রুপন্তি, তোর মনে আছে
সুরমা নদীর পাড়ে তোদের বাড়িতে গিয়েছিলাম
তোর শ্যামলা রঙের হাসিটা আর মাটির মতো ভালোবাসা দেখে
ভাব করতে বড় শখ লেগেছিলো।
রুপন্তি আমি ও তখন ছিলাম ভাবুক পাখি
যখন সামনে পড়তি
তথমতো খেয়ে চুপসে যেতাম
আর যাই হোক একটা মুচকী হাসি হেসে
দুনিয়াটা উজাড় করে দিতাম।
কাউকে বুঝতে দিতাম না
আমার মনোন্তরের সন্ধ্যা সংবাদ।
আহারে বেলা শেষে সুরমার ঢেউ আর তোর মিষ্টি ভরাট কন্ঠ
আমাকে একাকার করে তোলে।
মুখেতে মায়া ভরা চাঁদ হাসিটা থাকলেও
প্রতিবন্দী ভাই আর সংসারের গ্লানী
অনেকটাই তোরি টপাকাতে হয়।
ভাবতে ভাবতে একাকার
পাড় হয়ে যাই সুরমা ।
অতপর চলে এলাম
কারো কাছে শুনেছিলাম তোর বিয়ে হয়েছে
বেশ কয়েক বছর যখন আবার দেখা হলো
বিকেলের নীলিমায় বসন্তবিহীন এক প্রতি উত্তরে বলে দিলে
ফাগুনহীন অঢেল বর্ষণ।


রুপন্তি ,কেন জানি মনে হয় এ জগতে যারা সোজা চলে
ওদের যুদ্ধ করেই চলতে হয়
হতে হয় বেগম রোকেয়া প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
আসলে কি জানিস রুপন্তি
যার রুপ আছে তার সাঝতে হয় না
আর তার রুপ ঢগবগ করে এতো কাউকে দেখায় না
বা কেউ দেখুক এর পরোয়াও করেনা।


আজ তো দুন্রিযাটা কুকুরে ভরে গেছে
নটির পূজায় ব্যস্ত মগজ
নষ্টাকে চুমোয় অবাল বৃদ্ধভণিতা
ভালো কাঁদে নীড়ে একাকী।


রুপন্তি কেন জানি আমার চোখগুলো
বারবার জেল খাটার পর ও
কাজল দিতে জানেনা
খদ্দের পতিতাবিলাসে
ইচ্ছাকরে
অনিচ্ছার তৃপ্তিতে জারি করি ১৪৪ ধারা
সৃষ্টি করি
এক একটা নব বিপ্লবের
অশান্ত বৈশাখ!


রুপন্তি একটা বছর কেটে গেলো পাশাপাশি তোর
কখনো দেখিনি
একটুকু অহং আর রুপের বাহারে পঞ্চ কামের প্রসাধনি ছড়িয়ে দিতে
একশো কুকুরের পদলেহন নিতে।
ও রুপন্তি! তাইতো তুই আমার কবিতার পবিত্র নারী
আর নারী বলে সম্মানিত কোন এক গর্বিত স্মৃতি স্তম্ভ।


রুপন্তি আজ অনেকদিন পর বললে
এই মধুবালা কে ?
বড় ইচ্ছে হয়েছিলো বলি
তুই ।
তারপর তোর মেজাজের কথা ভেবে পাশ কেটে যাই
সাথে সাথে তোর ডাক!
রুপন্তি, কল্পনার চোখে দেখে নিলাম তোর হাসি
আর সাহসী বীরের পদক্ষেপ।
রুপন্তি ,
নষ্ট পুকুরের চেয়ে তাপদহ দুপুর অনেক ভালো
আর লোভী রক্তপিপাসু
নারীর মূর্তির চেয়ে
তোর বিনম্রকন্ঠ অনেক শান্তির।


রুপন্তি, তোরে দেখার বড় শখ ছিলো
আসতে পারিনি সময়ের বিড়ম্বনায়
যদিক কখনো ছুটি পাই আজীবন রবো তোর পাশে
তুই যে নারী
তুই যে ভালোবাসার খনি
প্রেমের মহত্ব ফুল
কাঁদিস কাঁদাতে জানিস না
হাসিস হাসাতেও জানিস
বিবেচনার খাতায়
মধুময় চাওয়া তোর
কাউকে কখনো খাটো করে দেখিস না
এইতো মনুষত্ব্য এইতো ভালোবাসা ।
উষ্টোমেরে ভেঙ্গে দিস
নষ্ট সমাজ
বিষ জল ছিটিয়ে দিস
ভ্রষ্ট ধর্ষকের চোখে ।


রুপন্তি কেমন আছেরে আমার সুরমা নদী
ইব্রাহিম পুর গ্রাম
ছোট ছোট শিশুগুলি
কেমন আছে তোর মিষ্টি হাসিটা
বড় শখ হয়
আরেকবার দেখি
হিমেল হাওয়ার সাথে গোলাপি রঙ্গে আমার প্রেয়সিনী সুনীল নক্ষত্র।
যদি তোর কখনো ছুটি হয়ে নীল শাড়িটিা পড়িস
একটু কাজল দিস
আমাকে বলিস
বড় যতোন করে একটি ছবি তুলে দেবো
যে ছবিতে অমর অক্ষয় চিত্রে ফুটে উঠবে
বাংলার বধু প্রিয় রুপন্তির
পবিত্র মুখময়।