অকারণ রোজ রোজ মুখ-ঝামটা বকুনি-ঝকুনি
বাপ-বংশ গায়ে হাত-
শরীর মিটিয়ে নিয়ে তুমি ঘুমিয়ে গেলে
জেগে থাকি আমি আর দ্বিতীয়ার চাঁদ
রোজ রাতে-
নষ্ট শরীর নিয়ে সে সময় উইপোকা
বুক কাটে ধারালো করাতে ৷
ভোরে উঠে ঝাঁট ধোওয়া ঘরদোর সমস্ত উঠোন
জলতোলা- রান্নাবাড়ি-
ধুয়ে তোলা সকলের এঁটোকাঁটা বাসনকোসন-
অবসর থাকে না হাতের-
দিনে দিনে সয়ে গেছে খোঁটামন্দ দুমুঠো ভাতের ৷


মাঝে মাঝে চলে যাবো ভাবি
তবু কেন বলতে পারি না সোনা-
ভয় করে- যদি বলে দাও মুখের উপর
কোনোদিন আর এ’বাড়ি এসো না !


এ-বাড়ি তো একান্ত তোমারই-
আমি বুঝি ফিরে আসবো জোর করতে পারি !