এই যে তুমি বধ্যভূমি পাঁজর ভাঙা
রোজ আদরে ঐ সুদূরে আমায় কেমন
লালন করো ধারণ করো পালন করো,
ঝগড়া করো তীব্র রাগে
তবুও জানাও অন্ধতা সুখ
বায়না কর বন্ধুতা মুখ
বীজের রসে আপ্ত করো
গুন্ গুন্ গুন্ সুর -সোহাগে ।
এই যে তুমি দিনযাপনের ফুল-বাতাসা
হৃদপ্রবালে ভীষণ মায়ায় -
ভুল বয়সের কষ্টস্মৃতি চোখের তারায়
অনন্তকাল বুকের ভেতর শীতলপাটি
পা হেঁটে যায় পিছন দিকে
মনে করায় , সেই সেদিনের শেষকথাটি ।
এই যে তুমি আমার সাথে পাড়ি জমাও বাউণ্ডুলে
বিষুবরেখার নোনতাজলে
এরপরে সব ব্যক্তিগত,
মুখফুটে আর বলব কত ?
স্বপ্ন বুনে মরণ ডাকি,
হ্যাংলা পুরুষ আমার নাকি ?
ইচ্ছে যত দশ আঙুলে,
আগুনজ্বলা পলাশফুলে
সবটুকুতে লেপতে থাকি
তীর্থে যাওয়ার পথের মাটি ।
সোনা বলে ডাকলে যদি
হঠাত জেগে চমকে ওঠো
রঙ-বেরঙের পাথর সাজাই ,
বারণ ঢালি এক-দু'মুঠো ।
তবুও কখন ফুল ফুটে যায় ইচ্ছেচারায় !
ফোঁটায় ফোঁটায় জল মেপে যায়
শাশ্বত প্রেম চাতকমুখী
এই বুঝি ঢের এতেই সুখী
একটা জীবন কাঙাল ভীষণ পাপড়ি খোলে
অবাক সকাল রোদ গোধূলী
ভুল ঠিকানার জারুল তলে
পাতায় পাতায় বাস্পমোচন উতল হাওয়ায়
তোমায় যে চোখ বেশতো চেনে
বয়স আঁচে নিভু নিভু পলতে কাঁপায় ।
প্রেম যে হাঁপায় হ্যাংলাপুরুষ
বুকপকেটে সুখ পুষে যাও
সবপেয়েছি চোখের তারায়
দুই কুড়ি এক বছর ধরে
ধিক্ কিনেছো, কি আসে যায় !
চিলেকোঠার প্রেমের তুফান
বৃষ্টিফোঁটার অলস সে ভোর
কোঁচর ভরা ফুল কুড়িয়ে
ফুলশাখাতে মনের দোসর
হাজার ফুলের নির্যাসে আজ
ধিক্ দিয়েছি বাদল মনে
আর জনমের আশায় আছি
তখন না হয় নোঙর - কাছি
আমার তুমি হ্যাংলাপুরুষ
ওগো ... আমি তোমার অলক্ষুনে!