুদের বিদ্রুপ, এই কি যথেষ্ট নয় ?<br />তবে আর কীসের ভাঙন, আর কীসের-ই বা ভয় ?<br />ওকে ভাঙতে দাও!<br />ভেঙে ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে দাও।<br />আমি দেখি, ও আর কতটা নিজেকে ভাঙতে পারে!<br />ভাঙনের নেশায় ও কখন নিজেকে বালুকণায় পরিণত করতে পারে।<br />শতাব্দী পর শতাব্দী ও নাহয় এভাবেই ভেঙে চলুক,<br />তারপর একদিন সুনামিতে পৃথিবীটা আর একবার কেঁপে উঠুক!<br />দিকশূন্য হয়ে উড়ে আসুক ভাঙনের সমস্ত কণাগুলো,<br />আর চাপা পড়ে যাক অবিশ্বাসের যত ময়লা ধুলো!<br />তারপর নাহয় আরও একটা যুগ কেটে যাক জীবাশ্ম হয়ে,<br />তবুও তো একদিন বৃষ্টির জলে সমস্ত গ্লানি ধুয়ে,<br />ফিরে পাবো মানবতার দৃঢ় বন্ধন আর বিশ্বাস,<br />ফিরে পাবো প্রেয়সীর প্রেম আর বন্ধুদের দেওয়া আশ্বাস,<br />বলতো সেদিন কেমন হবে ?<br />যেদিন এই খোলা নীল আকাশটাই আমাদের এক ছাঁদ হবে,<br />আর সেখানে তোমার-আমার মতো হাজার হাজার মানুষ সামিল হয়ে,<br />ধর্ম, রাজনীতি, স্বার্থ নয় শুধুই মানবতার জয় ধ্বনি দিয়ে,<br />গেয়ে যাবে মানুষের জয় গান,<br />আর ফিরে পাবে নিজের আত্মসম্মান!<br />সত্যি করে বলতো সেদিন কেমন হবে ?<br />তাই এই ভবে,<br />আর একটা সুনামি প্রয়োজন !<br />হে মানুষ তোমরাই করো তার আয়োজন!<br />সত্যি বলছি আর একটা সুনামিই যথেষ্ট, সমস্ত কিছু বদলে দিতে ,<br />যদি পারো, তবে সংঘটিত করো, এই পৃথিবীকে বদলে নিতে !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/nirmok-alo/নির্মোক আলো2018-06-22T07:40:20-04:002023-06-24T14:41:24-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>অভিমানী রাত সেতো শুধুই টিমটিমে সোডিয়ামের আলোয় দেমাকি!<br />মেঘে ঢারা তারা সেও-তো শুধুই একটুকরো বোবা-কানা জোনাকি!<br />অখ্যাত পাড়াগাঁ-র ভিনদেশি চপলা-চঞ্চল গোবদা সেই গৃহবধূ তরুণী!<br />বুকে যার জীবন্ত-ফসিলে জ্বলে ওঠা ক্লান্ত-বিহ্বল বীজগাণিতিক করণী!<br />মুখে যার দুর্বৃত্তের অম্লান মায়াবী নিদারুণ করুণার আট্টহাসি!<br />অভিমানী রাতের বুক চিরেই জন্ম তার কলঙ্কিনী পরবাসী!<br />অথচ রোজ-রাতে চেয়ে দেখি পর্দার আড়ালে পণ্যের নষ্টামি!<br />সুবিশাল জন-সমুদ্রের বাতিঘরে আজ বাতিকগ্রস্ত মেকী মানব-স্বত্বার ভণ্ডামি।<br />আসলে কর্দমাক্ত প্রস্ফুটিত শাপলাও আজ অন্ধকার দশায় মূর্তিমান অবিরত!<br />ফণিমনসার সূচালো পত্রফলকে একমাত্র আলোক-শোষণ! তবুও অন্তর-অলিন্দে লুকানো ক্ষত!<br />ক্রমশ কুরে কুরে খায় যৌবন-জৌলুসে জ্বলে ওঠা আমার আমিত্বকে!<br />আর তখনই বোবা-কানা জোনাকি পোকার দল আমার দু-আঙুলের ফাঁকে-ফাঁকে,<br />হঠাৎ জ্বলে ওঠে। - বারেবার আমাকে প্রশ্ন করে, - হে কবি,<br />আমার আমিত্বে আমি কি কিছুই নই ? -- আমি শুধু ভাবি,<br />যে আলো দেহ ভেঙে দেহ গড়ে প্রত্যয়ের হয় অনুসারী!<br />সেই নির্মোক আলোকে আলোকিত হয়ে কীভাবে আমি হবো আলোর-দিশারী ?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sukno-mehegoni-pata/শুকনো মেহগনি-পাতা2018-06-21T04:54:23-04:002024-03-27T03:49:31-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>মেহগনির কালচে-বিবর্ণ ঝরে পড়া একটুকরো শুকনো পাতা,<br />বিন্দু-বিন্দু শিশিরে-ই সিক্ত যেন তার সকল শরীরী উন্মাদনা!<br />প্রফুল্ল মন, বয়সী চোখ, ছা-পোষা জীবনের বিড়ম্বনা,<br />অজ-বীথির চক্রব্যূহে, নিরাকার, নিশ্চল দেহে, তবুও শুধুই উত্তেজনা!<br />রাত ক্রমশ গভীর থেকে গভীরে তলিয়ে যায়,<br />নিভু-নিভু প্রদীপ শিখারা তখনও শুধুই নিরালায় হিজিবিজি স্থূল-ভাবনায়,<br />বৈকল্যের বোঁচকা খুলে বিলিয়ে দেয় যৌবন সুধা,<br />ঠিক যেমনটি এই মহা-ভারতে বিলিয়ে দিয়েছিলো কলঙ্কিনী রাধা!<br />ঠিক তেমনই এক মোরক-ফুলে আগুন লাগা বসন্ত-সন্ধ্যায়,<br />আমি অঞ্জনাকে একটিবার মাত্র দেখেছিলাম খোঁপা ভর্তি রজনীগন্ধায়!<br />পবনের ঊর্জ-স্বলে, ছিন্ন-শতমুলী, জন্ম দিয়েছিল একটি ভ্রুণ!<br />কালচে-বিবর্ণ মেহগনি-পাতা জুড়ে আজ সেই রক্তে-রাঙা রাম-রাবণের খুন!<br />প্রতিটা পলে-পলে জানান দেয় ঘর-শত্রু বিভীষণের পুনরাবৃত্তি!<br />কিংবা মর্মাহত, বিষণ্ণ, যান্ত্রিক, কঠোর, বাস্তব, জীবনের অতীত-স্মৃতি!<br />শুধু ভোলার ছলে ভুলে যাই নিদারুণ বাস্তবতা,<br />তাই জীবন্ত-ফসিলে জ্বলে ওঠা আমি এক শুকনো মেহগনি-পাতা!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/srisrishti-sukher-ul/শুধু তোমাকেই চাই2018-06-18T11:41:24-04:002023-06-24T14:41:51-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>বহু পুরনো, ধুলো পড়া পান্ডুলিপির পশরা সাজিয়ে,<br />নন্দিনী, আজ আবার তোমায় অঞ্জলি দিলাম, -- অশ্রু বিগলনে!<br />জীবনের চাওয়া-পাওয়ার হিসেবগুলো আজ যখন গভীর সংকটে প্রকট হয়ে, <br />নিরালায় ঝড় তোলে, আমার শান্ত-শীতল গহীন মনে!<br />তখন সমস্ত পৃথিবী একদিকে, আর একদিকে শুধু তুমি!<br />বনলতা, নীরা, আজ যখন কবিতার ঘুম-ঘোরে, আমাকে জাপটে ধরে,<br />প্রশ্ন করে, - " হে প্রিয়তম, তবে ভালোবাসা কারে কয় ? "<br />দু-আঙুলের ফাঁকে 'মানুষীর মনুষ্যত্ব' তখন কৃত্রিম জোনাকি হয়ে,<br />লাল শিখাই জ্বলে উঠে উত্তর দেয়,- " তবে একি ভালোবাসা নয় ? "<br />শুধুই কি নগ্নতা, যান্ত্রিকতা, ব্যস্ততা, কিংবা দেহ ভোগের পুণ্যভূমি !<br />জানো নন্দিনী, সোডিয়ামের ক্ষীণ আলো, যখন মুছে দেয় সমস্ত কালো!<br />তখন শুধুই এক কোণ আলেয়া হয়ে বলতে ইচ্ছে হয়, - " শুধু তোমাকেই চাই ! "<br />দিনের শেষে, শেষ হাসিটি হেসে, -- একফালি জ্বলন্ত সূর্য,<br />যখন সমস্ত পৃথিবীর গ্লানি, লাঞ্ছনা, প্রবঞ্চনা বুকে নিয়ে পাখিদের নীড়ে ফিরে যায়!<br />তখনও একটা সন্ধ্যা তারা হয়ে, কালের ক্ষয়ে আমি গগণ চুমি!<br />এই বুঝি তোমার ভাঙা-গড়ার খেলা শেষ! আর তুমি শুধু আমার হবে,<br />হোক না সেটা রাজনন্দিনী, রবিনন্দিনী, কিংবা সুকান্তর নন্দিনীর বেশ!<br />তবুও তো চাতকের মতো একবুক তৃষ্ণা নিয়ে, হে গর্জনশীল ষোড়শী,<br />তোমার আলতো ছোঁয়া পাবো! -- পাবো একটা সীমাহীন ভালোবাসার স্বপ্নের দেশ!<br />সেখানে নাহয় ভালোবাসার জাল বুনে তোমাকে আটকে রেখে আমি,<br />বারবার বলে উঠবো, " তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, শুধু তোমাকেই চাই ! "</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/cholo-r-o-ekbar-valobasi-two/চলো আরও একবার ভালোবাসি -- 22018-06-17T15:40:28-04:002023-06-24T14:41:19-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>রক্ত গোলাপ হাতে নিয়ে হে প্রেয়সী<br />আজ আবার আমি তোমার সম্মুখীন হয়েছি,<br />এক চিলতে সুখের আশায় আজ আবার,<br />বিচ্ছেদে বুনিয়াদির বীজ রোপণ করতে চাইছি!<br />জানি এই সমাজ আমাকে দেখে হেসে গড়াগড়ি খেয়ে বলবে,<br />" ছিঃ পুরুষ ছিঃ ! শেষে নারীর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করছো ? "<br />আমি ধীর স্থির শান্ত মনে ওদের বলবো,<br />" তোমরা একে আত্মসমর্পণ কেনো বলছো ?<br />কালির পায়ের তলায় কি শিব বুক পেতে দেয়নি?<br />নাকি গগন ললাটে ধরিত্রীর বুকে রুদ্রদেব স্থাপিত হয়নি ?<br />সাহারা, কালাহারি, গোবি এরা তো এক একটা মরুভূমি,<br />কই তাবলে তো গোটা বিশ্বটা ধূসর বালিতে ছেয়ে যায়নি!<br />আমি তো সামান্য এক মানুষ, প্রেয়সীর প্রেমে পাগল,<br />তাই তোমরা একে দয়া করে আত্মসমর্পণ বলোনা,<br />হয়তো শেষবার ভাঙনে আমার প্রেয়সীর ভূমিকায় বেশী ছিল,<br />তবে যে আমি একেবারেই নির্দোষ ছিলাম এটাও তো বলতে পারিনা ! "<br />তাই আবার এসেছি হে প্রেয়সী তোমার দুয়ারে,<br />আমার সকল প্রেম-ভালোবাসা উজাড় করে দিতে,<br />তুমি কি পারবে এই রক্ত গোলাপ হাতে নিয়ে,<br />আমাকে তোমার ভালোবাসার আলিঙ্গনে মুড়ে নিতে!<br />তুমি কি পারবে আরও একবার আমাদের মাঝে,<br />বিশ্বাসের অদৃশ্য দেওয়াল তুলে চলার পথের সঙ্গী হতে ?<br />হাতে হাত, চোখে চোখ, ঠোঁটে ঠোঁট রেখে,<br />আরও একবার উষ্ণ ভালোবাসার চুম্বন চিহ্ন এঁকে দিতে।<br />নাকি এখনো মিথ্যে অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে,,<br />আরও একবার বিদায় জানিয়ে বলবে, " 'আজ আমি তবে আসি'! "<br />হে প্রেয়সী পারলে একবার বুকে হাত দিয়ে দেখো প্রতিটি স্পন্দনে,<br />শুনতে পাবে, " ভালোবাসি, ভালোবাসি, শুধু তোমাকেই ভালোবাসি ! "</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/cholo-aro-ekbaar-valobasi/চলো আরও একবার ভালোবাসি2018-06-16T17:22:20-04:002024-03-28T08:29:12-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>জ্বলন্ত সিগারেটের বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার সংকীর্ণ পথ পেরিয়ে,<br />আজ আবার বহুদিন পর আমার কর্ণকুহরে পুলক জেগেছে,<br />বারবার আন্দোলিত হয়েছে শাসন বারণের সুমিষ্ঠ কন্ঠধ্বনি !<br />আর প্রতিবারই প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এসেছে নিরালায়!<br />এককী আপণ মনে, মনে পূরবী জাগিয়ে ভৈরবী গেয়ে গেছে,<br />বহুদিনের অতি পরিচিত তোমারই পাগল করা কন্ঠধ্বনি ।<br />আমি তোমাতে আকন্ঠ ডুবে, -- এক এক করে <br />সাজিয়ে গেছি প্রেমান্ডুলিপি !<br />জলছবি হরফে আমার প্রতিটি রক্ত কণিকায় লিখে গেছি, -- তোমারই নাম!<br />আজ প্রতিটা প্রতীক্ষিত প্রহর জুড়ে বারবার শুধু মনে হয়েছে,<br />আমার কাছে সমস্ত পৃথিবীটা একদিকে -- আর একদিকে শুধু তুমি।<br />বিন্দুতে সিন্ধু গড়তে চোখের কোণে জমানো এক ফোঁটা অশ্রুবিন্দুও,<br />আজ অকালে ঝরে যাওয়ার আগে করুণ স্বরে শেষ আর্জি জানিয়ে গেছে,<br />হে প্রিয়তমা, " চল আরও একবার ভালোবাসি '!<br />হৃদয়ের ক্যানভাসে জমে থাকা সমস্ত বুক চাপা বোবা কান্নারাও,<br />আজ মুক্তির দাবিতে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে চেয়েছে!<br />বারেবারে আমাকে কাঠ গোড়ার সম্মুখ দ্বার দেখিয়ে,<br />জানতে চেয়েছে প্রেয়সী তোমার কথা, আমি নিশ্চুপ মনে,<br />শুধু জপে গেছি,,, -- " চল আরও একবার ভালোবাসি '!<br />আমার ভেতরের সুপ্ত বিবেক বারুদ তখনও গভীর সুষুপ্তিতে ভরপুর মাতাল!<br />তাই মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা সমস্ত কামনা বাসনারা,<br />খোলা বারান্দায় মাথা তুলে কামনার লালারস ঝরিয়েছে!<br />আর্জি জানিয়েছে, -- ' একদিন নিরালায় তোমাকে খুব করে ভালোবাসার! "<br />হে প্রিয়তমা তুমি কি আবার মিথ্যা অভিমানে দূরে সরে যাবে ?<br />নাকি সব অভিমান মুছে চোখ চোখ, হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট রেখে,<br />আলতো স্পর্শে আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব করে ভালোবেসে,<br />বলে উঠবে, -- ' চল আরও একবার ভালোবাসি ' !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/chirkut-2/ চিরকুট 2 ( প্রেয়সীর জন্য )2018-06-13T14:11:48-04:002024-03-27T03:45:19-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>মনে পড়ে সখি, সেদিনের সেই প্রথম দেখা,<br />নির্জন দুপুর, কলেজ চত্বর, তুমি আমি একা!<br />কমলা শাড়ি, খোলা চুল, আর কাজল কালো চোখে,<br />কখন যে তোমার ছবি, আনমনে এঁকে নিলাম আমার এই বুকে।<br />তা আমি আজও বুঝে উঠতে পারিনি ।<br />তবে কি তুমি বলবে সময় থমকে গেছে ?<br />নাকি স্রোতের টান তোমার রূপে মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ?<br />না সখি না! সময় আর স্রোত যে থেমে থাকার নয়, তা আমি বেশ বুঝি,<br />তবে কেন যে, হাজার একাকীত্বের মাঝেও তোমাকে বারবার খুঁজি,<br />তা আমার কাছে আজও অজানা !<br />এরপর মনে পড়ে, একবার বকুলতার মাঠে,<br />যখন সকালের সোনা রোদ, বিবর্ণ হয়ে বসেছিল পাটে,<br />যখন শুভ্র ধবল বকগুলি, এক পেট সন্ধ্যা নিয়ে,<br />রাখালের পালে পালে পা মিলিয়ে,<br />ফেরারি হয়ে উঠেছিল, তখন আমাদের দ্বিতীয়বার দেখা !<br />এক অসহায় বৃদ্ধ মাকে, যখন পরম স্নেহে বুকে জড়িয়ে নিলে,<br />হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে হাত ধরে, যখন রাস্তা পার করে দিলে,<br />ইচ্ছে ছিলো তখনই, বিপ্লবীর মতো সম্মুখে ছুটে গিয়ে,<br />শুধু একটিবার তোমাকে বাহুডোরে জড়িয়ে নিয়ে,<br />হাজার শতাব্দীর জমানো কথাগুলো এক নিমেষে বলে ফেলি।<br />কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও, নিজেকে সেদিন বিপ্লবী করে তুলতে পারিনি,<br />ভালোবাসার কথা শুনে যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কেঁপে উঠে ধরনী,<br />তাই চাতকের মতো তৃষ্ণা নিয়ে আজও আছি বর্ষার অপেক্ষায়,<br />কতো প্রহর, কতো দিবস, কতো রজনী কাটাচ্ছি শুধু তোমার প্রতীক্ষায়।<br />যদি পারো বৃষ্টি হয়ে নেমে এসে, বিঘ্ন ঘটাও এই প্রতীক্ষার !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/chirkut/চিরকুট { প্রেয়সীর জন্য )2018-06-12T17:15:40-04:002024-03-05T14:48:41-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আজ আরও একবার ধুলো পড়া ডাইরির পাতা খুলে,<br />তোর দেওয়া রক্ত গোলাপে তোর স্পর্শ অনুভব করলাম!<br />পাতার পর পাতা রঙিন শব্দে বন্দি ভালোবাসায়,<br />তোকে কলঙ্কিনী রাধা রূপে দেখলাম !