ঐতিয্য
আল আমিন স্বপন


জান দিব, মান দিব না, প্রাণ দিব তবুও এক চিলতে মাটি দিব না,
এটাই আসল কথা, এটাই মনের কথা, জীবন বাজী রেখে দেশকে
বাঁচাব, আমরা লড়াকু জাতি, আজীবন লড়ে যাব, কোন বাধাই-
ঠেকাতে পারবে না। বাঙ্গালী জাতির আছে দেশ প্রেমের ঐতিহাসীক
লড়াকু জীবন  বৃত্তান্ত। লিখা আছে ইখ্‌তিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বক্তিয়ার
খলজীর অশ্বারোহির ধুলা উড়ানো বীরত্ব গাঁথা, ঈঁশা খাঁর শাণিত
তরবারীর সম্মূখে মোগল সম্রাজ্যের চূনতি ও সেনাপতি মান সিঙ্গহের
সেচ্ছায় যুদ্ধ বিরতি সমঝতা, সাহসীকতার বিজয় নিশান উড়েছিল সেদিন  
বাংলার রাজধানী সোনার গাঁয়। স্বগৌরবে আলীবর্দি খাঁ’র উত্তরসূরী
এক খাঁটি বাঙ্গালী জীবন বাঁজি রেখে বাংলাকে রক্ষা করতে-অকাতরে
প্রান দিয়েছিলেন স্বজাতির হাতে। ইংরেজ বেনিয়াবাদের গোপন চক্রন্তে-
বাংলা বিহার উড়িষ্যার মহান অধিপতি নবাব শিরাজ উদ্‌ দৌলা
সে দিন শহীদ হয়েছিলেন পলাশির প্রান্তেরে।


তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা তছ্‌নছ্‌ হয়েছিল মোঘলদের আক্রমনে, তবুও-
বাঙালীর সহসীকতার হিসাব মিলাতে পারেনি মোঘল সাম্রাজ্য, অতঃপর-
শরিয়ত উল্লাহ্‌ বুক ফুলিয়ে এসে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল এই বাংলায়।
সূর্যসেনের আত্মশক্তির দর্পণে কেঁপে উঠেছিল বৃটিশের অস্ত্রগার।
কে না জানে, সুভাস বোসে'র সেই-বিখ্যাত আহবান"তোমরা আমাকে
রক্ত দাও, আমি তোমাদেরকে স্বাধীনতা দিব"।


গণতন্ত্রের বরপুত্র হোসেন সহীদ সোরয়ার্দী বাঙালী্র অধিকার প্রতিষ্ঠায়
নিবেদিত অগ্রপথিক, শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার এক জীবন্ত
পৌরুষোত্তম নেতৃত্ব আপামর গণ মানুষের বন্ধু, শেরাদের শেরা।
ঈমানী শক্তির বলে গর্জে উঠেছিল মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী-
মেহনতী মানুষের অস্তিত্ত্বের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি।
অধিন বিশ্ব উপারিয়া বর্জ্রকন্ঠে স্বজাতিকে ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহ্‌মান-
"যার যা আছে তাই নিয়ে শ্ত্রুর মোকাবেলা করবে, এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির
সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম"। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে-
আরও একটি কঠিন বাক্য উচ্চারণ করেন" এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো-ইনশাল্লাহ"।


কাল-মহাকালের পঞ্জিকায় উত্তাল মার্চের নিষ্ঠুর রক্তপাত, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয় স্বাধীনতার তীব্র  আকাংখ্যা, নিরাস্ত্র মানুষ যখন হতাশায় হতভম্ব, ঠিক তখনই বেতার তরঙ্গে অমর বানী ভেসে আসলো স্বাধীনতার ঘোষণা-"আমি মেজর জিয়া,বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করছি। শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী ,আমাদেরকে স্বীকৃতি দান করুন"।
হাজার বছরের বীরত্ব গাঁথা ইতিহাস এই বাংলায় জ্বলছে অনির্বান শিখা, স্মৃতিশোধ,
শহীদ মিনার,অপারাজয়ী বাংলা আরও অনেক স্মরনিয় স্তম্ভ বাঁধানো নাম ফলকে অঙ্কিত
অতীতের ধারা। আমরা কি ভূলিতে পারি ? আমরা কি মুছে ফেলতে পারি ? আমাদের আছে নিজস্ব সংস্কৃতির ঐতিয্যপূর্ণ  ইতিকথা।
বীরদর্পে জেগে উঠার এখনই মোক্ষম সময়,ওৎ পেতে  আছে অশুর শক্তি,এবার থামো-মৃত্যু ক্ষুধা, ধুলিস্যাত হয়ে যাক অবিচার, অনাচার, মিথ্যাচার। দরদে-পরতে কাঁদছে মৃত্তিকা মা, বাংলাদেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ, আমার জীবন মরন শেষ পর্যন্ত তোমার কাছে সপে দিলাম।  
© আল আমিন স্বপন
    ২৬/০৩/২০১৫