আমি চির ঘুমের দেশে
পরনে নৃশংস রক্তে ভেজা উর্দি
হাতের তালুতে রাইফেলের প্রতিহিংসা  
ঘুমন্ত চোখের শীতলতায় সংরক্ষিত বিমলের লাশ।


হ্যাঁ,আমিই অমিতাভ মালিক
বিছিন্নবাদিদের সংকল্পে ঢেলেছি রক্ত  
হিংসার দাউ দাউ আগুনে ফেলেছি প্রাণ  
নির্লজ্জ নরপিশাচের হোমাগ্নীতে নিক্ষেপ করেjছি তরতাজা হৃদপিন্ড
সাহসী সৈনিকের স্রোতে মিশিয়েছি অনুচক্রিকা।


আমার কফিন বন্দী দেহের থেকে
বুদবুদ করে বেরি আসছে সফেন,
আমার সংকল্পের বিষবাষ্পে ওরা ভীত
মূষিক হয়ে ছুটে চলে খোঁড়লে খোঁড়লে।


আমি সন্ত্রাসের ঝলসানো আলোয়-
কর্তব্যের দীপ শিখা জ্বেলেছি
প্রতিটি তরুণ পুলিশের রক্তে প্রতিবাদের শলাকা স্থাপন করেছি।


আমার প্রতিটি রক্তের কণা-
জ্বলে উঠুক প্রতিবাদী শিখা হয়ে
পুড়িয়ে ছাই করে দিক অলীক প্রত্যাশার
স্বার্থ লোভীদের টুঁটি টিপে ধরুক আমার রক্তকণিকা।


আমার কালঘাম উজিয়ে ঢুকে পড়েছে বিভাজন কারীর শিরা উপশিরায়  
ছিটকে বেড়াচ্ছে তার বেআবরু হৃদয়
যেদিন তোমরা একতার পিরান জড়িয়ে
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিগড়িত করবে
লোভের লেলিহান শিখায়-
তুমুল বারিধারা হয়ে আছড়ে পড়বে
হিসসার অন্দরে স্বার্থের ফুলঝুরি বন্ধ হবে
সেদিন আমার ঘুমের একতারাটায় বেজে উঠবে
'সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা...।'