বিকেলের সোনালী রোদ্দুর গায়ে মেখে
শুভ্র কাশের বনে ঢেউখেলানো বাতাসকে শুষে নিচ্ছিলাম
তুই আমি ও অযাচিত প্রণয় ...
তোর মায়াবী কাজল কালো চোখের
দুটি তারায় জীবনকে বাজি রেখে
ছুটে চলেছিলাম দিকহীন সময়ের পথে।
ক্ষণিকের জন্য হলেও
বিস্মিত হয়েছিলাম..
তুই আর নেই সেই তুই!
ঠোঁটে ঠোঁট ছোয়াতেই....
যখনই নিঃশ্বাস গাঢ় হতে শুরু করে
ঠিক তখনই.....
ফিরে পেয়েছিলাম সম্বিত..
একটা অচেনা গন্ধে -
আমার মস্তিষ্ক খুব তেতে উঠেছিল।
দুকানের মধ্যদিয়ে ছুটে গিয়েছিল
কয়েক হাজার কিলোওয়াটের তড়িৎ।
অচেনা গন্ধটা তোর কাছ থেকে
চিনে নেওয়া ফেরোমনের ঘ্রাণ নয়।
অ্যান্ড্রোজেনের সুবাস মিশেথাকা
একটা পুরুষালী ঘ্রাণে .....
ভরে ছিল তোর শরীরে,ঠোঁটে।
আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি ...
কিন্তু.....তুই বারবার
চেপে ধরছিলি মাথাটাকে....
অনেকটা জোরকরেই
ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম নিজেকে ।
তোর দুটিচোখে নেমেছিল অকাল বন্যা ।
কান্নাভেজা গলায়
চিৎকার করে বলেছিলি ......
এই ভালোবাসা সমাজ মানেনা---
সংসার মানেনা--
এই ভালোবাসা সংস্কারও মানেনা..
জানিনা সেদিন তুই
ঠিক বলেছিলি কিনা....!