<br />তাৎক্ষণিক মনে হল মান অভিমানের পালা শেষ,<br />এবার শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাস!<br />কিন্তু বাস্তবতা যখন চোখের সামনে ভেসে উঠলো,<br />তখন বুক জুড়ে শুধুই নিরাশা আর হাতাশা,<br />আমার সমস্ত সুখ স্মৃতিকে ক্রমশ গ্রাস করে,<br />মরুভূমির মরিচিকা করে তুলতে চাইলো!<br />তাই বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে এই সামান্য চিরকুটে,<br />আমার সকল সুখ স্মৃতি তোর জন্য বন্দী রইল।<br />কোনদিন যদি ফিরে আসিস এই নষ্ট নীড়ে, সেদিন নাহয় খুলে দেখিস,<br />বুঝবি রে সখি সেদিন, প্রেম যাতনা কাকে বলে।<br />দেখতে পাবি কত অন্যায়কে প্রশয় দিয়ে,<br />আমাকে ভেঙেচুড়ে তুই গিয়েছিলি চলে,<br />জানি সেদিন তোর আমার জন্য অনুশোচনা হবে,<br />নিজেকে বারবার অপরাধী মনে হবে।<br />ইচ্ছে হবে হেমলোকির সন্ধানী হয়ে,<br />আর একটা শ্মশানমুখী লাশ হয়ে শায়িত হতে এই ভবে।<br />না সখি না! ভালোবাসা তো মরণেই শেষ নয়,<br />তবে কেন আরও একটা অন্যায়কে প্রশয় দেওয়া ?<br />ভালোবাসা তো ব্যাকুলতার মাঝে অকুলতা,<br />অন্তর আত্মার সাথে পরমাত্মাকে কাছে টেনে নেওয়া !<br />তাই যদি পারিস এই চিরকুটে বন্দি ভালোবাসা নিয়ে,<br />আরও একটি প্রাণের জন্ম দিতে, আরও একটি মানুষকে সুখ দিতে,<br />তবেই বুঝবো সখি ভালোবাসা কারে কয়।<br />ভালোবাসা হয় অন্তরে, দুটো শরীরের মিলন নয়!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/nupur-potri/প্রতীক্ষা2018-06-11T18:11:18-04:002024-03-18T08:13:21-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>গগন ললাটে তখনও রুদ্রদেব প্রখর ত্বেজে! -- শাষণ বারণের লালচোখ দেখিয়ে,<br />একফালি মরা বসন্তের বুক থেকে অবিরত শুষে নেয়, -- শিখাহীণ ভালোবাসার যৌবন সুধা ।<br />পোড়া বারুদের আঁশটে ধোঁয়া, ধেয়ে আসে প্রবল বেগে ! -- কন্ঠনালীতে ফাঁসির দড়ি আঁটকে,<br />জানান দেয়, -- অনেক তো হল জীবনের রঙ্গমঞ্চে নাটকের অভিনয়,<br />এবার নাহয় একটু মনুষ্যত্বের সাথে বাস্তবের লড়াই হোক, -- একটা দ্বন্দ্ব হোক!<br />তোমাদের সাজানো গোছানো পরিপাটি, -- স্বার্থপর, লোলুপ ধর্মেও ঘটুক বসন্ত বিলাপ! <br />তামাম এই পৃথিবীর বুক জুড়ে যে নিষ্ঠুর, নীতিহীন রাজনীতি! -- ক্রমশঃ গিলোটিনের মতই,<br />গিলে খায়, -- মানুষের মনুষ্যত্ব, বিবেক, বোধ-বুদ্ধির শুক্রাণু-ডিম্বাণু !<br />তাই একটা দ্বন্দ্ব হোক, কিছুটা রক্তপাত হোক! -- আর ধুয়ে মুছে যাক বিভেদের সমস্ত জীবাণু !<br />তারপর এক এক করে তারাবাতি দিয়ে ওদের মুখ পুড়িয়ে -- আরও কিছুটা অপেক্ষা!<br />আরও কিছুটা প্রতীক্ষার অবসানে ফিরে আসুক শান্তি! -- ফিরে আসুক সবুজ!<br />আর মরা বসন্তের বুকে ফুটুক, -- রঙিন ভালোবাসার শত শত কাঞ্চন ফুল !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/songjom/মানবতা! - চোখ খোলো2018-06-08T17:15:12-04:002023-06-25T02:20:37-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>তবে কি ওরা মানুষ নয় ?<br />ওদেরও তো আছে মৃত্যু ভয়!<br />ধর্ম তবু জাতায় ফেলে !<br />মানুষ খাচ্ছে মানুষ গিলে |<br />রক্ত হলি খেলছে কেউ, <br />নাফের জলে তারই ঢেউ !<br />কোথায় গেলো অভয়বাণী ?<br />মগের হাতে বুদ্ধের গ্লানি!<br />ধর্ম ভুলে, --.কর্ম তুলো!<br />মানবতা! -- চোখ খোলো|<br />জাগো হে মোর বিশ্ববাসী!<br />মুক্ত করো পরবাসী!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/mrittujoyi-majhi/মৃত্যুঞ্জয়ী মাঝি2018-06-05T08:23:59-04:002023-06-24T14:41:23-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ক্লান্ত শরীরে মেঘ জমেছে, -- শ্যাওলা জমেছে মনে,<br />বৃদ্ধা নদীরে বান ডেকেছে, -- যৌবন জোয়ারের টানে!<br />ফাগুন বনেতে রঙ লেগেছে, -- মোরগ ফুলের-ই মতো,<br />আপন মনেতে মাঝি পুষেছে, -- ছিন্ন খঞ্জনার ক্ষত!<br />.<br />নৌকা তখনও মাঝ দরিয়ায় -- অথৈ সাগরের জলে,<br />যাত্রী এখনও কূল কিনারায় -- রাত্রি গিয়েছে গলে!<br />এপার শুধু-ই স্থূল ভরসায়,-- ওপার মিলবে বলে,<br />ওপার ধু-ধু-ই বালু কণিকায়, -- স্বর্ণ শিখারা জ্বলে!<br />.<br />বৈরী বাতাসে পাল তুলেছে, -- দাঁড় কষেছে খেয়া!<br />শৌরি আকাশে চাঁদ উঠেছে, -- মন জুড়িয়ে কেয়া!<br />প্রাণ ভরিয়ে গান ধরেছে, -- দূর পাহাড়ের টিয়া!<br />স্নেহ কুড়িয়ে মাঝি চলেছে -- বৈঠা হাতে-ই নিয়া!<br />.<br />জীবন মরণের এই পারাবার -- গোলক ভূলোকে ধাঁধা,<br />শাসন বারণের ওই কারাগার -- অলীক অসীমে বাঁধা!<br />এই স্রোতস্বিনী, স্রোত হারাবার -- ভয় পুষেছে মনে!<br />মৃত্যু মিছিলে পা মাড়াবার, -- স্বাদ জেগেছে প্রাণে!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/songjom-ekti/ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত নারী !2018-06-04T18:18:07-04:002023-06-24T14:41:50-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ব্যস্ত শহরের নগ্ন করিডোরের আর্শিতে আজও কান পাতলেই,<br />শোনা যায়, - ' ধোঁয়া, ধুলো, ধোঁয়াশা! ' -- দেহের কলঙ্ক,<br />আজ বড় ম্লিয়মান! -- পার্থিব প্রেম, সেতো শুধুই ভার্চুয়াল!<br />বড় জটিল, অদ্ভুত, রোমাঞ্চকর -- জীবনের এই অঙ্ক!<br />আর্যভট্টের 'শূন্যতে' শুরু, আর অসীমে শেষ! -- সাফল্যের বিকিকিনি,<br />আজও মন্দার বাজারে মন্দাকিনী! -- বড় অদ্ভুত, রহস্যময় তাই না?<br />শরীরী লিপলক, প্রেয়সীর উম ভালোবাসা, যখন ধীরে ধীরে সজীবতা ফিরে পায়!<br />দু-আঙুলের ফাঁকে সুখটান তখন সবকিছু শুষে নেয়! -- মুছে দেয় হারিয়েছিলো যা!<br />প্রেয়সী, এই বেশ ভালো আছি! -- ব্যস্ত শহরের নগ্ন কোলাহলে,<br />হাজার মানুষের ভিড়ে, কালের তোলপাড়ে, -- একটা নিশ্চুপ বৃক্ষ হয়ে!<br />একা-একাকী। রঙহীন হাজার ব্যস্ততার মাঝেও, -- ভালোবাসার দিয়া জ্বেলে,<br />তোমাতে আকন্ঠ ডুবেছি, -- মনডুবুবি হয়ে! - শত ব্যথা সয়ে।<br />কোনদিন আমার কবিতার অক্ষরগুলো, জ্বলে উঠে, তোমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাইনি!<br />চিরকাল শুধু কালির আঁচড়ে বয়ে গেছে, -- বিন্দু বিন্দু বীণাপানিতে!<br />তবুও সিন্ধুতে, কোনদিন কুন্দুলি মানুষী মেলেনি! -- মিলেছে সুকান্তর নন্দিনী!<br />মিলেছে কপটতার জাদুকরি! - মিথ্যাচার! সম্ভাষণ! -- দেহ কলঙ্কের গ্লানিতে,<br />তাই বারেবার, ব্যর্থ সার্টিফিকেট বুকে নিয়ে, -- দেখেছি বাংলার মুখ!<br />-- সেকি অপরূপ, মায়াময়! - অনুরূপ, চিন্ময়! - শান্তালু শান্তির নীড়! - দশচক্রের আস্তানা।<br />রাজা নেই তবুও রাজনীতি! --- প্রজা সেই! - তবুও পুজো রীতি!<br />আজ তো কলির সন্ধ্যা: --- দাদা দিদির খুল্লম খুল্লা জামানা!<br />লুটে নাও, যত যাও! --- " বেটা সাধু বেশে পাকা চোর! "<br />আর তুমি তো সেখানে সামান্য এক মায়াময়ী! -- আমার মনোহরি ললনা।<br />ললাটে যে তোমার জ্বলন্ত কালকেতু, ধুমকেতুর শয্যা! -- তুমি তো সেই নির্মলা!<br />যাকে বুকে নিয়ে আগন্তুক ভবিষ্যতকে স্পর্শ করা যায়! -- অশ্রু বিগলন হয় বটে!<br />তবুও অসীম শান্তি তোমাতে! -- হে ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত নারী,<br />আঙুলের ফাঁকে যেখানে জোনাকি অহংকারী! সেখানে তুমিতো নিমিত্তমাত্র!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sohobas-2/সহবাস - 22018-06-03T17:43:39-04:002023-06-27T08:29:43-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ও পাড়ার ওই ছোট্ট ছেলে হাবু,<br />ভাতের সাথে গান্ডেপিন্ডে গিলে খাই সাবু,<br />শুনেছি ওর বাবাই তো দু-পাড়ার ডাক্তার খুড়ো,<br />বেচারা আজ বয়সের ছাপে বড্ড বেশি বুড়ো,<br />চোখ দেখেছো ? আহা ! চোখ তো নয় যেন চরখা<br />শাড়ির বাহার দেখেছো তার বউয়ের ? ঠিক যেন হাতকাটা দু-ইঞ্চি বোরখা!<br />বিদ্যে বুদ্ধি বলবো কি আর, দশ পাড়াতেও জুড়ি মেলা ভার!<br />পঞ্চ পাঠে ব্যর্থ হয়ে, ডুব মেরেছে পাঁচ পাঁচটি-বার!<br />কাঁচের শিশি রঙিন জলে, বগল চেপে লুকিয়ে চলে,<br />কথায় কথায় তক্ক হলে, বুড়োর বেটা যাইরে জ্বলে,<br />রেগে আগুন, তেলে বেগুন। ঘি-য়ে তবে কী ?<br />দু-বেলার ডাল-ভাতে শিউলির মা, ওদের বাড়ির বিনি-পয়সার ঝি!<br />গতর খাটিয়ে, বুক ফাটিয়ে, ও ঘরে অভাগী টিকে আছে তবু,<br />অশুচিকে স্পর্শ করে কেন তবে অশুদ্ধ হবেন বাবু ?<br />ছোটো জাত, নোংরা হাত, গোলাপ ফুলের মতো,<br />ছুটে আসে দলে দলে অলি-ভ্রমর যত!<br />ছোট্ট বয়েস, করছে আয়েস, বাপের চোখে চশমা !<br />শিউলির মা' সাবু দিয়েও কভু সতী হতে পারল না!<br />ভোগের পণ্য, অতি সামান্য, নিথর একটা দেহ!<br />আদর করে, বুকে পরে, হাত বুলিয়ে দেখান বাবু স্নেহ !<br />হাবু বাবু, ডাবু ডাবু, সাবু খেয়ে থাকেন বেজায় শান্ত,<br />বাপের চোখে, মায়ের চোখ, ছোট্ট খোকন ওসব কি আর জানতো!<br />কিন্তু যেদিন উঠলো ফুলে, বর্ষা শেষে শিউলি দুলে,<br />আগমনির বার্তা পেয়ে, বাবু গেলেন বিষম খেয়ে!<br />সময় মতো মর্তে এসে, শিউলি গেল শরৎ শেষে,<br />বাবু বেজায় খুশি হয়ে, গড়গড়িয়ে মরেন হেসে !<br />শউলি শোকে কাতর হয়ে, পাগল বেশে পথে ঘাটে,<br />ঘুরে ফিরেও পাইনা খুঁজে, সবুজ ঘাসে, বাঁকা মাঠে!<br />হাবু বাবু, সাবু খেতে থাকেন সদায় ব্যস্ত,<br />পাগলিটা পথে বসে, আপন মনে চেয়ে দেখে বিকালের শেষ সূর্যাস্ত!<br />প্রশ্ন করে, আকাশটারে, " নীল আকাশে চাঁদটি কেন ওঠে ? <br />ঘোড়া সাওয়ার চাবুক মারলে ঘোড়া কেন টগবগিয়ে ছুটে ?<br />নদীতে জোয়ার আসে কেন,, ভাঁটায় কেন পড়ে ?<br />মাটির পুতুল হাতের ছাঁচে কুমোর কেন গড়ে ?<br />হাবু কেন সাবু খাই, ভাতের সাথে মেখে ?<br />সভ্য সমাজ ফ্যাল-ফ্যালিয়ে তাকিয়ে কেন দ্যাখে ? "<br />প্রশ্ন রেখে, পাগলি শেষে, ফেরে হাবুর বাড়ি,<br />নকল নবীশ সাজতে রাতে, খুলতে হবে শাড়ি!<br />দিতে হবে দু-হাত ভোরে ডাবু ডাবু সাবু!<br />অশুচিকে স্পর্শ করে কেন তবে অশুদ্ধ হবেন বাবু ?<br />ছোট জাত, নোংরা হাত, গোলাপ ফুলের মতো!<br />বেঁচে আছি বাবু আজও মরে বাঁচার মতো !<br />ক্ষত আছে বুকের মাঝে, রক্ত লাগা শাড়ির ভাঁজে,<br />বিষের জ্বালায় জ্বলছি বাবু, শিরায় শিরায় খাঁজে-খাঁজে!<br />সাবু খেয়ে সবল হয়ে, কালের ক্ষয়ে পুণ্য ধুঁয়ে,<br />এক বিছানায় তুমি-আমি, এই তো বেশ আছি শুয়ে!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sohobash/সহবাস - 12018-06-02T07:47:31-04:002023-06-24T14:41:50-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আজ শরীর জুড়ে ইলশে-গুঁড়ি, -- মন জোছনায় মেঘ,<br />আজ ভাবের ঘরে লুকোচুরি, -- বাতি-স্তম্ভ ভাবনারা উদ্বেগ!<br />আজ বৃষ্টি নেমেছে সৃষ্টি-চোখে, -- দৃষ্টি হয়েছে ক্ষীণ,<br />আজ দোষ দিয়েছি আমিত্বকে, -- তবে কি আমিই মনুষ্যত্বহীন ? <br />.<br />করাল আকাশে, মরাল বাতাসে -- ডানা ঝাপটানো পাখি!<br />নিমিত্তে সেও চিত্ত হারিয়ে, -- আমায় দিয়েছে ফাঁকি!<br />বৃষ্টি ঝরেনি, রক্ত ঝরেছে, -- সিক্ত হয়েছে মাটি!<br />সোনা গলিয়েও খাদ মিলেছে, -- তবু সে সোনা খাঁটি!<br />.<br />বৃদ্ধা নদীতে বান ডেকেছে, -- মাঝি ফিরেছে ঘাটে!<br />গগন ললাটে মেঘ জমেছে -- সূর্যি বসেছে পাটে!<br />ক্লান্ত পথিক হেঁটে চলেছে -- বিষণ্ণ সেই-ই দুপুর!<br />আজ মরীচিমালীতে মন মজেছে -- ওই তৃষ্ণার পায়ে নূপুর ? <br />.<br />ভুলের ছলে ভুলগুলো তাই, -- ভুল পথের-ই বাঁকে!<br />আমার আমিত্ব, আমাতে নাই, -- মৃত্যু আমায় ডাকে!<br />শ্মশান ঘুরেছি, কবর খুঁড়েছি -- পাইনি খুঁজে লাশ!<br />শত কবিতার জন্ম দিয়েছি, -- অথচ কবিতাই আমার সহবাস!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/ei-ki-rong-milontir-khela/এই কি রঙ মিলন্তির খেলা ? 2018-05-31T11:42:16-04:002023-06-24T14:41:19-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>একটা নির্জন বিষণ্ণ দুপুর, কিংবা একটা গর্ভবতী রাতের বুক চিরে,<br />শস্য-শ্যামলা, সুজলা-সুফলা, জঠর-জরায়ুর পথ বেয়ে,<br />আমি একা, একাকী, বীরপুরুষের মতো পাড়ি দিয়েছি তিন ইঞ্চি নদীতে।</p>
<br /><p>কৃত্রিম চাঁদের ঝিমধরা লালচে আলোয় নদীতট ঘিরে;<br />কয়েকটা সদ্য গজিয়ে ওঠা কেশ কালো কোমল দূর্বা, -- আমায় আলতো স্পর্শে ছুঁয়ে,<br />শিরায় শিরায় শিহরণ জাগিয়ে, চেয়েছিল আমাকে খুব করে ভেজাতে!</p>
<br /><p>আমি এক এক করে ওদের পায়ে মরা বসন্তের যৌবন বেড়ী পরিয়ে,<br />ধীর স্থির ভাবে এগিয়ে গেছি দূর থেকে বহুদূরে, -- অকূল মাঝ দরিয়ার প্রান্তরে!<br />তারপর দুটো লণ্ডভণ্ড মাংসপিণ্ডকে মুখে ভরে জুড়িয়েছি ক্ষুধার জ্বালা, -- ঝরিয়েছি লালা!</p>
