আমাকে খুব লুকিয়ে দেখার মতো
একা হতে হয়নি কখনো।
কানায়কানায় সুর বাজেনি ছলাৎছল
যে তুমি তাতে ঢেলে দেবে শ্রাবনের ধারাজল।
ফুল ফুটেছে যখন, গাঢ় রং এতোটুকু নেই
গন্ধবেদনা ডেকেছিল হু হু শুকনো বাতাস
সেখানেও পরিত্যক্ত বিষধরের আবাস
প্রজাপতি,মৌমাছি,জল ফড়িংয়ের দল
স্বপ্নের খেয়াঘাটে ভিড়েছে কেবল!
পাখি হয়ে উড়ান কালীন
ঘাসফুল ফুটে যেত প্রতিদিন
কতখানি দূরপথ বলো ?
আকাশ যেইনা দিগন্তে নরম মাটি ছুঁলো
দেখি এক খর্বুটে পাতাঝরা গাছ
লুফে নিয়ে নিমেষে উধাও
কত তাকে বললাম, --মুঠি ভরে দাও
এইভাবে নদী,ফুল,পাখি, হতে হতে
মুক্তি পেলাম কোনোমতে
একদিন বাদশাহি মুক্তো হলাম
ঝিনুকের কোল থেকে বেরিয়ে এলাম
ভালবাসা আঘ্রাণে অনার্য আঙুলে
জোৎস্নার ঢল
কান পেতে শুনি সোনালি বালুর দানা
বলে চলে অহরহ--
আমি বড়ো বেমানান,
মৃতবৎসল।