একজন তুমি মুখ মনে নেই আর
না বোঝা বয়সে দিয়েছিলে সেই চিঠি-
সম্বোধনে দাদা লিখেছিলে তুমি
ইতি দিয়ে ডাকনাম লেখা ছিল মিঠি ।
একজন তুমি ল্যাং মেরে সরে গেছ
বেকার লাইফে এটাই তো স্বাভাবিক-
শুনেছি এখন বিদেশেই বেশি থাকো
গাড়ি বাড়ি সব ঝকঝকে আধুনিক ।
একজন তুমি- আমি সেই লোকটাই
গোবেচারা খুব বিশ্ব-বাউন্ডুলে-
নিজেকেই নিজে বকাঝকা রাতদিন
ভাত কাপড়ের গায়েলাগা খোঁটা তুলে ।
একজন তুমি অন্যজনের তুমি
আমাকে গোপনে তুমি বলে রোজ ডাকো-
অদ্ভুত তুমি যদিও আমার নও
কী ভেবে যে তুমি আমারই একার থাকো !
সেই তুমি রোজ গল্পের টানে ডেকে
উঠোনে মাদুর পেতে রাখো টান টান-
জেনে যাবে পাড়া- আসল নামটা থাক
লোকেরা জানুক “অঞ্জনাবৌঠান” ।
বৌঠান তুমি অন্য রকম তুমি
আলো করে দাও বিষণ্ণ প্রতিদিন-
আঙুল ছোঁব না- মেনে নেব তবু সব
লোকে যদি বলে বলুক চরিত্রহীন ।