<br /><p>সহসা একফালি নিশপিশ করে ওঠা উষ্ণ বাতাসে ভেসে আসা উড়ো মেঘের গর্জনে,<br />বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে দু-দণ্ড শান্তি মিলেছে পলেস্তারা খসা ওই রূপালী আয়ুর কালশিটে!<br />একটা কালপেঁচা তখনও তিমির অপেক্ষায় অবিরত! -- তবে মালতী এই কি রঙ মিলন্তির খেলা ?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/rajnitir/সুইসাইড নোট2018-05-30T18:27:29-04:002024-03-17T17:00:50-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আজ বাইয়ের দোর গোড়ায় চুল্লু খেয়ে চুল্লীর উপর শুয়ে,<br />অবচেতন মনে চিবিয়ে খাই বহু সাধের মিষ্টি একটি পান!<br />আজ মনে জেগেছে ভৈরবী, তাই গঞ্জিকাতে বুক জ্বালায়!<br />সিগারেটের আঁধো আলো মায়াবী বিষাক্ত কালো ধোঁয়া,<br />আজ আর বাসর রাতের কামনা নিয়ে আমার ফুসফুসকে স্পর্শ করে না!<br />আজ একটা আঁধ পোড়া কাল্ত বিড়িই, একাকী নিরালায় সুখ টান দিয়ে যায় !<br />আজ তো আমার জীবনের অন্তিম সেই দিন, যেদিন,,,<br />কাক ডাকা মুখরিত ভোরে পুলকিত হওয়া, এক স্টেশন দূরে, --<br />ফেলে আসা যৌবন জ্বালার একটুকরো নোটবুকে,<br />লিখে রাখা 'নষ্ট রাতের নিশি যাপনের' ইতিকথার এক একটি সুমধুর দিনের, --<br />এক একটি কামুক চাওয়া পাওয়ার, ইতি টানার সুবর্ণ সেই অন্তিম দিন!<br />যেদিন প্রিয়তমা নিরালায় একাকী বসে,<br />গঞ্জিকা, সিগারেট, বিড়িতে অক্সি অ্যাসিটিলিনের,<br />বিষক্ত হেমলোকীর কালো অগ্নি ঝড় তুলে নিঃশোষিত করছি,<br />তোর সাথে কাটানো এক একটি স্মৃতি মেদূর দিনের,<br />এক একটি জীবন্ত মুহূর্তের শেষ আভিলাশ, -,,<br /> ' আমাকে আরও কিছুদিন প্রিয়ার সাথে শান্তিতে বাঁচতে দাও: ' !<br />হে ঈশ্বর,-- লোকে বুলে তুমিই নাকি স্থিতি সৃষ্টির শেষ কথা,<br />তোমার কাছেই নাকি, শুদ্ধ মনে প্রার্থনা করলে সবকিছু পাওয়া যায় ?<br />তবে হে নিষ্ঠুর ভগবান, আজ কেন মেঘের আড়ালে লুকিয়ে আছো ?<br />চুপ করে কী দেখছো ? -- 'দহন' ? 'আত্মহ্যুতি' ? নাকি ?<br />প্রিয়ার সাথে কাটানো এক একটি দিনের এক একটি জীবন্ত ফসিলে,<br />জ্বালে ওঠা শেষ আর্তনাদ, বুক চাপা করুন চিৎকারের রক্ত বমিতে,<br />বেরিয়ে আসা শেষ চাওয়া, " আরও কিছুদিন প্রিয়ার সঙ্গে বেঁচে থাকতে চাই,<br />আরও কিছুদিন স্মৃতির সৃষ্টিতে বিলীন হতে চাই ! "<br />ধিক্, হে ভগবান ধিক্, আজ তোমাকে শত শত ধিক্কার জানায়,<br />আজ তো তোমাকে দেখে আমার করুণা হচ্ছে, মনে হচ্ছে তুমি তো ঠুঁটো জগন্নাথ,<br />আমাকে দেওয়ার মতো তোমার সামর্থ্য কোথায় যে তুমি দেবে!<br />তুমি তো প্রিয়ার মতোই চিরকাল আড়ালে হাত পেতে নিতেই শিখেছো,<br />তুমি আবার কেমন করে আমার প্রিয়ার মনে আমার ভালোবাসা সঞ্চার করবে !<br />তাই তো রক্তাক্ত ডাইরির সুরক্ষিত পাতা জুড়ে লিখে রেখে,<br />আমার জীবনের ইতি টানলাম একটুকরো ছোট্ট সুইসাইড নোটে !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/jodi-pqro-koro-narir-lojja-nibaron/যদি পারো করো নারীর লজ্জা নিবারণ 2018-05-29T16:42:08-04:002023-06-27T06:34:17-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আর কত নারী নির্ভয়ার মতো ধর্ষিত হবে ?<br />অশ্লীল শোষণের শিকারে !<br />প্রাণহীন নিথর বিবস্ত্র লাশ শায়িত রবে,<br />ধানক্ষেতে ঝোঁপের আড়ালে কিংবা খালের কিনারে।<br />জরায়ুর প্রাঙ্গণ চুঁইয়ে পড়া,<br />রক্তের সিরামে যাবে ভিজে।<br />ধারালো নখের আঁচড়ে অনাবৃত স্তন,<br />শতছিন্ন শাড়ীর ভাঁজে।<br />অকর্মণ্য শিক্ষিত সমাজের নিশ্চেষ্ট প্রতিকার।<br />তাই নারী ধর্ষিত হয় বারবার!<br />কখনও হত্যা, কখনও অপমানে, স্বেচ্ছায় করে মৃত্যুবরণ।<br />তাই নিরন্তর মৃত্যুর মিছিল অকারণ।<br />আজও কত দুঃস্থ নারী শরমে লুকায়,<br />পর্ণকুটিরে পরিহিত ছিন্ন-শাড়ীর আবরণ।<br />যদি পারো পাপের প্রায়শ্চিত্তে সাধ্যমতো.<br />বে-আব্রু নয়! করো নারীর লজ্জা নিবারণ।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sesh-ovilash/শেষ অভিলাষ2018-05-28T04:46:00-04:002023-06-24T14:41:49-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আমার কবিতা পড়তে হলে, -- শ্মশান ঘুরে এসো!<br />আমার কবিতা লিখতে হলে, -- কবর খুঁড়ে রেখো!<br />আমার কবিতা বুঝতে হলে, -- অর্বাচীন হয়ে থেকো!<br />আমার কবিতা জানতে হলে, -- আমার আমিকে ডেকো!<br />.<br />আমার কবিতা নষ্টা বলেই, -- শব্দ চিতায় দহন!<br />আমার কবিতা রাহু বলেই, -- চাঁদে লাগাই গ্রহণ!<br />আমার কবিতা ফুলের মোহিনী, -- জঠর যামিনী কালো!<br />আমার কবিতা, কবিতা বলেই, -- স্ট্রিট লাইটের আলো!<br />.<br />আমার কবিতার ছন্দ পতন, -- কালির দাগে দাগে!<br />আমার কবিতা পড়তে হলে, -- শ্মশান ঘোরো আগে!<br />আমার কবিতার মৃত্যু মিছিল, -- রক্ত মোমের আলো!<br />আমার কবিতা, কবিতা বলেই, -- বড্ড বেশি ভালো!<br />.<br />সভ্য সমাজে, কাব্য জীবনে, -- কবির অভাব নাই!<br />বঁইচি বৃন্তে কামুক আঁচড়, -- কবিতা মুক্তি চাই!<br />কবিতা আমার হৃদয় জুড়ে, -- কবিতা মৃত লাশ!<br />শ্মশান ঘোরো একটিবার, -- এই আমার শেষ অভিলাষ!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/darshonik-pipilikar-vobitobbo/এক দার্শনিক পিপীলিকার ভবিতব্য2018-05-27T18:23:48-04:002023-06-24T14:41:19-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ভ্রাম্যমান পৃথিবীর বুকে এক ছোট্ট পিপীলিকা আমি,<br />সুখ দুঃখের পরিধি প্রায় নেই বললেই চলে।<br />তোমাদের ফেলে দেওয়া একটুকরো নোনতা বিস্কুটের গন্ধ পেলেই,<br />আমরা খাদ্যের সন্ধানে ছুঁটে চলি দলে দলে।<br />তোমাদের মতো হয়তো আমরা সভ্য নয়!<br />তবুও অসভ্যের মতো আমরা জাত-পাত মানি না,<br />আমি হিন্দু, নাকি মুসলিম, নাকি আমি খ্রিস্টান ?<br />ওরে বাবা, অতশত ধর্মের নাম-ই আমি জানি না !<br />আচ্ছা ধর্ম কি হয় পা গুনে, নাকি মাথা গুনে ?<br />নাকি ধর্ম হয় নিজ নিজ কর্ম গুণে ?<br />বলতে পারো রক্তের মাঝে ধর্মের পার্থক্য কোথায় ?<br />তবে কি লাভ ধর্মের নামে অধর্ম আর হিংসার বীজ বুনে ?<br />এই আমাদের দেখো, মিলেমিশে আছি কত মহাসুখে,<br />একটুকরো দানা ভাগ করেও অন্ন তুলে দিই একে-অপরের মুখে,<br />আবার তোমারাই যখন আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করো,<br />তখন বাসা ছেড়ে দলবদ্ধভাবে বেরিয়ে পড়ি ভাঙা বুকে!<br />তবুও তোমাদের মতো স্বার্থপর হতে পারিন!<br />স্বার্থের জন্য প্রিয়জনকে কখনোই আমরা ছাড়িনা!<br />হতে পারে আমরা ক্ষুদ্র, আমরা নগণ্য, আমরা তুচ্ছ,<br />তবুও আমাদের প্রত্যেকের মন কাঁচের মতো স্বচ্ছ।<br />তোমারা হয়তো সু-উচ্চ, অতিকায়, লম্বা বীর!<br />ধর্মের খেলায় মেতে আজ, ঘ্যাচাং-ফু হয়েছে তোমাদের মনুষ্যত্বের শির।<br />মনুষ্যত্বহীন শির নিয়ে তোমরা যখন আমাদের অবাক হয়ে চেয়ে দেখো,<br />জানো আমাদের খুব করুণা হয়না হয়।<br />একদিন না জানি মানুষ মানুষের মাংসাশী হয়ে যাবে,<br />এ যে কোনো দুঃস্বপ্ন নয়, তাই তো যত ভয় ।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/kobitter-lorai/কবিত্বের লড়াই2018-05-26T18:12:37-04:002024-03-08T13:05:20-05:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>তবে,<br />এই ভবে,<br />আসিনি কবি হতে!<br />এসেছিলাম সাধ্য-সাধনে মানুষ হতে!<br />নির্মম সত্যের জ্বলন্ত খনিজ অঙ্গারে,<br />মিথ্যের গুঁড়ো আবর্জনা পুড়িয়ে তোমাদের সংহারে:<br />আমার বিবেককে কলমের বারুদ হয়ে জ্বালিয়ে দিতে,<br />কিন্তু কিছু মহান কবি পারেনি এসব মেনে নিতে!<br />বিবেকের জ্বলন্ত খনিজ অঙ্গারে বৃষ্টির ফোঁটা এঁকে দিতে,<br />ওরা আজ আশ্রয় নিয়েছে এক-এক করে ছল-চাতুরীতে,<br />ওরা বোধহয় ভুলে গেছে সম্পর্কের দাবীগুলো,<br />কিছু হিংসের জমানো ময়লা-ধুলো,<br />সামিল করেছে কবিত্বের লড়ায়ে,<br />আর নিজেদের বড়াইয়ে,<br />নিজেদের নামটা<br />রোজ-নামচা<br />তাই এই কবিত্বের লড়ায়ে হে মহান বীর কবি,<br />কেমনে ভাবিছো আজ নিজেকে তুমি কবি শ্রেষ্ঠ রবি ?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/kobigurur-sor/শিকার - ২2018-05-25T12:37:07-04:002023-06-25T14:09:56-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এভাবেই হয়তো জীবন শৈলীর পাঠে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায় মাস্তুল!<br />এভাবেই হয়তো পাল আর দাঁড়ের দ্বন্দ্বে ঘটে যায় জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল!<br />তারপর ঠিক এইভাবেই হয়তো একদিন মাঝিও হয় নিরুদ্দেশ!<br />আর স্ফটিক স্বচ্ছ বিন্দু বিন্দু সিন্ধতে কয়েকটা রুপালি আয়ু মনের আনন্দে খেলা করে বেশ!<br />তারপর কালের ক্ষয়ে আবার একদিন দূর হতে ভেসে আসে যানজটের শব্দ!<br />পাড়া জুড়ে তখন কাল রাত! -- শুধুই একাকী, নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ:-<br />একটা এলোমেলো আউলিয়া বিষাক্ত বাতাস ছুঁয়ে যায় ফুলকা!<br />রক্তের রজঃস্রোতে ভেসে যায় নীলাম্বরী, -- খসে যায় উল্কা!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/kobigurur/দু-মুঠো ভাতের জন্য বিপ্লব 2018-05-24T11:47:53-04:002023-06-24T14:41:21-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>অবাক এই পৃথিবীর কাছে আজ আর কোন অভিযোগ নেই আমার!<br />নেই কোনো অভিমান, নেই কোনো অনুনয়, নেই কোনো অনুরাগ!<br />প্রার্থনা শুধু এই, -- অবসন্ন শরীরে জমতে থাকা কিছু ঘামের ফোঁটা,<br />আর পায়ের গোড়ালীতে খুঁজে নিয়ো কিছু শুকানো রক্তের দাগ!<br />খুঁজে পেলে বুঝে নিও, সারাদিন খুব করে খেটেছি!<br />রাজপথে পথে দলিত, ক্ষরিত, আলোড়িত, নিরক্ষর মানুষের ভীড়!<br />সেখানে রঙিন পোশাকের মোড়কে ঢাকা শরীর -- শুধুই একা !<br />আজ বড় প্রয়োজন একটা শান্তির ছায়া সু-নিবিড়!<br />তাই সভ্যতার বুক চিরে একা পথে বেশ হেঁটে চলেছি,<br />যানজটের পাশে পড়ে থাকা সু-বিস্তীর্ণ ফুটপাতের আয়নায়,<br />দেখেছি নরকঙ্কালের মুখে ধুলোর কলঙ্ক ! -- আর গুনেছি মৃত্যুর মিছিলে কাটা মুন্ডু!<br />মনুষ্যত্ব, বিবেক, বিচার-বুদ্ধি, -- সে-তো কবেই চাপা পড়েছে ধর্মের বাহানায়!<br />আর ক্ষুধা জ্বালা! -- সে-তো আজ নয়, বহু পুরনো অসুখ! -- মানুষের অলীক খুঁত,<br />তাই ভুল করলেও বেঁচে মরার জন্য একমুঠো ভাত দিও আমারে!<br />যে ক্ষুধা গোপন থাকে, -- যাকে বারবার মেলতে চেয়েছি শূন্যে,<br />আর মিথ্যে ধর্মে বুঁদ হয়ে করজোড়ে কৃপা ভিক্ষে করেছি দু-হাত ভরে!<br />কিন্তু বিশ্বাস করো শান্তি পাইনি, -- তাই ক্লান্ত পায়ে তাড়া দিয়ে,<br />এগিয়ে চলেছি দূর থেকে দুরন্তে, নির্জন কোনো অজানায়!<br />যেদিন ত্বকে জেগেছিলো ভাতের ফ্যান! -- অপৃর্ব শহর সেদিন সেজেছিলো অগ্নিসারে।<br />তবুও প্রার্থনা ছিল এই -- বাবু, থালা ভরে ভাত দিও আমারে ! -- ক্ষুধা যে আমার পেটের ভেতর করে ভস্ম সম্ভাবনাময়!<br />অথচ রাজপথে বেড়ে ওঠা সামান্য ওই হোটেলের সামনে দেখেছি, - শত শত ক্ষুধার্থ মানুষের ভিড়,<br />আর ভাতমাখা আঙুলে! - ওমা একি ? -- ওসব কীসের ছাপ ? <br />ছাপ নয়! ছাপ নয়! ও তো কালশিরে পড়া সামান্য তুচ্ছ এক দাগ!<br />দেখো যেন ভীখারি বিবেক জেগে না ওঠে! -- নিতে না পারে শ্বাস-প্রশ্বাস !<br />ভয় নেই বাবু, শত নির্যাতনের পরেও কোনদিন কাঁদতে দেখবে না আমায়,<br />বিদ্রোহ, আন্দোলন, অনশনেও কোনদিন নামবো না দেখে নিও!<br />ওসব তো বাজে কাজ, পুঁজিপতি আর মালিকের কৌশল,<br />আমি তো সামান্য শ্রমিক, -- তাই রাত নামলে বাবু, শুধু দু-মুঠো ভাত দিও!<br />এই দেখো দুহাত আমার রেখেছি ঢালু, নিয়োজিত কারখানা কিংবা গৃহস্থের নুনে,<br />কোনো এক চুলার উপর উত্তপ্ত ডেগে আগুনের চুমুতে ফুটছে গো প্রার্থিত ফুলও,<br />ভাত দিও গো বাবু, -- আড়ষ্ঠ আঙুলে তুলে ধরা ভীত থালার উপর মন খুলে।<br />আড়াল মুঠিতে নিয়ে রক্ত মেপে, অফুরান ভাণ্ডার থেকে এক কণা আয়ু দিও:---<br />কোন এক ভেজা চামচে। -- তোমার সামনে নিচু হয়ে কত কেঁপেছি আমিও<br />শুধু ভাত দিও বাবু, হাতের তৈরী পাতালে এইভাবে ঢেলে দিও!<br />দেখো কব্জিতে খনিজ অঙ্গার চিহ্ন, -- আর মুখে বিবর্ণ আঘাতের সেলাই!<br />তবে আজ মৃদু ভেবে আমাকে উপেক্ষা করো না,! -- শ্রম লিখিত মুখে আমিও,<br />আজ লাইনে গিয়ে দাঁড়াবো! -- ছেঁড়া একফালি অপরিচ্ছন্ন শার্টে,<br />জীর্ণ পকেটের ভেতর থাকবে কিছু আশার আলোর বাসনা,<br />শহর ভ্রুণের লাল-সবুজ জরায়ুতে আমাদের ভাতের জন্য শুধু একটা জরুরি বৈঠকে,<br />সমস্ত মানুষগুলো একবার জড়ো করো !--- দেখো পরিবর্তন ঠিক হবেই!<br />বাবু একমুঠো ভাত দিও ! -- আর ভাতের জন্য একটা বৈঠক উপহার দিও!<br />আর তারপর নাহয় স্বার্থ মতো ভাত-ঘুমে বিষ ঢেলে নিজের স্বার্থ বুঝে নিও!<br />তবুও একটিবার ভাতের জন্য সবুজের বুকে তোমারা বিপ্লবের ডাক দিও!<br />আর যদি সম্ভব হয় আমাকেও তোমরা সঙ্গে নিও -- বিপ্লবী দীর্ঘজীবী হোক !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/nun-ante-panta-furai/নুন আন্তে পান্তা ফুরায় !2018-05-23T11:45:11-04:002023-06-25T19:03:47-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>একমুঠো পান্তা ভাতে এক চিমটি নুন,<br />আর হালকা করে সরষের তেলের সহিত বহু স্বাদের একটা কাঁচা লঙ্কা ;<br />কিংবা একটুকরো ঝাঁঝালো পেঁয়াজের গন্ধে ওরা তো বেশ খুশি !<br />কিন্তু যখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় তখন ওদের চোখেও দেখি আশঙ্কা!