তুমি সমুদ্রের ওপর দিয়ে ভেসে চলে যাচ্ছ দিগন্ত পারে l
অনেক দূরে মুছে যাওয়া হরপ্পা সভ্যতার মতো তোমার দিগন্ত l
আমার যতদূর চোখ যায় ততদূর অবধি আমার পৃথিবীর সীমানা l
অথচ তুমি ভিন গ্রহের আলো মাখতে চেয়েছিলে, তাই চলে যাচ্ছ আগামী শতাব্দীর প্রাসাদে l
তুমি গঙ্গা নদীর অববাহিকা ধরে চলে যাচ্ছ তেপান্তরে l
ভগীরথের মতো শাঁখ বাজিয়ে তোমাকে বরণ করছে গাঙ্গেয় হিমবাহ l
আমি অর্বাচিনের মতো হাতে জুঁইফুল নিয়ে তোমার আসার অপেক্ষায় l
অথচ তুমি বেছে নিয়েছ বয়ে চলার জীবন,
আমি আপাতত নিশ্চুপ
l
অক্সিজেন মাস্ক টা খুলে তোমার চুলের গন্ধ চাইছি l
তুমি রোমানিয়ার সভ্যতা ঘেঁষে চলে যাচ্ছ নতুন সৃষ্টির ভিতরে
l
আমি কংক্রিটের মতো জমে আছি নির্মাণে l
নিশ্বাস পাচ্ছি না l
এখনও খুঁজছি একটা স্বচ্ছ ইউরিনাল,
হলদে পেচ্ছাবে ভরে যাচ্ছে আমার বিছানা l
একটা রুমাল নিয়ে সাঁতার কাটার চেষ্টা করছি মরুভূমিতে
l
তুমি সাহারার বালির ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছ নিরন্তরে l
পায়ের নীচে রক্তের ছিটে, আমার চোখ লাল হয়েছে নিশ্চয় l
অথবা হাতে লন্ঠন নিয়ে তোমায় খুঁজছি কলকাতার কোনো বস্তিতে l
শেষ বারের জন্য হাতটা বাড়িয়ে নিঃশেষ হয়ে গেল আমার আকাশটা l
আলোহীন l
তীব্র ঝাঁঝালো অম্লবৃষ্টির মতো আবার ঝরে পড়ল তাজমহলের ওপর l