আমি বাসে বাড়ি ফিরছি,
আমার পাশে একফালি রোদ।


নির্মল আসমানের শুভ্র পুঞ্জীভূত মেঘ দেখছি আর,
মিয়ানো হৃদয়টা একটু সেঁকে নিচ্ছি;


চলমান যন্ত্রে খুশি ভরা জীবন্ত ভাষা
বাংলা চাদরে দুএকটা হিন্দির আঁকিবুকি।
যা দেখে তাই পরিবেশন করে ওই পাড়ে
বাসস্ট্যান্ডের পাশের ঘরে বৃদ্ধের ক্ষত পায়ে বৃদ্ধার মলম প্রলেপ,
বলছেন আর হাসছেন বাঁধভাঙা নদীর মত
সুবাসিত শিউলির মত চিকন গৌর বদনে চেরি ঠোঁটে।


আমি পুলকিত মনে চমকিত হয়ে বসে
যেন কত আপন!
আমার বাগানের রোপিত গোলাপ কলি
আজ বিকশিত
এন্ড্রয়েডে অক্ষরে অক্ষরে কাব্য মালার আঁকিবুকি কেটে চলেছি,
মোবাইল রেখে এক পলকে তাকিয়ে বললেন কবিতা !
আলাপের প্রথম মিষ্টি হাসিটা বিকালের শেষ রক্তিম সূর্য।


গাড়ির আওয়াজের আড়াল থেকে ভেসে এল আপনি কি আমাকে নিয়ে ...।
একরাশ আশার খিড়কি থেকে সুশোভিত মুখের কাছে বললাম হুম,
বললাম,কোথায় যাবেন?
উত্তর দিলেন কোতুলপুর,ওখানেই আমার  শ্বশুরবাড়ি।
খুশির মগডাল থেকে চাঁপার চুইয়ে পড়া সুবাসে স্নিগ্ধতার ঝোড়ো বাতাসে আমি
অচেনা স্রোতে চেনা আবেগ ঘন মুহূর্ত।


সময়ের দাঁড় টেনে আমার স্টপেজ,
মনটা পাশের সিটে বসেই রয়ে গেল।