<br />অথচ ওরাই এই সভ্য সভ্যতার কান্ডারী, শুরু থেকে দধীচির বংশধর,<br />হাড় ভাঙা খাটুনি যেন ওদের কাছে তাই দেবতার পাওয়া শ্রেষ্ঠ বর ;<br />আর তোমরা, হ্যাঁ তোমরাই তথাকথিত এই সভ্য সমাজের শিক্ষিত মান্যবর,<br />নেতা, মন্ত্রী, মালিক, হুজুর কিংবা স্বার্থের তাগিদে স্বার্থপর <br />অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান তো তোমাদের জন্মগত অধিকার,<br />আর ওদের বেলা হলেই -- দু-আনার ভিখেরির দল ;<br />আমি রোজ রাতে জানলার ক্ষয়ে যাওয়া আর্শিতে,<br />কান পেতে শুনি অবসন্ন, ক্লান্ত, বিহ্বল মানুষের কোলাহল !<br />একমুঠো ফ্যান-ভাত ! -- তোমাদের চোখে বড় বিলাসিতা !<br />তাই শাসনের নামে শোষণের ছড়ি ঘোরাও সমাজের বুকে,<br />ধনী-দরিদ্র, হিন্দু-মুসলমান জ্ঞানী-মূর্খ তোমাদের সহোদর ভাই,<br />অথচ ধর্মের দোহাই দিয়ে বিষ ঢালো বক-ধার্মিকের জ্বালামুখে !<br />যখন পেটের জ্বালায় একমুঠো পান্তা নাড়ি কামড়ে খাই,<br />একমুঠো ফ্যান ভাতের গন্ধে যখন মনে ব্যাকুল হতে চাই,<br />তখন তোমাদের সভ্য সমাজের জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভেদাভেদ,<br />দারিদ্রের দরজা দিয়ে এসে জানালা দিয়ে পালায় !<br />তোমরা তো সভ্য শিক্ষিত মানুষ, কি করে বুঝবে ক্ষুধার জ্বালা<br />যদি পারো তবে একটিবার শুধু না খেয়ে থেকো সারাবেলা, <br />দেখো অনুভব করবে ঠিকই, বুঝে যাবে কাকে বলে পেটের জ্বালা!<br />একমুঠো পান্তা আর একটি চিমটি নুন মাখানো ভাতের থালা,<br />কত যে তৃপ্তি তাতে, তুমি কি করে বুঝবে হে সভ্য শিক্ষিত মানুষ!<br />তোমাদের তো আর নুন আনতে পান্তায় ফুরায় নি !<br />আমি বুঝি, ওরা বোঝে, শুধু তোমরাই আজও বোঝনি !<br />তাই শত গরীবের রক্ত চুষেও তোমাদের প্রাণ জুড়ায় নি !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/krishna-tumi-kothai/কৃষ্ণ তুমি কোথায় ?2018-05-22T09:16:38-04:002023-06-27T17:45:24-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>হে মোর প্রভু কৃষ্ণ, -- তুমি কোথায় ?<br />চেয়ে দেখো রাজপথে ওরা যে আজও অসহায়!<br />সভ্য সমাজ হতে ফেলে দেওয়া একমুঠো অন্ন,<br />চেয়ে দেখো প্রভৃ আজ, ওদের কাছে তা পরমান্ন!<br />আর ওই যে বস্তির মেয়ে রাঁধা,<br />রাতের আঁধারে নিয়তি যার কাল কুঠুরিতে বাঁধা,<br />অথচ রোজ রাতে যারা পর্দার আড়ালে করে পণ্যের নষ্টামি,<br />চেয়ে দেখো প্রভু আজ, বাহান্ন ভোজন হাতে তাদেরই ভন্ডামি !<br />হে মোর দীননাথ তুমি কোথায় ?<br />পাশবিক শক্তি যে আজ হাঁতুড়ির ঘা মারে স্রষ্টার মাথায়!<br />তাই সৃষ্টিরা বৃষ্টির জলে ধুয়ে মুছে শুধুই একটুকরো ধ্বংসের স্তূপ!<br />বলো প্রভু বলো, আর কালে কালে কতো দেখবো হিংস্র মানুষের এই রূপ ?<br />শুনেছি জগতে যখনই পাপীদের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে,<br />তখনই নাকি ভিন্ন রূপে বারবার তোমার আবির্ভাব হয়েছে ?<br />তবে আজ কেন কালের সুষুপ্তিতে ভক্ষকে করেছো ভক্ত,<br />আর বাহান্ন ভোজনে রক্ষকের থেকে চেয়েছো মানুষের রক্ত ?<br />তবে কি তুমিও মানুষের রক্তে পেয়েছো নতুনত্বের স্বাদ ?<br />যদি এ হয় মিথ্যে তবে কোথায় তোমার সেইসব প্রতিবাদ ?<br />কোথায় তোমার শান্তির সেই মন জুড়ানো অভয়া বাণী ?<br />যদি পারো তবে ফিরে এসে মুছে দাও হে প্রভু সকল গ্লানি,<br />তবেই আমি ভজিবো প্রভু কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম।<br />হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ তোমায় দেবো আমার সহস্র প্রণাম !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sunno-anko-2/শূন্য অঙ্ক - ২2018-05-21T04:52:27-04:002023-06-25T19:08:58-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>জীবনের শূন্য অঙ্কটা মেলাতে আমি বারবার ফিরে এসেছি,<br />এই ইট-পাথরে মোড়া ব্যস্ততম শহরের করিডোরে!<br />ধোঁয়ার কুণ্ডলী, সবুজের অনটন -- আর ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা কিছু প্রশ্ন,<br />আমাকে শুধুই তাড়িয়ে তাড়িয়ে মারে! -- তবু শহরটা থাকে বেশ ঘুমঘোরে!<br />কিছু নির্বাসিত হওয়া স্বপ্ন -- ক্ষণে ক্ষণে মুক্তির দাবীতে,<br />ফাঁসির দড়িতে চাই একটা আন্দোলন -- চাই একটা পরিবর্তন!<br />আজও শেফলীর বুকে জমানো হাজার বছরের দেহ-মোম চুমে,<br />ওরা নগ্ন সভ্যতার বুকে এঁকে দেয় আরও একটা মেকি বিবর্তন!<br />কালের ক্ষয়ে কলঙ্কিত হয়ে যাওয়া বেশকিছু রাখালির দেহ,<br />আজও রাতের আঁধরে ছিঁড়ে খায় শহরের পোষা শৃগাল, কুকুরের দল!<br />তবে সাক্ষী শুধুই কিছু বোবা ঝিঁঝিপোকা আর কানা জোনাকি!<br />আর আমার মতো রাত জাগা দূরের ওই স্ট্রিট-লাইট -- বুকে জ্বালিয়ে অনল,<br />ওদের চিনেছে বারে বারে! -- তবুও শাস্তি-শান্তি কোনোটারই স্পর্শ পায়নি<br />দুটো চোখহীন ফড়িং জানো বেশ কয়েকবার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলো,<br />লাফিয়ে ছিলো বহুদূর! কিন্তু, না! -- কোনকিছুই ঠেকাতে পারেনি!<br />ওরা বারবার ওকে গরল সাগরে নিক্ষেপ করে -- মৃত্যু দিয়েছিলো !<br />তবে আমি জীবনের শূন্য অঙ্কটা মেলাতে বারবার ফিরে আসবো,<br />এই ইট-পাথরে মোড়া ব্যস্ততম শহরের করিডোরে!<br />ধোঁয়ার কুণ্ডলী, সবুজের অনটন -- আর ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা কিছু প্রশ্ন,<br />আমাকে যতই তাড়িয়ে তাড়িয়ে মারুক -- তবু দেখো একদিন খুব ভোরে,<br />জীবনের শূন্য অঙ্কটা মিলিয়ে নেবো আমি ঠিক করে,<br />মৃত্যুর আগে পরে হয়তো কোনো একদিন!!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/lash-kata-gonotontro/লাশকাটা গণতন্ত্র2018-05-20T08:27:38-04:002023-06-27T01:06:01-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আমি লুণ্ঠিত সমাজতন্ত্রের মারপ্যাঁচে গনতন্ত্রের বুকে দেখেছি ধনতন্ত্রের অদম্য অধিকার!<br />তারপর এক এক করে রঙিন বইয়ের পাতা উল্টে দেখেছি কবিতার সাথে কবিদের ব্যাভিচার!<br />এরপর দাম্ভিকের আস্ফোটে আরোও কতবার, না জানি শুনেছি সাম্যের সূর!<br />আর অনন্ত পথের পথিক হয়ে উন্নয়নের পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে ফিরেছি বহুদূর!<br />কিন্তু বিশ্বাস করো আমি কোথাও মানবতন্ত্রের পদচিহ্ন খুঁজে পাইনি!<br />কাউকে তো নৈরাশ্য, নৈরাজ্যের হাহাকার থেকে মুক্তির দাবীতে প্রতিবাদ জানাতে দেখিনি!<br />কেউ তো মুঠোভরা জোনাকি লাগা শাশ্বত প্রেম নিবেদন করে বলেনি,<br />" চল তবে ভালোবাসা দিয়ে গড়ি আমাদের নতুন ভুবন " -- কারো মুখে তো শুনিনি,,,<br />' বাগিচায় ফোটা সদ্য রক্ত গোলাপটি আসলেই অকালে ঝরে যাওয়া আমার ভারতবাসী, -- আমার সহোদর ভাই!<br />আসলে আমরা তো পরিবর্তনের নামে বেশকিছুটা তাজা রক্তে সিক্ত মা, মাটি, মানুষ চাই!"<br />হরদম শুধু মিথ্যে প্রতিবন্ধকতার দাবিতে রাত-বি-রেতে দলে দলে হামবড়া দিয়ে যায় হামাগুড়ি!<br />রাজপথ থেকে কানাগলি, এমনকি মনের অলিগলি ছুঁয়ে, মনুষ্যত্বে দিয়ে যায় মায়াবী সুড়সুড়ি!<br />তারপর যা হয়! -- ভিক্ষা, দীক্ষা, নয়তো উচিত শিক্ষায় কেড়ে নেওয় হয় গণতন্ত্রের অধিকার!<br />যদিও আস্ফালকের চিৎকার জানান দেয় এ রাজ্যে ভোট হয় বারবার!<br />আচ্ছা ভেবেছো কি কখনো যেখানে মানুষ-ই মানুষ কাটার যন্ত্র! <br />সেখানে কোথায় গণতন্ত্র ? -- এতো জনগণতন্ত্র নয়! - এতো লাশকাটা গণতন্ত্র!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/maa-ani-valo-nei/মা আমি ভালো নেই2018-05-19T06:12:28-04:002023-06-24T14:41:23-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>ও মা জানো, -- আজ আর আমি ভালো নেই!<br />ভাবছিলাম তোমাকে বলবো বলবো ; -- কিন্তু কেমন যেন একটা লজ্জাবোধ হয়। <br />আসলে কখনো তো তোমাকে জিজ্ঞেস করিনি, -- " মা তুমি কেমন আছো " ?<br />তোমার ভালোবাসা পেতে পেতে, পাওয়ার অভ্যাসটা কেমন যেন অধিকার হয়ে গেছে। <br />একরকম ধরেই নিয়েছি ভালোবাসা শুধু তোমারই ভীষণ কর্তব্য, -- আমার একদমই নয়।<br />" মা তুমি ভালো আছো " ? - কেমন করে ভালো থাকবে তুমি ?<br />আমি ভরা সংসার আর ভরা পকেট নিয়ে ভালো থাকতে পারিনা ;<br />আর তুমি শূন্য ঘরে, শূন্য হৃদয়ে, কর্পদক শূন্য হয়ে কেমন করে ভালো থাকবে ?<br />তোমার গেঁটে বাতটা কেমন আছে মা ?<br />সরি! তুমি বলেছিলে কয়েকবার, -- যে বাতটা তোমাকে বড় ভোগাচ্ছে।<br />আমি কেবলই তা ভোলার ছলে ভুলে যাই।<br />কেন জানি তবুও মনে হয়, তুমি আমাকে আগের মতোই ভালোবাসো!<br />এখনো তোমার কোলে মাথা রাখলে, তুমি আমার যন্ত্রণায়,<br />ঠিক আগের মতোই হাত বুলিয়ে দেবে।<br />আচ্ছা মা তোমার ভালোবাসার ক্লান্তি নেই কেন?<br />আমার ভালোবাসার ক্লান্তি আছে ; -- নন্দিনীর ভালোবাসার ক্লান্তি আছে ;<br />শুধু তোমারটার বেলায় কেন ক্লান্তি নেই! - কেন মা কেন ?<br />খুব তাড়াতাড়িই তোমার কাছে আসবো। -- তুমি একটু আমার বুকে হাত বুলিয়ে দেবে।<br />আমি ছটফট করছি ; -- যন্ত্রণায় খুব ছটফট করছি মা। <br />এসেছিলাম সাত সাগর পেরিয়ে আকাশ ধরতে ;<br />আকাশটা আকাশেই রয়ে গেলো ; -- শুধু মাটি-টা পায়ের থেকে সরে গেলো,<br />মা-টা, বুকের থেকে সরে গেলো, -- মানুষজন, হৃদয় থেকে সরে গেলো।<br />জনারণ্য জলপাইগুঁড়ির রাস্তায়, আজকাল তোমার আঙুল খুঁজে বেড়াই ;<br />ভয় হয় ; -- বুঝি কোনো অজানা জঙ্গলে হারিয়ে যাচ্ছি। <br />ওরা সবাই কেমন অপরিচিত!<br />কথা হয় কিন্তু হৃদয়ের সংযোগ হয় না। <br />স্পর্শ হয় কিন্তু অনুভূতি হয় না।<br />জানো মা,,<br />অভ্যাসের একটা ক্ষয়িষ্ণু ক্ষমতা আছে ;<br />অমৃতও ধীরে ধীরে, কেমন যেন নোনতা হয়ে যায় !<br />তোমার ভালোবাসাও কেমন যেন,<br /> প্রতিদিনকার অভ্যাস হয়ে গেছিলো। <br />প্রতিদিন মধু খেলে,<br />মধুকে আর মধু মনে হয় না।<br />আজ বহুদূরে সাত সাগরের পাড়ে,<br />তোমার স্নেহ-চ্যুত আমি ;<br />তোমার একটু ভালোবাসার জন্য আকুল হয়ে আছি।<br />হয়তো ক্ষয়িষ্ণুতার কারণে ;<br />নন্দিনীর মধুতেও আজকাল তৃপ্তি আসে না।<br />আমাদের সম্পর্কটাও কেমন যেন,<br />নিছকই একটা অভ্যাস হয়ে গেছে।<br />নদী আছে স্রোত নেই ;<br />বায়ু আছে বেগ নেই ;<br />জীবন আছে প্রবাহ নেই।<br />সবই যেন কেমন মৃয়মান !<br />আচ্ছা মা বলো তো,,,<br />জীবনে প্রবাহ কিভাবে ধরে রাখা যায় ?<br />মাঝে মাঝে ভাবি,<br />আমাদের অভ্যাসে আসক্তিই এর কারণ। <br />চেনা ঘর চেনা জগতের বাইরে যেতে,<br />আমাদের বড় ভয়।<br />মানুষ জানে অভ্যাসে জীবনের মৃত্যু ;<br />তবুও সে অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না। <br />তাইতো জীবন প্রবাহ হারায়। <br />আর তখনই জমতে থাকে,<br />বিষাদ আর যন্ত্রণার শ্যাওলা। <br />মা আমার তো কিছুরই অভাব নেই!<br />তবু বুকটা কেন এতো শূন্য বলো তো ?<br />নন্দিনী বুকে হাত বুলিয়ে দেয় ;<br />কিন্তু যন্ত্রণাটা আবার ফিরে ফিরে আসে।<br />আমি ভালো নেই, মা। <br />ক্রমশ বিষাদের ছায়ায় আবিষ্ট হয়ে যাচ্ছি।<br />কেমন যেন নিজেরই পাতা যন্ত্রণা-জালে,<br />দিন দিন জড়িয়ে যাচ্ছি। <br />বাড়ি-গাড়ি ধন ঐশ্বর্য্যকে,<br />ভেবেছিলাম সুখের বাহক।<br />আজ দেখছি এগুলো সবই কেমন,<br />আমার যন্ত্রণার ধারক।<br />আজ আমার সুন্দর দাঁত আছে, হাসি নেই।<br />চকচকে কলেবর আছে, হৃদয় নেই।<br />বড় ঘর আছে, সুখ নেই। <br />এমন কেন হল মা ?<br />এখন দেখছি পরিশ্রম করলেই, সুখ আসে না। <br />বড় হলেই, মহান হয় না। <br />আমি কি তবে, জীবনের গন্তব্যটাই হারিয়ে ফেলেছি!<br />এখন তোমার কথা খুব মনে পড়ে,<br />মা তুমি বলতে, ' খোকা, জীবনে খুব হাসবি ;<br />তবেই সুখী হবি।<br />আমি আজকাল আর হাসি না।<br />পরি বলে - " পাপ্পা, তোমার মুখটা <br />সবসময় কেমন- পচা-পচা। <br />তুমি হাসো না কেন, পাপ্পা ?"<br />আমি চুপ করে থাকি,<br />আসলে আমি হাসতে ভুলে গেছি,<br />কেন জানো মা ?<br />আজ আমি ভালো নেই একদম ।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/ovishapto-jibon/অভিশপ্ত জীবন2018-05-18T04:41:04-04:002023-06-24T14:41:26-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>কি পেয়েছি বলতে পারো ? -- এই নীরব, নিষ্ঠুর, কংক্রিটে মড়া ব্যস্ত পৃথিবীর বুক থেকে ? <br />প্রেয়সীর সুখ ? মায়ের স্নেহ-মমতা ? - না ! -- ওসব তো কবেই আমাকে একা রেখে,<br />আচেনা পথিকের মতো পাড়ি দিয়েছে দূর থেকে বহুদূরে, -- অসীম অজানায়!<br />তবে বিনিময়ে দিয়ে গেছে বেশকিছু নামহীণ কষ্টের অঙ্কুরিত ভ্রূণ! -- যা আমার আঙিনায়,<br />ধীরে ধীরে সুখের সবটুকু পুষ্টিরস শুষে নিয়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে!<br />ছোট্ট চারাগাছ থেকে কখন যে কষ্টের ভ্রূণগুলো মহীরুহে পরিণত হয়েছে,<br />তা বুঝে ওঠার আগেই ফল স্বরুপ দিয়েছে একটা অভিশপ্ত জীবনের কলঙ্ক!<br />আর বেশকিছু সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধনে ধরিয়েছে ফাঁটল! -- যদিও জীবন বড় জটিল অঙ্ক!<br />সেখানে চাওয়া পাওয়ার হিসাব করা তো মূর্খের কাজ!<br />তবুও দহনের আগুনে প্রশমিত সম্পর্কের দাবীতে, -- প্রশ্নবিদ্ধ আমি আজ!<br />তাই আর্জি শুধু এ-টুকুই -- " কি এমন অপরাধ করেছি " ?<br />যার জন্য বারবার শূন্য হাতে একাকী ফিরেছি, আর নীরবে চোখের জল ঝরিয়েছি?<br />হে স্বার্থপর ঈশ্বর, -- এই অভিশপ্ত জীবনের কলঙ্ক নিয়ে কে চাই বাঁচতে?<br />এর চেয়ে তো ঢের ভালো মৃত্যু! -- আমি মরে যেতে চাই হাসতে হাসতে!