হে বিবেক


আল আমিন চৌধুরী স্বপন
মানুষের ভিতর যে মানুষ আছে! সেই মানস পটে নিভৃত বিবেক ঘুম ঘুম তন্দ্রায় সর্বদা জাগ্রত আছে।কেউ টের পায়, কেউ অপরাধের বোঝা ভারি করে হারিয়ে ফেলে নীজের বিবেক শক্তি।জ্যোতিষীরা বলে, অসম বৃদ্ধাংগুল যাদের, অশুভ চিন্তা-চেতনায় মত্ত হয়ে তারা অন্য মানুষকে বিপন্ন করে। ল’জিক বলে, যে মানুষের ভিতর পশুশক্তি শতকরা বেশী, তারাই কু-কর্ম করে পরিবেশ বিনষ্ট করে। এখানেই বিবেকের নারকিয় যন্ত্রনাবোধ! যাদের মন- মানসিকতা স্রষ্টার ভয়ে পাপ মুক্ত থাকে, তারাই বিশুদ্ধ বিবেকবান মানুষ। ভুলেও কখনও  ভুলের মধ্যে যায় না তারা।যে মুখমন্ডল সয়ং সৃষ্টিকর্তার হাতে তৈরী, সেই মুখ দিয়ে চন্ডালের মত করে গালা-গালি দেওয়া মোটেও মানায় না।শিবের মাথায় সাপের ফণা, ভয়ে-ভয়ে তার ধারে-কাছে কেউ যায় না।রাবনের ভয়ে লঙ্কাকান্ড কেপে উঠে এখনও, তারপরও রামের তীর মারা বানে রাবন বধ হলো। পিছনে রুদ্র সামনে রুক্ষ, সংঘাত এড়িয়ে নীরবতা ভঙ্গ হলো। সেদিন তান্ডবের খেলা পন্ড হয়েছিল জনৈক এক মহাবীরের আগমনে।
এই শরির-মন-আত্মা ক্ষণিকের এ-জীবন সমস্তই সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহে, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তবুও মানুষ কেন আমার-আমার করে? মানুষের মধ্যেই আছে গুপ্টিমেরে থাকা অমানুষ, অন্যের সর্বনাশ দেখে বুক ভরে হাসে।  
হে বিবেক, জাগ্রত হও, নীজের গালে নীজেই একটা চর মারো, হাতের লাঠি দিয়ে নীজের মাথায় নীজেই মারো! যদি ব্যাথা লাগে, তা’হলে অন্যের যন্ত্রনাটা বুঝে, নীজেকে শুধরাও।বিবেক-কে নবায়ন করে যে ফিরে আসে সহজ সরল পথে, তার জন্য ক্ষমা আছে অফুরান্ত। © ঐ ২৯/০৩/২০১৭