কবিতা
আল আমিন স্বপন
নিঃশব্দ শব্দের অণুরণে গর্জে উঠে কবিতার কম্পন,
তাই, প্রতি নিয়ত-উত্তপ্ত হয়ে কবিতার পিছু পিছু ছুটি।
কবি এবং কবিতা কখনও জীবন হরণ করে না,  
মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রকৃতির প্রেমে তন্ময় হয়ে কবিতা
সুন্দরের চর্চা করে। কবিতা-কর্মে, জেগে উঠে কাব্যিক শিহরণ ।
যতবার শব্দ স্পর্শ করি ততবার কবিতা হয় জোতির্ময়।  
কবিতার কোন দেশ নাই,আছে শক্তি আছে দর্পণ আছে সুন্দর এক পৃথিবী।  
কারো মন ভাংতে পারে, কিন্তু কবিতা ভাংগনের শব্দ শুনে গর্জে উঠে,
তবে বিপদে আপদে কবিতাও কখন কখন রোগ-আপদে ভোগে,  
কখনও-৩৮০ ডিগ্রী চাপের মধ্যে প্রচন্ড জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকে,
শব্দের তীর কারো গায়ে লাগলে কবি মহাকবিরা জেল-হাজতের-
ঘানি টেনেও মুক্তির কথা বলে, মানবতার কথা বলে।


কবিতা মানুষের অধিকার লুটে নেয় না, কবিতার ভাবনা-
রোদ বৃষ্টি মেঘ মানে না। মানুষের অন্তরে ঠু্কা-ঠুকি করে আত্মরক্ষায়
মানসিক শক্তি যোগায়।  
শিল্পের স্নিগ্ধ মেখে একজন কবি, কবিতায় বেঁচে থাকে।
কবিতার কামাই দিয়ে সংসার চলে না, বড়জোর রঙীন মলাট দেখে মনটা জুরায়।
কবিরা শব্দ চয়ন করে আবেগের বসে আর এক একটি কাব্যিক ফসল
বই'র পাতায় চুমু খায়, কবিতা নারী, তাকে সঙ্গে নিয়েই কবির বসবাস।
  
কৃষক মাটির মায়া ছাড়তে পারে না, বীজ্ বুনে ফসল ফলায়, বৃক্ষ,
লতা-পাতার ছায়ায় খুঁজে পায় জীবনের আশ্বাস। কবিতাও জীবনের
কথা কয়,সত্যের গুন-গান করে,একই সূর্যের তাপে এক সাথে শান্তিতে
বসবাস করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কবিতা। সীমানা ছাড়া কবিতা,
শান্তির বারতা নিয়ে এই পৃথিবীর মায়ায় আজীবন সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করবে।