<br />কিন্তু প্রশ্ন একটাই, -- যদি কাঊকে সুখেই না রাখতে পারো,<br />তবে দুঃখ দেওয়ার অধিকার তোমায় কে দিয়েছে ?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/fire-dekha/ফিরে দেখা 2018-05-15T08:48:13-04:002024-03-12T07:51:45-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>বাস্তব জীবনটা বড় বেমানান, বড় নিষ্ঠুর, বড় বিচিত্র! -- তাই না নন্দিনী ?<br />জীবন থেকে এক এক করে হারিয়ে যাওয়া তিরিশ-টি মরা বসন্তের পর,<br />আবার যে আমাদের এভাবে দেখা হবে, -- বিশ্বাস করো, আমি তা জন্মেও ভাবিনি !<br />কি করেই-বা ভাবি বলো ? -- ছেলেবেলার সেই পুতুল পুতুল বর, <br />যেদিন যুবক হুয়ে তোমাকে নিয়ে বাস্তবে বাঁধতে চেয়েছিল তাঁর স্বপ্নের খেলাঘর!<br />সেদিন হঠাৎ যে একটা বিধ্বংসী কালবৈশাখী এসে আছড়ে পড়বে! -- আর তারপর....<br />তারপর আবার যে তিরিশ বৎসর পর, কোনো এক বৃদ্ধাশ্রমে তোমার সাথে আমার দেখা হবে!<br />শুধু কি চোখের দেখা ? -- না...নন্দিনী না...! এই তিরিশ বৎসরের জমানো যত না বলা কথা!<br />এক এক করে সব উগরে দিয়ে, তুমি যে আবার শুধু আমার হবে! -- একথা পাগলি, কেউ কি কখনো ভাবে ?<br />আচ্ছা নন্দিনী, বলতো কি করেই-বা ভাবি ? -- শেষ যেদিন কলেজে এসে, আলতো হেসে, আমায় জানিয়েছিলে,<br />"আমাদের সম্পর্কটা আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়!" -- আমি কি করে বুঝতাম বলো সেদিন, তোমার ওই হাসির আড়ালে লুকানো ব্যথা ?<br />তুমি তো পাথর সম পাষাণ হুদয় নিয়ে আমাকে বারবার যেভাবে বলে চলেছিলে, আর প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছিলে,<br />বলো এরপরও আমি কি করে বুঝতাম, -- তোমার ওই ফড়িং চোখের আড়ালে করুণ আর্তনাদ ?<br />যেদিন বিয়ের কার্ড হাতে ধরিয়ে, তুমিই প্রথম নিষ্ঠুরের মতো বলেছিলে, -- 'এবার তোমারও একটা হিল্লে করে নিও, আমার তো হয়ে-ই গেলো!'<br />আমি সেদিন মাথা নেড়ে 'হ্যাঁ' বলেছিলাম, আর তোমার চোখে চোখ রেখে ভেবেছিলাম, - এই বুঝি উঠবে প্রতিবাদ!<br />কিন্তু তুমি প্রতিবাদ না করে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে, আমাকে জড়িয়ে ধরে শেষ বারের মতো স্নেহ চুম্বন এঁকে দিলে !<br />তারপরেও আমি কি করে বুঝবো বলো নন্দিনী, তোমার ওই আনন্দ, সুখের নয়! -- ওটা শুধুমাত্র আমাকে হারানোর ভয় ছিলো!<br />বিয়ের রাতে তোমাকে যখন শেষ বারের মতো দেখতে গিয়েছিলাম, -- আমাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হল! তুমি তখনও নির্বাক ছিলে!<br />বলতো নন্দিনী, এরপরও আমি কি করে বুঝবো, -- তুমি তখনও শুধু আমাকেই ভালোবাসো ? কি করে বুঝবো ওটা শুধুই তোমার সাংসারিক দো-টানা !<br />জানতো নন্দিনী সেদিন খুব কষ্ট হয়েছিল আমার, খুব ঘেন্না জন্মেছিল! -- তবে সেটা তোমার প্রতি নয়!<br />নিজের প্রতি! আর এই ঈশ্বরের প্রতি! -- একরকম ভেবেই নিয়েছিলাম তোমাদের ঈশ্বর হয়তো কানা!<br />তাই নিজেকে নিজের ঈশ্বর করে সেদিন ওখান থেকে অনেকদূরে চলে গিয়েছিলাম!<br />কিন্তু বিশ্বাস করো কোনোদিনও ভাবিনি যে আবার তোমার সাথে দেখা হবে, কথা হবে, আর মিলবে সেই পরিচিত আশ্রয়!<br />যে আশ্রয়ে মাথা রেখে একদিন মুঠো মুঠো শাশ্বত প্রেম কুড়িয়ে নিয়েছিলাম, --.যাকে নিয়ে একদিন খেলাঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলাম!<br />আজ তিরিশ বছর পর, এই বৃদ্ধাশ্রমের চার দেওয়াল-ই এখন আমাদের সেই স্বপ্ন সাজানো করিডর!<br />এই নন্দিনী জানতো, আজও যখন তোমার ওই ঝিমধরা বয়সী চোখে চোখ রাখি, তখন আমি আবার যৌবন জৌলুসে জ্বলে উঠি!<br />মনে হয়, ফেলে আসা তিরিশটা বসন্ত যেন আমার কাছে তিরিশটা যুগের সমান! --অন্তঃপর!<br />এক এক করে স্মৃতির সারণি বেয়ে ভেসে আসে আমাদের ছেলেবেলায় কাটানো এক একটি সুমধুর দিনের ইতিকথা!<br />তারপর....! কিছুটা দহন আর বেশকিছুটা অশ্রু বিগলন করে, আমরা খুঁজে নিই শেষ সম্বল একটুকরো বাঁশের লাঠি!<br />হাতে হাত, পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে চলি বৃদ্ধাশ্রমটির দিকে, -- হাতে নিয়ে সেই তিরিশ বৎসরের পুরনো ছাতা!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/jomaloi-theke-amra-dhorshitora-bolchi/যমালয় থেকে আমরা, -- ধর্ষিতারা বলছি!2018-05-14T09:35:00-04:002023-06-24T14:41:20-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আমরা যমালয় থেকে বেশকিছু ধর্ষিতা নারী বলছি!<br />তোমরা কি শুনতে পাচ্ছো ? -- হ্যাঁ,,, হ্যাঁ,,, তোমরাই! -- তোমরা শুনতে পাচ্ছো আমাদের আর্তনাদ?<br />আরে মুর্খ, উন্মাদ, অসভ্য, নীচ, পাষণ্ড, বর্বর ভারতবাসী, আমরা তোমাদেরকেই তো বলছি!<br />বলছি শুনতে পাচ্ছো তো ? -- আমরা ধর্ষিত হয়েও কিন্তু প্রতিবাদ জানাচ্ছি! - হ্যাঁ,, হ্যাঁ প্রতিবাদ!<br />সর্বকালের বিচিত্র এক দেশ, -- আমাদের মাতৃভূমি ভারতবর্ষ!<br />আজীবন মানুষের কর্ম থেকে ধর্ম-ই এখানে বড় হয়েছে!<br />সেই সিপাহীবিদ্রোহে শুরু! -- আর তারপর এক এক করে কেটেছে একাত্তরটি স্বাধীন নববর্ষ!<br />তবুও নতুন প্রজন্মে ঘটেনি বিবর্তন! -- হিংস্রতা যেন মানুষের রক্তেই আজও মিশে রয়েছে!<br />যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে, নিজেকে সভ্য গড়ে তোলার তাগিদে আজ,<br />নারী, পুরুষ, নির্বিশেষে সকল জাতিই এক মেকী সভ্য-সভ্য নগ্ন খেলায় মশগুল হয়েছে!<br />তাই সঙ সেজে আধুনিকা নারী যখন তোমরা মডার্ন পোশাকে লুকিয়েছো দেহের লাজ!<br />হিংস্র, কাপুরুষ, পুরুষের দল তখন লোলুপ দৃষ্টিতে আড়চোখে চেয়ে খুঁজে চলেছে,<br />নারী তোমাদের অনাবৃত স্তন, উরুতে সুপ্ত লাভার গুপ্ত কামুক কিছু ইশারাদের!<br />শুনেছো তো ? - "অনাদর একটা মস্ত বড় স্বাধীনতা!" -- সেখানে পোশাকের স্বাধীনতা তো নিমিত্তমাত্র!<br />আচ্ছা নারী, ওই নর পিশাচগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করো তো, - 'কী এমন দোষ ছিল আমাদের ?'<br />তবে কী এটাই দোষ ছিল আমাদের, -- খেলার ছলে ঘুরে বেড়ানো যত্রতত্র ? <br />বলনা গো ওদের, -- আমরা তো সবাই, এক এক সদ্য ফোঁটা কুঁড়ি!<br />আমরা কি আর আজব পৃথিবীর ধর্ম, বর্ণ, রাজনীতি আর কামুক সংযম বুঝি ?<br />বয়সের ঘরে আমরা তো, তিন থেকে আছি কুড়ি! -- থুড়ি আমরা তো বাবার চোখে ছিলাম এক একটা পাকা বুড়ি!<br />পুরুষ মাঝে তাই তো কাকু, দাদা, ভাই এসব ভেবেই আমরা সবাই ভালোবাসা-ই খুঁজি!<br />মুখের আড়ালে মুখোশ থাকে! অত কি করে বুঝি! -- বুঝলে মাগো কাটার দিয়ে কেটে নিতাম লিঙ্ক!<br />তখন পুরুষ বুঝতো মাগো, নারী জাতির মর্ম -- বুঝতো ওই ধর্ষকেরা তাদের অপকর্ম!<br />কা-পুরুষেরা ভাবে মাগো, নারী নাকি তাদের ভোগের পণ্য, -- আর তারাই নাকি এই সমাজের সিংহ!<br />ভুলেই গেছে মাগো, দুর্গা, রকেয়া, প্রীতির কথা! -- অসলে ওরা তো সবেই খোঁজে ধর্ম!<br />এই মহান ভারতেও আজ যারা অনিচ্ছাতে সংযম করে,<br />আর তারপর তোমাদের সাজানো রাজনীতির মারপ্যাঁচে ফেলে সংযমের আনন্দ লুটে নেয়!<br />অথচ, কিছু মেকী ধার্মিক আর বেশকিছু আধুনিকা নারী আজও তাদের-ই ফরে!<br />সভ্য সমাজ সব চেয়ে চেয়ে দেখে আর নীরবে হাততালি দেয়!<br />তখন কোথায় থাকেন, -- তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের আল্লাহ, তোমাদের গড, তোমাদের ভগবান ?<br />কি লাভ হয়েছে বলতো, -- ওই সব ঠুটো জগন্নাথগুলোকে অমৃত পান করিয়ে? <br />যদি তোমাদের আল্লাহ নাই পারে নারীর লজ্জা নিবারণ করে ওই পাষণ্ড ধর্ষকগুলোর নিতে প্রাণ!<br />তবে কি লাভ বলো আসিফার মতো শত শত নারীকে নামাজ, কলমা পড়িয়ে ?<br />মানুষ বড় আজব বস্তু! -- আর ধর্মের রাজনীতি তো তার চেয়েও বড় আশ্চর্যের!<br />রোজ তো দেখি আমাদের জন্য তোমরা মোমবাতি হাতে প্রতিবাদের মিছিল বের করো,<br />আর মিছিলে এক এক করে সামিল হয় মুখোশধারী ধর্ষকেরা! -- বলতো এটা আমাদের কছে কতটা কষ্টের?<br />কতটা যন্ত্রণার, কতটা লাঞ্ছনার.? -- আচ্ছা এমনটা ঠিক যদি তোমার আর তোমার পরিবারের সাথেই হয় ধরো!<br />তখনও কি পারবে হে আধুনিকা, হে মেকী ধার্মিক, হে ভীত ভারতবাসী চুপ থাকতে?<br />পারবে কি ওই মোমবাতির নিরব মিছিলে ধর্ষকে ভাবতে তোমার ভাই? <br />মেকী ধর্ম, আর রাজনীতির উর্দ্ধে না গিয়ে প্রতিবাদে গর্জে না উঠে, - পারবে নিজেকে স্থির রাখতে? <br />নাকি সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে চিৎকার করে বলবে, " বিচার চাই! বিচার চাই! -- ধর্ষকের একটাই সাজা মৃত্যুদন্ড চাই!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/tobuo-maa-loho-pronam/তবুও মা, - লহো প্রণাম!2018-05-13T17:11:46-04:002023-06-26T04:08:41-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>তবুও মা, - লহো প্রণাম!<br />.<br />আমার দুচোখে সীমাহীন ভালোবাসা, -- আর এক চোখে ঘৃণার বারুদ!<br />নবান্নের অস্তাচলে, প্রশান্তের সুনীলে দাঁড়িয়ে দেখেছি মাগো তোমার বহুরূপ!<br />দুর্গম গিরিসংকটের জঠরযন্ত্রণা ছিন্ন করে জন্ম হয়েছিল যে ভ্রুণ!<br />ভাগ্যবিধাতার বাতানো ভবিতব্যের বাতানুকূল সম্পর্কের দাবীতে আজ তার-ই মা মুখ চুন!<br />ছিন্ন শতদল আজ মাগো তাই ভিন্ন পথের পথিক! -- আর সাক্ষী শুধুই কিছু অর্বাচীন!<br />দু-আঙুলের ফাঁকে জোনাকি, মিথ্যে কিছু দেমাকি, -- আমাকে কুরে কুরে খায় রাতদিন!<br />ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, ভুল-ঠিক, ভালো-মন্দ আজ তো সব-ই চক্রবূহের বাতাবরণে,<br />এক হয়ে মিশে গেছে তোমার ওই সংকীর্ণ হৃদয়ের করুণার সিন্ধতে!<br />তবুও আমি বিন্দু বিন্দু জলকণা জমিয়ে সুখের সিন্ধুতে মাগো তোমায় জানায় প্রণাম!<br />লক্ষীটি মা আমার লহো প্রণাম! -- আর পারলে দিয়ো আরোও কিছুটা দুর্নাম, কিংবা সুনাম!<br />জানো তো মা, -- এই সমাজ বড় নিষ্ঠুর, - বড় বর্বর সেইসব পড়শি সহদর ভাই!<br />যারা সবকিছু চেয়ে চেয়ে দ্যাখে আর নীরবে হাততালি দিয়ে লুটে নেয় মজা! -- আসলে জানো কি, - ওরা তো ওটাই চাই!<br />তবুও মাগো আমার দুচোখে সীমাহীন ভালোবাসা! -- আর এক চোখে শুধুই ঘৃণার বারুদ!<br />লালে লাল হয়ে উঠবে কবে মাগো প্রভাতের নবারুণ? -- ভেবে ভেবেই মন যে হয়েছে বিরূপ!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/kobigurur-so/এ দোষ তবে কার ?2018-05-11T19:31:24-04:002023-06-24T14:41:20-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>একদিন এভাবেই কাজল কালো হরিণী চোখের কোণে জমবে পলেস্তারা! -- কমবে দৃষ্টি!<br />গুড়িয়ে যাবে বহু সাধের ফরাসী চামড়া, কিংবা তার লাবণ্য !<br />ফুরিয়ে যাবে যৌবনের সমস্ত রূপ-রস-গন্ধ ও তার অপরূপ সৃষ্টি!<br />হামাগুড়ি দিয়ে এক এক করে নেমে আসবজ্বালা ও কষ্ট-কাঠিন্য!<br />তারপর একটা অবাঞ্ছিত নরকঙ্কাল হয়ে আরও বেশকিছুদিন অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম!<br />কিছুটা অনুনয়, কিছুটা বিনয়, আর বেশকিছুটা পাপ ক্ষয়! -- এরপর এক সময় বিদায়!<br />এই তো জীবনের রঙ্গমঞ্চে প্রতিটি মানুষের অভিনয় অবিরাম!<br />তবুও এই সভ্য সমাজের রাজপথে পথে আজও অভুক্ত মায়ের ক্রন্দন শোনা যাই!<br />দেখা যাই রোগা শালিকের বিবর্ণ হৃদয় নিয়ে বসে থাকতে করুণাময়ী, মঙ্গলময়ী বৃদ্ধা মাকে!<br />উদ্বাস্তু ঘর, জীবিত-মৃত বর, আর আপন রক্ত যে ছেলে করেছে পর!<br />অথচ অভুক্ত মা তাঁরই কল্যাণে পথে পথে ডেকে মরে ঈশ্বর! -- আচ্ছা আমি দোষ দেবো কাকে ?<br />করুণাময়ী মঙ্গলময়ী অভুক্ত মা ? নাকি তার স্বার্থপর ছা ? নাকি এই পাষণ্ড ঈশ্বর ?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sunno-anko/শূন্য অঙ্ক - ১2018-05-10T18:25:03-04:002023-06-24T14:41:53-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>হঠাৎ একদিন খুব ভোরে ঘুম ঘোরে পাশ ফিরে যদি দেখো আমি আর নেই,<br />তুমি কি কোল বালিশের ওপারে আলতো করে হাত বুলিয়ে দেখবো ?<br />নাকি লাফিয়ে উঠে ভয়ার্ত চোখে আমাকে সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজবে ?<br />খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ যদি তোমার পাশে রাখা কোল বালিশের নীচেই,<br />দেখো টাটকা রক্তে খোদাই করা হলুদ খামের একখানি চিরকুট,<br />তুমি কি হাতে তুলে তাড়াতাড়ি খুলে পড়তে চাইবে ?<br />নাকি বুকে জড়িয়ে আমাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যাবে ?<br />যদি খুলে দেখো গোলাপের সাথে কাঁচা হাতে লেখা একখানি প্রেমপত্র,<br />তাতে যত্ন করে লেখা, একটু চোখের দেখা, " এবার তবে যাই "!<br />তুমি কি বাদামী রক্তে নোনা জলের স্বচ্ছ স্ফটিক বিন্দু এঁকে দেবে ?<br />নাকি অভিমান সুরে করিডোর ঘুরে বিদায়ের শেষ পেরেকটি পুঁতে দেবো ?<br />তারপর মাসখানেক পরে তোমার ঘুম ঘোরে আবার যদি ফিরে আসি,<br />একটা কঙ্কাল, পিশাচ, কিংবা অশরীরী আত্মার বায়বীয় রূপ ধরে,<br />হে প্রিয়তমা তুমি কি আমায় চিনতে পারবে ?<br />নাকি ভয়ার্ত কন্ঠে আমাকে আবার প্রশ্নবিদ্ধ বারবার করবে," কে তুমি ? "<br />পচা-গলা দুর্গন্ধ রক্তাক্ত দেহটা যদি ধরো ঝুলে থাকে গেস্ট হাউসের এক কোণে,<br />তুমি কী আমার কথা বিশ্বাস করে একবার ঘুরে দেখবে ?<br />নাকি তুমি আমায় ভ্রান্ত, অলীক, মনের ভুল ভেবে,<br />ব্যস্ত শহরের নগ্ন খেলায় আবার মেতে উঠবে ?