হাতটা বাড়িয়ে দাও নন্দিনী,,,
ছুঁতে না পারলে ফিরিয়ে নিয়ো.
বয়েসী চোখে এখন ঝিমধরা কুয়াশার আস্তরণ!
কতো আর সজীবতা পাড়ি দেবে ?
মেঘ কিংবা সুনীল আকাশে ,
ওদের ও তো ব্যস্ততা আছে !
আমার নাগরিক উঠোন এখনও নিরাপদ নয়,
ওখানে বুনিনা তাই বিচ্ছেদী বীজ.
যদি কখনো উজানী দিন আসে,
যৌবনা বাতাসে পাঠিয়ে দিয়ো,
তোমার উত্তাল মনের খবর।
কি লাভ বলো নন্দিনী,
খুঁজে কোনো আদিম ইতিহাস ?
প্রতি মুহুর্তেই তো ইতিহাসের জন্ম হয় বুকের ভেতর .
বেলা অবেলায় সাঁতার কাটে সুলক্ষণা দিন,
নিলাম হয়ে যায় আমিত্বের অংশগুলো!
তবুও হাতটা বাড়িয়েই রেখো নন্দিনী!
কালো কালো শুভ্রতা যখন শূচিতার রঙ মেখে,
বকসাদা ফুল কিংবা গোলাপ হবে!
আমার মনও তখন যুবতী হবে.
মেঘদূত কবির মতো
বেঁধে দিয়ো অলকগুচ্ছ!
তারপর আমার স্নানঘরে,
ইচ্ছেমতো ঢেলে দিয়ো শ্রাবণধারা!