একদিন তুমি এসেছিলে রঙিন প্রজাপতি সেজে বধূ হয়ে ঘরে।
আজ তুমি বয়োবৃদ্ধা সংসার সর্বাঙ্গীনি,
তুমি মোর স্বর্গ স্নেহময় মমতাময়ী মা জননী।
পূর্ণিমারচাঁদ তার জৌতি হারিয়েছে,
লাল সূর্য অন্ধকারে আচন্ন হয়েগেছে।
মা তোমার মিষ্টিমুখের মমতার আলোকরশ্মি।
মা তোমার চেয়ে সুন্দর মায়ামতী আর দেখিনি।
নিশিত শীতার্ত রাত্রিকালে কোল ভরা মলমুত্র,
হাজার দুঃখ বেদনা ক্ষুধার তাড়না বুক চেপে দরিয়াছ।
কিঞ্চিত অসুখে কেদেঁ কেদেঁ দিবারাত্রি মোর শিয়রের পাশে!!
তুমি মোর স্বর্গ স্নেহময় মমতাময়ী মা জননী।
তোমার স্নেহের ডানায় নিষ্পাপ সকল সন্তান।
তুমি খায় হাড়গোড় মোর খাই গোস্ত, উদর ভরে খেতেও পারনা।
সমস্ত ক্লেশ ক্লান্তি হেসেঁ হেসেঁ বরণ কর তুমি।
সহস্র কষ্টে নাই কোন ক্রুধ, তবু হাসোজ্জল তোমার মুখ।
রব ও তার আহম্মদ পরে তুমি মোর শ্রেষ্ঠজন।
তুমি আমার মা জননী, আমি গর্ভের ধন।
তাইতো তোমার মনুষত্ত গাহিয়াছে প্রভুূর অবতার।
যে জন করে তোমারে লালন, সে হয় স্বর্গে নির্বাসন।
ঝড়তুফান সব হরিয়ে ফেলে ঐ পক্ষীকোল তারা।
খরস্রোতা জলে দূরদূরান্তর পথ হারায় মৎস তারা।
কত হিংস্র মাংসাশী শিকারে বেরিয়ে পড়ে ওরা।
পেঙ্গুইন ডানাদিয়ে ঘুরে পৃথিবীর আনাচেকানাচে।
তবুও সকল হিংস্রতা বর্জতা হরিয়েছে মায়ের মমতা।
সকল কর্মচ্যুতিতে স্নেহ-মমতা দিয়ে আছড়ে ধরেছ আপন ছানা।