<br />আচ্ছা আমার কি কোনদিন তোমার হাত থেকে মুক্তি হবে না ?<br />নাকি সত্যিই খুব করে ভালোবাসো বলে আমায় মুক্তি দিতে চাওনা ?<br />যদি ভালোই বাসো তবে কেন করলে এইরকম ?<br />বলো প্রিয়তমা আমার কি দোষ ছিল? -- শুধু একটি বার বলো ?<br />কী চেয়েছি জীবনে আর বিনিময়ে কি দিয়েছো তুমি আমায়,<br />যদি সম্ভব জীবনের শূন্য অঙ্কটা একবার মিলিয়ে দেখো,<br />দেখতে পাবে, অবহেলা, ঘৃণা, লাঞ্ছনা আর গঞ্জনা ছাড়া,<br />আর কিছুই দাওনি আমায় ! -- তবুও তোমাকেই ভালোবেসেছি,<br />আর তোমার সুখের জন্যই আজ আমি না ফেরার দেশে,<br />হাজার চাইলেও এখন আর তোমার কাছে ফিরতে পারবো না,<br />তবে আজও তোমায় ভালোবাসি বলেই প্রতিশোধের আগুনটা সুপ্ত লাভা !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/kobigurur-soron/কবিগুরুর স্মরণ 2018-05-09T13:33:53-04:002023-06-24T14:41:21-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>হে কবিবর, -- কবির শ্রেষ্ঠ কবিগুরু!<br />তোমার চরণে লেখা অর্পণ করেই আমার জীবনের লেখা শুরু।<br />সেই কবেকার কথা, -- জানো তো কবি মনে পড়ে আজও,<br />বয়স তো আর কম হলনা কিছু -- এই আমারও,<br />বিশ বসন্তের অবসানে আজ একুশ বসন্তে রেখেছি পা!<br />তবুও প্রতিটা রাতে, সকালে শুধু তুমি-তুমি, আর তোমারই আরাধনা.<br />বারোটা বসন্ত আগে, -- যখন সকালের আলো ফুটলেই ছুটে যেতাম পাঠশালা,<br />জানো টান ছিল বড়, তাই তো তোমাকে নিয়েই খেলেছি, - ' রবিবারের রবি খেলা '।<br />শুনেছি ভূতে নাকি মারে চার ঢেলা! -- তাই পথে যেতে যেতে যদি ভয়ে শুকিয়ে যেত প্রাণ!<br />তখন একলার ভয় কেড়ে নিত তোমার ওই সুরে বাঁধা গান,,,<br />" যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একল চলো রে..."।<br />আজ আমি কবি একলাই চলি! - তবে রাতের আকাশে জানলা দিয়ে চাঁদ দেখা দিলে,<br />জানো কবি আজও মনে পড়ে, -- " চলো যাই চাঁদে চড়ি, সারারাত ধরি। "<br />না জানি এমন আরো কত কী, শুধুই ফিসফিস আর বিড়বিড় করি!<br />আজও সেদিনের মতোই সুখে, দুখে, ভালোলাগা, ভালবাসা সবেতেই তোমার সঙ্গ পাই,<br />আসলে তোমার কাছেই তো শিখছিলাম জন্ম-মৃত্যুর সমভাবনা -- তাই মৃত্যুকে আর ভয় নাই।<br />জানি কবি জানি, আজও তুমি তেমনই আছো! -- অন্তত আমার শয়নে স্বপনে.<br />বারোটি বসন্ত আগে যেমন ছিলে, -- আমার মনের গোপনে!<br />তাই প্রণাম যেন তোমার চির পাওনা, -- এ সবই তো তোমারই দান!<br />তোমার সুরে সুর মিলিয়ে আজও গেয়ে চলি প্রভাতি সুখের গান।<br />তোমার পদধূলিতেই কবি ধন্য হয়েছি আমি, -- আর ধন্য হয়েছে ধরা!<br />তাই আজ শুধুই স্মৃতির অকপটে তোমার স্মৃতির স্মরণ করা।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/songjom-ekti-silpo/সংযম একটি শিল্প 2018-05-08T05:32:59-04:002023-06-26T04:16:40-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>তপ্ত দুপুরের বিষণ্ণতা কাটিয়ে একবিন্দু জলকণা হয়ে,<br />আমি ঝরে পড়েছিলাম তোমর ওষ্ঠদেশে!<br />তোমার লাল-গোলাপি চিবুক আমার সবটুকু শুষে নিয়ে,<br />গোলাপের পাপড়ির মতো পরতে পরতে নিজেকে খুলে দিয়েছিলো খুব করে ভালোবেসে!<br />আমি বৈকল্যের বোঁচকা খুলে এক এক করে কুড়িয়ে নিয়েছি :---<br />তোমার নিশ্বাস, বিশ্বাস, আশ্বাসের শরীরী উম ভালোবাসা!<br />আর প্রত্যুত্তরে এক-কাট্রা জমিনে একটা নিশ্চল দেহকে দিয়েছি :---<br />বাড়িয়ে। -- আর মনের আনন্দে খেলি গেছি এক্কাদোক্কা!<br />তোমর নিশ-পিশ করে ওঠা প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্দরে অন্দরে,<br />তারপর আস্তে আস্তে ঢেলে গেছি গুপ্ত কামনার সুপ্ত অধিবিষ!<br />আর জ্বালিয়ে দিয়েছি যৌবনের জৌলুসের সদ্য ফোঁটা কুঁড়িটিকে!<br />তুমি শ্রাবণধারার মতো অঝরে ঝরে গেছো আমার কলমের গৈরিশে!<br />আমি তখনও সুগন্ধি সাবানের মাখো মাখো গন্ধে উন্মাদ হয়ে,<br />বারেবার ওষ্ঠ, চিবুক, বক্ষ হতে নেমে এসেছি জঠর-জরায়ুতে!<br />তুমি ক্লান্ত, বিবাগী, অপলক দৃষ্টিতে হাতে হাত দিয়ে,<br />সংযমে লিপ্ত হয়ে ঢাকতে চেয়েছো তিমির আঁধারে কালপেঁচার তৃষ্ণাকে!<br />কিন্তু বিশ্বাস করো, -- আমি ব্যর্থ হয়েছি তোমার এই স্বার্থহীন ভালোবাসার কাছে!<br />বঁইচি বৃন্তে শুধুই কামুক আঁচড় দিয়ে খুঁজে ফিরেছি,<br />তোমার আলিঙ্গন, স্নেহ চুম্বন আর শরীরী লিপলক! -- পাছে,<br />কিছু ভুলের ছলে ভুল হয়ে যায়! -- তাই মুখের আড়ালে মুখোশ দিয়েছি!<br />আর যা নিয়েছি, - সে তো শুধুই শিল্প! -- তাই তো শিল্পীর মতো,<br />নিপুণ হাতে রচে গেছি;-- সেই নষ্ট রাতের ইতিকথা-র গল্প!<br />শাশ্বত প্রেম যে আজ ধ্রুব তারা! -- ভালোবাসা সে তো শুধুই বূকে জমানো ক্ষত!<br />তাই বিশ্বাস হোক বা না হোক, -- এই নীরবও পৃথিবী জানে, - 'সংযম একটি শিল্প!'</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/prapti/প্রাপ্তি2018-05-07T01:53:52-04:002023-06-24T14:41:46-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>জীবন যুদ্ধে বারবার পরাজিত হওয়া এক উগ্র শয়তান ফিনিক্স আমি!<br />তাই তোমরা যতবার বিস্মৃতির অতল গহ্বরে আমাকে ছুঁড়ে ফেলতে চেয়েছো,<br />ঠিক ততবারই আমার জন্ম হয়েছে তোমাদের সাজানো কবিঘরে।<br />না কবি, না! - তোমাদের বনলতা, মীরা, কিংবা সুকান্তর-নন্দিনী নয়!<br />এক লোভী, স্বার্থপর, অসভ্য, বর্বর, শ্বেতাঙ্গ বহুরূপী আমি!<br />আমি তো সমাজের সেই স্তরের জীব, -- যার জীবন প্রবাহকে তোমরা চিরকাল ক্লীবের মতোই দেখে এসেছো,<br />তাই বারবার তোমদের অদৃশ্য অবিশ্বাসের কুঠারে আমাকে আঘাত করে,<br />সকলের চোখে ক্রমশ একটা মেরুদণ্ডহীন জীব করে তুলেছো, -- তবে মন্দ নয়!<br />হয়তো এইটুকুই আমার প্রাপ্তি ছিল প্রিয়!<br />বেশ তো নাহয় এভাবেই টেবিলের এক কোণে আমাকে একটু জায়গা দিয়ো,<br />তারপর কালের ক্ষয়ে যেদিন শঠতার ভীড়ে আসল সত্যটা বেরিয়ে আসবে,<br />সেদিন হয়তো নীরব চোখে ঠুলি পরে, -- কিছুটা আবেগের স্রোতে ভাসবে!<br />আর চিৎকার করে বলে উঠবে, -- " জয়তু হে প্রিয় কবিবর, "<br />আমি তখনও দূর থেকে দেখে যাব তোমাদের সেই সাজানো কবিঘর!<br />যেখানে পর্দার আড়ালে চলে পণ্যের নষ্টামি! -- যেখানে সততা শুধুই ভণ্ডামি!<br />সেখানে আমার বড় প্রাপ্তি, - এই আমি ? -- ভেবেছো নাকি কোনোদিন কবিশ্রেষ্ঠ তুমি ?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/srisrishti-sukher-ullashe-two/সৃষ্টি সুখের উল্লাসে--২2018-05-05T20:10:32-04:002023-06-25T22:50:25-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>অনাবৃত স্তন, হিম-শীতল নাভি নিতম্ব,<br />নিতল জরায়ুর প্রাঙ্গণ চিরে চুঁইয়ে পড়া কিছুটা সিমেন মিশ্রিত সিরাম<br />একটা অভিশপ্ত নির্জন রাত আর সোডিয়ামের বেশকিছু টিমটিমে আলো,<br />সংযমে ক্লান্ত-বিহ্বল একটা অসহায় নারীর অর্থহীন আর্তনাদ অবিরাম!<br />টেরিকাটা কয়েকটা অর্বাচীন মুখ, সিগারেটের বেশ কিছুটা ধোঁয়া,<br />সুরা পাত্রের ঠুংঠাং আওয়াজ আর কাল-পেঁচার তিমির নীরবতা,<br />রাজপথের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার বছরের পুরনো বটবৃক্ষ,<br />সাক্ষী হয়েছে শুধু! নিমিত্তে হারিয়েছে চিত্তের সজীবতা,<br />জোনাকি, ঝিঁঝি পোকার দল নিশ্চুপ হয়ে দেখেছে নারী ধর্ষণের ইতিকথা,<br />চোখহীন দুটো জল-ফড়িং দেখেছিলো পুরুষ কতটা বর্বর!<br />নীল আকাশের বুকে জেগে থাকা একফালি বাঁকা চাঁদও লজ্জায়,<br />মেঘের চাদরে মুখ ঢেকে বলেছিলো, " হে পুরুষ তোমরা বড়ই স্বার্থপর ! "<br />তারপর একদিন কালের ক্ষয়ে ধুমকেতুর মতো জ্বলে উঠবে কিছু নারী,<br />রক্ত-বীর্য মাখা থেতলে যাওয়া কিছু পুরুষাঙ্গ হাতে নিয়ে,<br />প্রতিবাদে গর্জে ওঠে, দোদমা ফাটাবে নগরের রাজপথে,<br />নেতা থেকে মন্ত্রী, ধনী থেকে দরিদ্র, রাজা থেকে প্রজা ভয়ার্ত চোখ দিয়ে<br />লজ্জার লেলিহান শিখা জ্বলে ওঠে, নত মস্তকে চেয়ে দেখবে,<br />নিজ নিজ পুরুষাঙ্গে, কিছু অতৃপ্তির বিষাক্ত নিশ্বাস,<br />অনাবৃত স্তন, হিম-শীতল নাভি নিতম্ব, জরায়ুর প্রাঙ্গণ ছিঁড়ে,<br />যখন মিছিলে সামিল হাতে চাইবে, অন্তরে চাইবে আরও কিছু সহবাস,<br />আমি এক এক করে তখন তারাবাতি দিয়ে ওদের মুখ পুড়িয়ে,<br />দেখাবো রক্তাক্ত কামুক পুরুষাঙ্গের অভিনব প্রতিফলন,<br />আর তারপর থেকেই ওরা নারীকে মা বলে স্বীকার করে,<br />আগুনের বিছানায় সকল অবৈধ কামনাদের বিসর্জন দিয়ে করবে অশ্রু-বিগলন <br />আমি নাহয় তখন ওই বটবৃক্ষের মতো হাজার বছরের সাক্ষী হয়ে,<br />জোনাকি কিংবা ঝিঁঝি পোকায় মতো সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ডাক দিয়ে,<br />নারীকে মাতৃরূপে দেখে, পুরুষকে পুরুষের জায়গায় রেখে,<br />আরও একবার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে উঠবো !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/proshno/প্রশ্ন 2018-05-05T10:42:59-04:002023-06-24T14:41:46-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এক নির্জন সন্ধ্যায় এক কলঙ্কিনী রাধা,<br />ব্যস্ত শহরের নগ্ন কোলাহলের ভিড় পেরিয়ে,<br />এক সিঁথি কালের লাল টুকটুকে অভিসপ্ত সিঁদুর রাঙিয়ে<br />,দৈনের দায়ে দেহ বিকিয়ে তোমাদের কাপুরুষত্বে প্রশ্ন ছুড়ে<br />আমাদের সভা, রুচিশীল সমাজের বুকে ধর্ষণের শেষ পেরেকটি ঠুকে,<br />আত্মহূতি দিয়েছে আমার বিবেক বারুদের গোপন কারাগারে।<br />কতকাল তো তোমাদের রঙিন বইয়ের পাতায় পড়লাম,<br />এই রঙহীন, বিবর্ণ, বর্বর, নিষ্ঠুর, পাষণ্ড, পিশাচী সভ্যতার ইতিহাস!<br />কখনো কবিতা, কখনো গান, কখনও-বা গল্প হয়ে আমার অন্তর আত্মার,<br />বিবেক বারুদের সুপ্ত অস্ত্রাগারে তবে কোনদিন কোনো স্পর্শ দিয়ে যেতে পারেনি!<br />পারেনি কোনো কলঙ্কিনী রাধার মতো রানীকে আমায় উপহার দিতে।<br />চিরকাল মনে হয়েছে লাল, সবুজের মাঝে তোমরা সেলাম ঠুকে,<br />নিজের সতন্ত্র কবি সত্বাকে কোথাও যেন দিনে দিনে বিকিয়ে দিয়েছো,<br />আর বিনিময়ে নিয়েছো জমকালো, ঝলমল, ব্লুটিং পেপারে সাজানো গরীবের রক্তলিপি,<br />তাতে বড়বড় করে, ধর্ষিতার সিরামে স্বর্ণাক্ষারে লেখা আছে,<br />তোমাদের পারদর্শীতার মিথ্যাে সাজানো ব্রজবুলি।<br />অথচ চিরকাল বোকা পাঠকের দল তোমাতে আকন্ঠ ডুবে,<br />হাতড়ে চলেছে সাম্যের সুর, সত্যের জয়গান কিংবা ধর্ষিত নারীর স্বপ্ন-সুখ।<br />মূর্খ চাতকের মতো তৃষ্ণার্ত হয়ে স্বচ্ছ সরোবর ছেড়ে বৃষ্টির জল চেয়ে,<br />একটা অকাল ভাদরের পায়ে মরা যৌবনের বসন্ত বেড়ী পরিয়ে চেয়েছে পুষে রাখতে,<br />আর ঠুলি পরা সমাজের চোখে কবিতা, গান, গল্পের মাঝে নিজেদের জ্ঞানী করে তুলতে,<br />পুঁথিগত শিক্ষার দুয়ারে তোমাদের ঠাঁই দিয়েছে, তবে আমি পাইনি এখনও!<br />নির্বাক দৃষ্টিতে অঝরে বৃষ্টি নামিয়ে আজও আমি দেখি পুঁথি সৃষ্টির ইতিকথা,<br />আসলে বৃষ্টি যে আমার দৃষ্টির সীমানায় স্রোতবিনী নদীর মতো বইছে,<br />মেকি ধর্ম, অপকর্ম, নৈরাজ্য, নৈরাশ্য আর লাল, সবুজের রজঃ-টিকা,<br />কলঙ্কীনি রাধার স্তনযুগলে শাসকের কালো হাত বুলিয়ে সংযমে লিপ্ত হতে চায় বারবার।<br />কালের কালকেতুর মতো ওরা গ্রাস করেছে না-জানি কত শতবার,<br />আরও ঢের বাকি আছে! -- একশত একুশ কোটিবার।<br />তারপর মুক্তি! -- বিপ্লব, নবজাগরণ, পরিবর্তন, বিবর্তন, অভিব্যক্তির পথ ধরে,<br />আবার একদিন এই নষ্ট নীড়ে ফিরবে শান্তি, ফিরবে মনুষ্যত্ব,<br />ফিরবে গভীর সুষুপ্তিতে ঢলে থাকা একটুকরো মনের সুপ্ত বিবেকের বারুদ!<br />আমি সেদিনও তোমার সাজানো-গোছানো কবিঘরে বসে লিখে যাব,<br />কিছু না পাওয়া কথার নির্মম, নিষ্ঠুর, বেদনার ইতিহাস!<br />আর শব্দের ঝংকারে ঝড় তুলে শতাব্দী পরে চাইবো নন্দিনীর প্রেম!<br />হে মানুষি যদি অবাঞ্ছিত ধুলিকণার বিষাক্ত রেণু হয়ে,<br />নাই জায়গা হলো তোমার পড়ার টেবিলের এক কোণে,<br />তবে কি লাভ বলো সাদা কাগজের বুকে রঙিন আঁচড় কেটে,<br />সমাজের দগদগে পড়া ঘায়ে বার্ণাল লেপে নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে,<br />আগুনঝরা দোয়াতে অঙ্গারের দেহ-মোম জ্বালিয়ে কবিতা, গান, গল্প লিখে যেতে ?</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/arshi-nogorer-maa-durga/আরশি নগরের মা দুর্গা 2018-05-04T13:51:12-04:002023-06-24T14:41:17-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>বারুদ ঠাসা বাতাসে আজও পোড়া শিউলির গন্ধ!<br />সভ্য সমাজে মহানগরীর বুকে সেইতো জাতি, ধর্ম, বর্ণের দ্বন্দ্ব।<br />শরতের কাশ আর শুভ্র মেঘের দল আজ অনেকটাই লীন!<br />সাবেকি মনুষ্যত্ব, বিবেক, অবেগ, সহানুভূতি আজ যে বড়ই ক্ষীণ !<br />তাইতো সেদিনের মতোই আজও তোমার দুর্গা মহালয়ের ভোরে শরৎ মাখে গায়,<br />আর আমার আরশি নগরের মা দুর্গা, সেতো আজও দু-বেলা রোজ খোলা ফুটপাতেই জন্মায়।<br />আজও তোমার দুর্গার অকালবোধন হয় একশো আটটা পদ্মফুলে,<br />আর আমার দুর্গা, সেতো এখনও দূর থেকে চেয়ে থাকে তালাবন্ধ খিচুড়ির ইস্কুলে।<br />-- " এই বুঝি তোমাদের প্রতীক্ষারত সুসজ্জিত বিলাসিতার দশটা দিন শেষ হবে,<br />আর আমার দুর্গা পরম স্নেহে তোমাদের ফেলে দেওয়া দু-মুঠো অবজ্ঞার অন্ন পাবে ! "<br />তোমার দুর্গা সেতো গিরিরাজের কন্যা, তাই আগমনীর সুর আজও আকাশ-বাতাস ধ্বনিত করে,<br />আর আমার দুর্গার বিসর্জন, - বাঁধ ভাঙা বন্যার অথই সাগর জলে, বেচারি এক্কেবারে ডুবে মরে!<br />তবুও প্রতিবার তোমার দুর্গা প্রতিমা রূপেই ফিরে আসে তার বাবা মা'র বাড়িতেই!<br />আর আমার দুর্গা, সেতো শুধুই মা'র কোলে পিঠে মানুষ, বাবার কোনো খবর নেই।<br />তোমার দুর্গা এবারও দেখছি বেশ টেক্কা দিয়েছে, -- নিত্য-নতুন থিমের পুজো!<br />আর আমার দুর্গা, সেতো ইট বয়ে বয়ে পিঠ করেছে এক্কেবারে কুঁজো।<br />তবুও তোমার দুর্গা দেখি হুল্লোড়ে মাতে সুসজ্জিত প্যান্ডেলে,<br />আমার দুর্গা কন্টক-শয্যায় আজও বাঁচতে শেছে অতীতকে ছুঁড়ে ফেলে।<br />অথচ তোমার দুর্গাই আলো ঝলমল! --- চেনে না, জানেনা অন্ধকার!<br />আমার দুর্গা বিশ্ব মাঝে রোজ সেজে-গুজে আপণ মনে খুঁজে মরে তার সংসার।<br />তোমার দুর্গা তো আধুনিকত্বের ছোঁয়া পেয়েছে, শপিং মলে তাই কফির ধোঁয়ায় ওড়ে!<br />আর আমার দুর্গা আজও ছেঁড়া কাপড়ে চা বানায় ওই চৌ-রাস্তার মোড়ে।<br />তবুও তোমার দুর্গাই বহুজাতিকের বহুজনহিতায়চ!<br />আমার দুর্গা কালকে যেমন, আজো তেমন তথৈবচ।<br />তোমার দুর্গার ছবির ফ্রেম শিউলি আর কাশে, যেন অট্টহাসে,<br />আর আমার দুর্গা এখনো আশায় কেউ যদি তাকে একটু ভালোবাসে।<br />তাইতো তোমার দুর্গা যখন ধুনুচি নাচে, -- ঢ্যাম্ কুড় কুড় ঢাকে,<br />আমার দুর্গা তখন ঘুরেই মরে দশচক্রের পাকে।<br />জানি, তোমার দুর্গার অঢেল খাবার, অঢেল নষ্টও হয়<br />আমার দুর্গার দিন আনাআনি, কিচ্ছুটি নেই সঞ্চয়।<br />তবুও তোমার দুর্গা নদী কুলকুল, স্নেহের প্রথম পাঠ!<br />আমার দুর্গা রাতের আঁধারে নখের আঁচড়ে ভয়েই শুকিয়ে কাঠ।<br />তোমার দুর্গা তো অস্ত্র শানায় সিংহবাহিনী রূপ,<br />আমার দুর্গা কাঁদতে কাঁদতে এখনও নির্বাক, নিশ্চুপ।<br />তোমার দুর্গা দশভুজা হয়ে অসুরের মাথা কাটে,<br />আমার দুর্গা অপুষ্টি নিয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে হাঁটে।<br />জানি না কবে আমার দুর্গা তোমার দুর্গা হবে ?<br />আমার আকাশ ভরবে কবে তোমার উৎসবে উৎসবে !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/sristi-sukher-ullashe/সৃষ্টি সুখের উল্লাসে--১2018-04-12T04:51:55-04:002023-06-24T14:41:51-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>জীবনটা আজ বড় ক্লান্ত, বড় একাকী, বড় বেমানান,<br />হয়তো আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন তারপরেই এই আছি এই নেই!<br />প্রতিটা রাতের প্রহরে প্রহরে যখন ক্রমাগত মৃত্যুর সাইরেন বেজে উঠে,<br />তোমাদের ব্যস্ত শহরের ইট পাথরে মোড়া দানবীয় করিডোরগুলো,<br />তখন হাঁ করে গিলে খায় সবুজের যৌবন-জৌলুস!<br />জানো তো পায়েল আমি কিন্তু তখনও নরক যন্ত্রণার শেষ সিঁড়িতে বসে,<br />দু-চোখ ভরে দেখি বুনিয়াদির স্বপ্ন আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস,<br />আনমনে খুঁজে চলি পরিবর্তন, বিবর্তনের সুপ্ত লাভা!<br />বহুকাল তো হল ফিরিঙ্গিদের বিতাড়িত করে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছি!<br />কোনদিন কী আমরা নিজেদের নিজেরা স্বাধীন করতে পেরেছি ?<br />বাঁচার তাগিদে দু-মুঠো অন্ন আর বেআবরু ঢাকতে একফালি মোটা কাপড়,<br />কোনদিন কি খেটে খাওয়া মানুষগুলোর দস্তানায় পৌঁছে দিতে পেরেছি?<br />রোজ রাতে আঁধার গলিতে দলিত হতে দেখি পণ্যের দরে নারীদের সম্ভ্রম,<br />গোলাপের বিছানায় শাসন বারণের লাল চোখ দেখিয়ে,<br />শিরার খাঁজে খাঁজে ঢালতে দেখি দেহের শুভ্র অধিবিষ!<br />পায়েল তুমি জানতে চেয়েছো না আজ কেন আমি ডুমুরের ফুল হয়ে গেছি?<br />কেন আমি সকলের থেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছি ?<br />কেন আমার উজ্জ্বল উপস্হিতিতে নীলচে আভাসের মাখামাখি ?<br />আমি কি আজ আর প্রেম, বিরহ, প্রতিবাদী কবিতার শব্দজালের বুননে,<br />আগুনঝরা দোয়াত দিয়ে কাগজের বুকে তোমার নামে আচড় কাটি?<br />আজ আর তোমাকে আমার মনে পড়ে কিনা ? -- তুমি জানতে চেয়েছো না!<br />আচ্ছা তুমিই বলো স্মৃতির দহন যন্ত্রণা কি ভুলে যাওয়া এতোটাই সহজ ?<br />আমাদের সম্পর্কের সুতোটা কি এতোটাই ক্ষীণ, এতোটাই মলিন,<br />যে সামান্য দেহ মোমে জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে যাবে সকল সুখ স্মৃতির গুঞ্জন ?<br />জানো তো পায়েল আমি যখন রোজ রাতে জানলার আর্শিতে কান পাতি,<br />তখন শুনতে পাই নগ্ন সভ্যতার বুকে বীভৎস করুণ ভয়ার্ত মানুষের আর্তনাদ!<br />আর আঙুলের ফাঁকে জ্বলে ওঠা জোনাকির আলো দেখে বড় ভয় হয়,<br />এই বুঝি সমস্ত ঝিঁঝিদের মুখে পটি মেরে ওরা শান্ত করবে ওদের,<br />প্রতিবাদের অগ্নিযজ্ঞে জল ঢেলে নামিয়ে আনবে বিষাদের ছায়া,<br />মিশরের মানুষীর বুক থেকে মুক্ত ছিন্ন করে ওরা ঢেলে দেবে,<br />আমার স্ফটিক স্বচ্ছ নীল গেলাসের জলে আর এঁকে দেবে ব্যর্থতার গ্লানি,<br />জানো তো পায়েল আজ নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দিতে বড় লজ্জা হয়,<br />তাই রঙিন চাদরে মুখ ঢেকে কাপুরুষের মতো পালিয়ে বাঁচি,<br />এই বুঝি একটা পরিবর্তন, বিবর্তনের সুপ্ত বীজ অঙ্কুরিত হয়ে মহিরুহে পরিণত হয়,<br />এই আশায় আজও নরক যন্ত্রণার শেষ সিঁড়িতে বসে,<br />দু-চোখ ভরে দেখি বুনিয়াদির স্বপ্ন আর সৃষ্টি সুখের উল্লাস!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/priyotona/প্রিয়তমা2017-08-17T11:20:48-04:002024-03-10T07:08:19-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এক,<br />ঝুমধরা সন্ধ্যায়,<br />আমি বসে নিরালায়,<br />প্রিয়তমা আজ আরও একবার,<br />তোমার জন্য নীল আকাশের বুকে,<br />সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বালিয়ে আজানা কোনো সুখে,<br />এক এক করে আজ প্রতীক্ষার প্রহর গুনছিলাম,<br />তুমিই তো বলেছিলে বাঁধা-বিপত্তির ঝড় একটু থিতু হলে,<br />কোনো এক ঘোর লাগা সন্ধ্যায় তুমি আবার আসবো চলে!<br />কিন্তু প্রিয়তমা তুমি আজও ফেরোনি আমার এই নষ্ট নীড়ে,<br />আমার এই দু-চোখ তোমায় কতো খুঁজেছে মানুষের ভীড়ে,<br />তবুও তুমি একটি বারের জন্যও দাওনি দেখা,<br />কি পেয়েছো প্রিয়তমা আমার মন ভেঙে?<br />বেগুন, লাও, কুমড়ো নাকি ঝিঙে ?<br />খুব বেশীকিছু কি চেয়েছিলাম ?<br />চেয়েছিএকটু ভালোবাসা!<br />বিনিময়ে নিরাশা,<br />পেয়েছি!<br />প্রিয়তমা আর কতকাল আমি এই প্রতীক্ষার প্রহর গুনবো ?<br />আর কতকাল আমি এই মিথ্যে স্বপ্নের মায়াজাল বুনবো ?<br />আর কত দুঃখ দিয়ে তুমি হবে শান্ত ?<br />আর কত সুখ ছিনিয়ে তুমি হবে ক্ষান্ত ?<br />আমি তো তোমার কাছে শরীর চাইনি!<br />তাই কি আমি তোমার ভালোবাসা পাইনি ?<br />কিন্তু ভালোবাসা তো হয় অন্তরে,<br />তবে সহবাস করি কি করে ?<br />তাই আজও আমি তোমার ফেরার পথ চেয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনে চলেছি,<br />জানি একদিন তুমি ফিরবেই তাই আজ আবার স্বপ্নের মায়াজাল বুনে চলেছি,</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/rekprithibirsondhane/আর এক পৃথিবীর সন্ধানে 2017-07-21T16:42:48-04:002023-06-24T14:41:49-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>একদিন নাহয় ঠিক এভাবেই,<br />রঙিন চাদরের সিভিলিস গায়ে জড়িয়ে,<br />বেরিয়ে পড়বো নগ্ন শহরের কোলাহল ছেড়ে,<br />দূরে বহুদূরে, কোনো এক নিবিড় অজানায়!<br />যেখানে অবারিত সবুজ মাঠে,<br />থাকবে না কোনো প্রতিবন্ধকতার দায় !<br />যেখানে শিশিরের প্রতিটি স্বচ্ছ স্ফটিক বিন্দু,<br />অবারিত ভাবে ঝরে পড়বে আকাশের গাঁ বেয়ে !<br />যেখানে ফড়িং-এর ডানায় থাকবে,<br />এক অন্যরকম অবাধ স্বাধীনতার সুখ ! <br />অপরাধীর শাস্তিতে যে শান্তি লুকিয়ে থাকে,<br />ঠিক যেন তাঁরই মতো অবাধ সুখ !<br />যেখানে ধর্ম নয় কর্মই হবে,<br />মানুষের বাঁচার একমাত্র অবলম্বন !<br />যেখানে জাতি, বর্ণ, ধর্মের বিভেদ নয়,<br />মানুষের মানবতার বিচার করা হবে!<br />দেখো আমি একদিন ঠিক-ই বেরিয়ে পড়বো,<br />এই উন্মাদ সমাজের বুক চিরে,<br />দূরে বহুদূরে, কোনো এমনই এক অজানায়,<br />যেখানে পাখিরা সত্যের প্রতিনিধি হয়ে,<br />গেয়ে উঠবে চির প্রশান্তির সাম্যবাদীর গান।<br />যেখানে ভ্রমরের প্রতিটি গুঞ্জনে,<br />থাকবেনা কোনো চাওয়া-পাওয়ার বাসনা ।<br />যেখানে ফুল ফুটবে ফুলের জন্য,<br />আর মলয়া বাতাস সুরভিত করবে তাঁর সুগন্ধ!<br />যেখানে ধর্ম উথ্যানকারির সমস্ত ভ্রূণগুলোকে ,<br />জন্মানোর আগেই নির্বাসিত করা হবে অন্ধকূপে।<br />যেখানে হিন্দু মুসলমান সত্যিই বাংলা মায়ের,<br />এক বৃন্তে দুটি তাজা কুসুম-কলি হবে ।<br />যেখানে কবর-শ্মশান মিলে মিশে দেড় হাত জমিন হবে।<br />যেখানে অমানুষ নয়, মানুষের শেষ কৃত্য করা হবে ।<br />সেখানে কি কোনো যৌন ব্যবসায়ীর স্থান হবে ?<br />তাই দেখো একদিন আমি ঠিকই<br />এমন এক নতুন পৃথিবীর সন্ধানে,<br />বাঁকা গায়ের মেঠো পথটি ধরে,<br />আমি ব্যস্তবহুল নগর ছাড়িয়ে বেরিয়ে পড়বো,<br />দূরে বহুদূরে নির্জন কোনো এক অজানায়,<br />যেখানে শুধুই শাস্তি আর শাস্তি অনাবিল রবে !<br />রক্তের হোলি যেখানে চিরকাল ম্লিহমান রবে,<br />যেখানে মরুভূমির উত্তপ্ত বালুরাশি জুড়ে,<br />ছড়িয়ে থাকবে আগামীর ডাক!<br />যেখানে বরফের আগুনে জ্বলে উঠবে,<br />অদম্য ইচ্ছাশক্তির বিলুপ্ত বাসনারা।<br />যেখানে পথিকের দুদন্ড সুখ মিলবে,<br />সোনাঝুরি কিংবা বট-অশ্বথের তলে।<br />আমি একদিন ঠিক সেই অজানার সন্ধানে,<br />এ জগতের সকল বাধা-বিপত্তির শিকল ছিন্ন করে,<br />বেরিয়ে পড়বো সেই নতুন পৃথিবীর সন্ধানে !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/orakarafive/ওরা কারা - ৫2017-07-20T06:42:58-04:002023-06-24T14:41:25-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>বাস্তব জীবনের দলিল হাতে নিয়ে,<br />ওরা নগরের পথে ঘাটে,<br />নীড় হারা রোগা শালিকের,<br />বিবর্ণ হৃদয়ের মতো ওদের দিন কাটে!<br />ওদের মনে সখ-আহ্লাদ থাকতে নেই!<br />ওদের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব রাখতে নেই!<br />ওরা যে নিতান্তই অবোধ শিশু! <br />তবুও ওরা আমার চোখে, এক একটি যীশু!<br />তবে ওরা কারা ?<br />.<br />ডাস্টবিনের অন্ন, ওদের কাছে পরমান্ন,<br />রাস্তার কুকুর ওদের সহোদর ভাই!<br />গৃহস্থলির ফেলে দেওয়া বাঁশি ভাত,<br />ওরা এক পাতে শান্তিতে খাই!<br />ওদের রোগ-জীবানুর ভয় নেই,<br />নাকি যত্ন নেওয়ার লোক নেই?<br />তাই কি ওরা মরে পড়ে থাকে,<br />সমাজের আবর্জনার ফাঁকে ফাঁকে ?<br />বলতে পারো ওরা কারা? ওরা কারা ??</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/orakarafour/ওরা কারা - ৪2017-07-18T18:47:50-04:002023-06-24T14:41:25-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>পরাধীনতার জ্বালা বুকে করেই,<br />ওরা সৃষ্টির খেলায় মেতে ওঠে!<br />শেষ পাতে রাখা দু-মুঠো অন্নই যেন,<br />ওদের কাছে পরমান্ন হয়ে জোটে!<br />তবুও ওদের অভিযোগ নেই, অভিমান নেই,<br />থাকার মধ্যে আছে একবুক অদম্য ইচ্ছে !<br />সংসার খেলায় ক্লান্ত হয়েও ওরাই যে,<br />যুগ যুগ ধরে কান্ডারি হয়ে হাল ধরছে !<br />তবে ওরা কারা ?<br />.<br />ওরা আজও বিবর্তনের ছোঁয়া পাইনি,<br />ওরা শাস্তির শিকল ভেঙে বিদ্বেষ চাইনি,<br />ওরা চেয়েছে অনন্ত সুখ !<br />তাই তো নরম বিছানায় এলিয়ে দিয়েছে ওদের সুস্বাদু বুক !<br />তবুও বারবার ওদেরই ঝরতে হয়েছে,<br />জবা, জুঁই কিংবা কদমের বেশে।<br />ওরা পাথরের মতো আজও সব-ই সয়ে চলেছে,<br />তোমার-আমার এই পোড়া বাংলা দেশে !<br />বলতে পারো ওরা কারা ? ওরা কারা ??</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/orakarathree/ওরা কারা - ৩2017-07-17T09:17:56-04:002023-06-24T14:41:25-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>রাত পাহারা দেওয়ার জন্যই যেন জন্ম ওদের,<br />তবুও যে ওরা, নয়রে কোনো প্রহরী !<br />তোমার-আমার কৃপায় দিব্যি বাঁচে,<br />আসলে ওরা যে রত্ন চেনা জহুরী !<br />ওদের রুম নেই, দু-চোখে তাই ঘুম নেই,<br />থাকার মধ্যে আছে দুটি হাত!<br />ওরা রঙিন কাপড়ে দুঃখ ঢাকে,<br />ওরা বাঁচাতে জানে দাঁতে দিয়ে দাঁত !<br />বলতে পারো ওরা কারা ?</p>
<br /><p>ওরা লালনের মত গান ধরে,<br />ওরা হাততালি দিয়ে ডাকে জোরে জোরে,<br />ওরা অল্প নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে,<br />ওরা অদৃশ্য হয় খুব ভোরে !<br />ওদের জাত নেই, তাই মেকি ধর্মও নেই !<br />থাকার মধ্যে আছে বেঁচে থাকার ইচ্ছে।<br />আমাদের সভ্য সমাজ অসভ্যের মতো,<br />সেটুকুও যে গ্রাস করে নিচ্ছে !<br />তবে ওরা কারা ? ওরা কারা ??</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/orakaratwo/ওরা কারা - ২2017-07-16T09:53:06-04:002023-06-24T14:41:26-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>কাল কুঠুরিতে জীবন ওদের,<br />তবুও নিয়তি সাজায় ওদের রাণী!<br />ওরাও তো আমাদের মতই মানুষ,<br />নয় কোনো চারপায়ে প্রাণী!<br />ওদের এই সমাজে মান নেই, সম্মানও নেই !<br />থাকার মধ্যে আছে বুক ভরা মধু!<br />ওরা আবিবাহিতা ষোড়শী যুবতী,<br />তবুও প্রতি রাতে সাজে ওরা বধূ !<br />ওরা কারা ?<br />.<br />ওরা যুবকের বুকে আগুন লাগায়,<br />আবার সেই আগুনে নিজেকে আহুতি দেয়।<br />ওরা পর্দার আড়ালে পণ্যের নষ্টামি করে,<br />তোমার-আমার থেকে হাত পেতে টাকা নেয় !<br />এছাড়া ওদের কাজ নেই, তাই লোক দেখানো লাজ নেই,<br />থাকার মধ্যে আছে মরচে পড়া দেহ!<br />ওরাও যে সীতার মতোই পবিত্র,<br />জগৎ জুড়ে মানেনা তাহা কেহ !<br />ওরা কারা ? ওরা কারা ??</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/orakara/ওরা কারা - ১ 2017-07-15T09:04:27-04:002023-06-24T14:41:25-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>জীবন্ত জীবাশ্ব হয়ে জন্ম ওদের ,<br />আজও ওরা নগরের রাস্তায় নগ্ন !<br />ওরা ব্যর্থ জীবনের ফানুস উড়িয়ে,<br />বারবার হৃদয় করেছে ভগ্ন !<br />ওদের সাধ নেই, আল্লাদও নেই !<br />থাকার মধ্যে আছে দুঃখের পিদীম <br />ওদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়,<br />তবুও ওরা সুখী নিশীদিন !<br />ওরা কারা ?<br />.<br />ওরা বৃষ্টিতে স্নান করে,<br />ওরা পথের ধূলায় আহ্লদি পাউডার মাখে!<br />ওরা হাড়ভাঙা খাটুনি দিয়ে,<br />তোমাকে-আমাকে বাবু করে রাখে!<br />ওদের জাত নেই, তাই মেকি ধর্মও নেই !<br />থাকার মধ্যে আছে একটুকরো মনুষত্ব<br />ওরাই বাংলা মায়ের আসল বীর,<br />তবুও চকচকে পোশাকধারীর খাটে দাসত্ব !<br />ওরা কারা ? ওরা কারা ??</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/mohuyar-desh/মহুয়ার দেশ2017-03-26T23:55:04-04:002024-03-22T18:07:54-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>এভাবেই একদিন বেরিয়ে পড়বো,<br />শহরের রাস্তার ধুসর আকাশ ছাড়িয়ে,<br />দূরে বহুদূরে কোনো এক অজানাই।<br />যেখানে কৃষ্ণচূড়া আর শুভ্র মেঘগুলি,<br />মুখরিত হবে আনন্দ উৎসবে।<br />ঘোর লাগা জলস্রোতের বুকে,<br />বিকালের সোনা রোদ এঁকে দেবে,<br />মহুয়া ফুলের আগুন লাগা উল্লাস।<br />সেই মেঘ মোদির মহুয়ার দেশে,<br />আমি ক্লান্তিহীন ভাবে সবুজের মাঝে ,<br />তোমার হাতের মুঠোয় এঁকে দেবো,<br />কিছু চকিত স্বপ্ন আর ভালোবাসা।<br />নন্দিনী তোমার ওই মায়াবী চোখেই,<br />এলোমেলো হয়ে হারিয়ে যেতে চাই,<br />ভরা চাঁদের ন্যায় উষ্ণ চিবুক হতে,<br />কুড়াতে থাকি আমি তাঁর জোছনা ।<br />শাল হিজল তমাল পলাশ শিমুল,<br />অশ্বথ বটে ঘেরা সেই মহুয়ার দেশে,<br />আমি এক সোনাঝরা সূর্য হয়ে,<br />ধুসর ঘন কালো অন্ধকারের মাঝে ,<br />তোমার ওই কৃষ্ণচূড়ার মত,<br />টুকটুকে ললাটে এঁকে দিতে চাই,<br />কামনার যত সুপ্ত ইশারা।<br />পেস্তাচেরা তোমার ওই চিরচেনা চোখে,<br />নদীর জলে বসন্তের বাতাস হয়ে,<br />গভীর স্নেহে বুনে যেতে চাই,<br />তোমার ওঠরের সেই স্তিমিত হাসি।<br />আমি মহুয়ার দেশে তোমাকে নিয়ে,<br />যুগের পর যুগ হারিয়ে যেতে চাই,<br />একটু সুখ শাস্তি ভালোবাসা আর,<br />সুস্থ পরিবেশে আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই!</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/post20170319013236/শাপলা-পদ্ম2017-03-19T13:34:20-04:002023-06-24T14:41:45-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আজ অনেক বছর পর তোমার মেঘের বাড়ি <br />তোমায় দেখতে যাচ্ছি।<br />মিথ্যা হাসি আর হাতে তোমার প্রথম বায়নার <br />অপূরণ সেই শাপলা পদ্ম।<br />ইতি তুমি জানো তোমার যাযাবর স্মৃতি <br />আমার গভীরে আজও গ্রোথিত আছে।<br />তোমার অতীত আমার বর্তমানে আজও হানা দেয়।<br />তুমি যেদিন আমার অন্ধকারে আলো হয়ে এসেছিলে<br />ঝলমলে রুপালী রৌদ্রের অলস দুপুরে।<br />ধুলো রাঙা পথকেও সেদিন খুব ঘনিষ্ঠ মনে হয়েছিল।<br />বেখেয়ালে দেখা তোমার নিষ্পাপ চাহনি<br />তোমার অজান্তে আমাকে পাগল করার প্রচেষ্ঠা ছিল,<br />তুমি বোঝনি--।<br />ক্লান্ত নীরবতায় প্রথম শব্দবাণ তুমি মেরেছিলে।<br />তোমার নাম জয় না?<br />আমি অতর্কিত ভাঙা নীলিমায় ভাবনাচ্ছন্নে গুম হয়ে,<br />কাজল বরণ আঁখির দিকে চেয়ে কিছু খুঁজছিলাম।<br />তুমি উত্তরের আশা করোনি, <br />মনের লুকানো অজানা অভিমানে<br />চলে ছিলে অবাক মুখ পিছনে ফেলে।<br />সেই যাদুকরি মুহূর্তের প্রথম অনুভূতির বাতাস <br />আমার ভেজা শহরে আজও বয়ে চলে।</p>
<br /><p>অপ্রত্যাশিত দ্বিতীয়ালাপ কলেজের পাশের বেঞ্চে<br />হৃদয় দুকূলে ঢেউ উঠেছিল না বলা উত্তরের আকুলতায় ।<br />বলতে পারিনি কিছুই, শুধু সুপ্তবাসনায় চেয়ে ছিলাম।<br />ইতির প্রিয় নামটি বলে মেঘের বাড়ির ঠিকানা!<br />হ্যাঁ.. সেদিনই ভাবতে বাধ্য করেছিলে <br />তোমার সাথে ভোরের নিষ্পাপ শিশিরের।<br />অন্যের দৃষ্টি তোমার প্রতি,<br />অস্থিরতার অজানা ঈর্ষা তুমি বুঝেছিলে।<br />নুয়ে পড়া সূর্য দেখিয়ে বলেছিলে-<br />`ওটাকে সবাই দেখলে ওটার দোষ কি বলো'?<br />মানতে পারিনি । তুমি বুঝেছিলে কি জানি না!</p>
<br /><p>যেদিন কদম গাছের নিচে কোনো মিথ্যা বাহানায় <br />মেঘাচ্ছন্ন আকাশ নিয়ে আমার অপেক্ষায় ছিলে!<br />সামনের সরোবরের শাপলা পদ্মের বায়না,<br />যদিও তোমার প্রথম বায়না আমি পূরণ করতে পারিনি।<br />ভেজা বাতাস কদমের গন্ধ ভোরের বাতাস স্নিগ্ধ হাসি<br />সেদিন আমার কানে কানে সবই বোলে দিয়েছিল।<br />শুভেচ্ছা দিতে নেমে ছিল বেহায়া বৃষ্টি।<br />অপ্রস্তুত হাতে হাত রাখা,<br />প্রশান্তির প্রথম ব্যস্ত বাতাস বয়েছিল দুই দেহে।<br />হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ষ্পর্শের শিহরনে<br />তোমার মেঘের বাড়ি যাওয়া!<br />সেই মেঘের বাড়ির ভেজা আঙিনায় <br />দুইজনে এক স্মৃতির প্রমাণ রোপন করেছিলাম।<br />বকুল গাছ। আজ কত বড় হয়েছে জানিনা!</p>
<br /><p>আজ আমি তোমার সেই মেঘের বাড়ির দ্বারে।<br />তোমার প্রথম না পাওয়া বায়নার শাপলা পদ্ম দেখে<br />আজ তুমি খুশি হবে কি জানিনা!<br />এগিয়ে এলাম তোমার খুব কাছে।<br />সেই বকুল গাছের নীচে তুমি আজ শায়িত।<br />তোমার বুকের মাঝে কয়েকটা ঝরা বকুল ফুলের ঠাঁই।<br />কয়েক ফোঁটা স্মৃতির নোনা জলে ভেজানো<br />আমার সেই একটি মাত্র শাপলা পদ্ম দিলাম <br />তোমার কবর মাঝে।।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/post20170317113821/বসন্ত উৎসব2017-03-17T23:39:09-04:002024-03-26T11:07:49-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আজ কৃষ্ণচূড়ায় আগুন আগুন খেলা<br />আজ হৃদয় বলে মাতাল হবি চল।<br />আজ সন্ধেবেলা জোনাই জ্বালায় বাতি<br />আজ সমীর কহে প্রেমের কথা বল॥</p>
<br /><p>আজ জলের স্রোতে কাঁপছে বুড়ো মেঘ<br />আজ শিশিরভেজা সকাল নিরুদ্দেশ।<br />আজ হিমেল হাওয়ায় আগুন সেঁকে রোদ<br />আজ ফাগুনখামে শীতের বাণী শেষ॥</p>
<br /><p>আজ কোকিল কূজন শ্যামল বনানীতে<br />আজ দূরের আকাশ রক্ত মাখে বুকে।<br />আজ শুকনো ডালে হরিৎ লুকোচুরি<br />আজ পুষ্পসুভাষ ছড়ায় দিকে দিকে॥</p>
<br /><p>আজ আম্রমুকুল মাদক মেশায় নীলে<br />আজ গেন্দাফুলে জরদামাখা গ্লানি।<br />আজ মধুকরেরা আমদ করে ফুলে<br />আজ কষ্ট বাড়ায় শুকনো পাতার ধ্বনি॥</p>
<br /><p>আজ শহরে বাসন্তী পুজোর গান<br />আজ বিকেলে মনখারাপে ডুব।<br />আজ নোঙরা ঠোঁটে সেই মানুষের নাম<br />আজ কালবৈশাখী পাতা ঝড়ায় খুব॥</p>
<br /><p>আজ বাতাসে দোলের উন্মাদোনা<br />আজ মেতেছে বুড়ো-কঁচি-সব<br />আজ ভগ্নহৃদেও হাজার উদ্দিপনা<br />আজ হর্ষ আনে বসন্ত-উৎসব॥</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/post20170307085059/আরও একটি স্বপ্ন2017-03-07T20:53:32-05:002023-06-24T14:41:45-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>নন্দিনী তুমি তো রোজই আসো,<br />বেশ নিয়ম করেই।<br />কালও এসেছিলে নিশুতি রাতে,<br />আমার আনমনা ঘুমের ঘোরে।<br />প্রতিদিন দুচোখে হাজারো রঙিন স্বপ্ন এঁকে দাও,<br />তোমার উষ্ণতার স্পর্শ অনুভব করি <br />আমার সারা শরীর জুড়ে,<br />তোমাকে সাথে নিয়ে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল,<br />আমাদের ইচ্ছের দেশে,<br />যেখানে অপেক্ষা করে থাকে পক্ষীরাজ ঘোড়া,<br /> সোনা বাঁধানো পুকুর ঘাট।<br />স্বপ্ন তো আমাদের সাজানোই ছিল<br />শুধু অভাব ছিল তোমার!<br />হঠাৎ করেই রঙিন মনটা ধূসর হয়ে যায়.<br />ইচ্ছে করে তোমাকে বাহুডোরে বেঁধে রাখি,<br />তোমার মধ্যে যেটুকু ভালোবাসা জমে আছে<br />সবটুকু শুষে নিয়ে তোমায় নিঃস্ব করি।<br />কিন্তু কেন জানি তা পারি না!!!<br />জানো তো নন্দিনী ...<br />নিস্তব্ধ রাত গুলো আটকে দেয় আমায়।<br />তাই আর অচেনা অতিথি হয়ে এসো না।<br />আজ থেকে না হয় তুমি,<br />স্বপ্ন হয়েই এসো আমার দুচোখে..<br />তোমার দুচোখে না হয় আজ সূর্য ওঠা দেখবো।<br />দেখবো কেমন করে কুয়াশার কাটিয়ে<br />তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়াও।<br />ঘুমভাঙা চোখেই না হয় তোমায় আহ্বান জানাবো,<br />তুমিও না হয় নন্দিনী ,<br />দুহাত বাড়িয়ে দিয়ে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করবে আমায়।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/post20170306102515/অভিমানী রাত2017-03-06T22:28:59-05:002023-06-24T14:41:44-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>জানি না কেন নন্দিনী,<br />এতটা পথ পার হয়ে এসেও<br />অনুভব করি শুধু শূন্যতা!<br />বিস্মৃতির অতল গহ্বরে আমাদের<br />তলিয়ে যাওয়ার কথা ছিল<br />আমি গেছি, তুমি কিন্তু যাওনি।<br />আজও আমার মনের আকাশে<br />তুমি শুকতারার মতই উজ্জ্বল।<br />মেলার মাঠে জমে থাকা ভিড়ে,<br />আমাদের হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল,<br />আজও যাওয়া হয়ে ওঠেনি!<br />দীর্ঘ বিষণ্ণ দুপুর কাটিয়ে.<br />আজও তুমি আছো মনের সংগোপনে।<br />আমাবস্যার অন্ধকারে তো!<br />আমাদের হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল!<br />কিন্তু যাওয়া আর হল কই আজ অব্দি ? <br />এত আঘাতের পরও,<br />একফালি চাঁদের মত জেগে আছো।<br />বসন্তের পাতা ঝরার মত আমরা<br />ঝরে পড়বো এই কথাই তো ছিল?<br />তবে কেন ঝরে যায়নি আমরা?<br />শীতের কুয়াশা মাখা সন্ধ্যায়!<br />বাড়ির ছাঁদ হতে আসন্ন মনে যখন<br />নারকেল গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে দেখি!<br />তখন তুমি সন্ধ্যাদীপ হাতে ।<br />আমার নাকে এসে লাগে<br />কর্পূরের মত উদ্বায়ী প্রেমের গন্ধ।<br />সমস্ত জড়তা ছিন্ন করে কি আজ<br />আবার আগের মত নিজেকে<br />সঁপে দিতে পারবে দ্বিধাহীনভাবে?<br />আরও একবার কি তুমি<br />তোমার নিজের মুখে<br />উচ্চারণ করবে<br />তোমার যত ভুল?<br />জানি গো সখি জানি !<br />যদিও আজ ওসবের কোনো প্রয়োজন নেই।<br />কেননা তোমার-ই ছলনায় প্রতারিত হয়ে <br />আজও দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে,<br />নিজ কক্ষপথে<br />পরিভ্রমণ করি দিন রাত।<br />আজও কোথাও নীরবে একা একা<br />কাটিয়ে থাকি অভিমানের প্রতিটি রাত !</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/post20170303064755/বসন্তের অপেক্ষায়2017-03-03T07:06:43-05:002023-06-24T14:41:44-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>আমার ভালোবাসার বারান্দায়,<br />বসhন্ত আজও আসেনি !<br />শরৎ গেছে ফিরে,<br />হিমেল হাওয়ার দাপটে<br />শিরশিরানি ধরে যৌবনে।<br />শিউলি ফুলের মালা ভাসায়<br />যে সব যুবতী মেয়েরা<br />তারা ফিরে গেছে কাক জ্যোৎস্নায়,<br />বরফ গলা রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে দেখেছি<br />ঈশ্বরের নারী সৃষ্টির ইতিকথা।<br />মেঘের ভেলায় ভেসে যেতে<br />ভীষণ ইচ্ছা করে.<br />বৃষ্টি এসে থামায় গতিপথ<br />বাকরুদ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি<br />দূর আকাশ পানে।<br />বসন্তের প্রতীক্ষায় কেটেছে<br />অনেক গুলো ঋতু,<br />মনের জমা বরফ গলতে গলতে<br />আজ যৌবনে ধরেছে ফুল<br />অপেক্ষা কেবল বসন্তের।</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/post20170302022818/দুনিয়ার বিচার2017-03-02T14:29:04-05:002023-06-24T14:41:44-04:00সুকান্ত পাল https://www.bangla-kobita.com/8348036359/<p>হয়তো অনেকেরই ভালোবাসা পাবে তুমি,<br />কিন্তু কারোর ভালোবাসা ধরে রাখতে পারবে না !<br />কারণ ভালোবাসা ধরে রাখতে গেলে,<br />সুন্দর একটা মনের প্রয়োজন,<br />যা তোমার নেই !<br />তুমি শুধু ভালোবাসা নিতেই শিখেছো,<br />কিন্তু ভালোবাসতে শেখোনি!<br />পারো নি কারোর ভালোবাসার মূল্য দিতে,<br />মনে রেখো এমন একটা দিন আসবে,<br />যেদিন তোমার চোখের জলেরও মূল্য,<br />পাবেনা কারো কাছ থেকে,<br />ভেবোনা এটা অভিশাপ !<br />এটা হবে তোমার কর্মফল,<br />খুব সহজেই যে তোমার মুক্তি মিলবে,<br />তাও ভেবোনা তুমি !<br />কেননা দুনিয়ার বিচার দুনিয়াতেই হয়,<br />হয়তো একদিন আগে বা একদিন পরে !</p>
<br /><p>স্বার্থপর প্রেম....</p>@ 2024 - সুকান্ত পাল