হঠাত ঘুম থেকে ওঠে
যদি শুনতে পাও আমি নেই,
দেহ খাঁচার প্রাণ পাখিটা উড়ে গেছে চিরতরে,
স্বার্থের পৃথিবীর শত ব্যস্ততা ছেড়ে  
যদি পারো শেষ বিদায় জানাতে এসো,
ভালোবেসে না হোক বিদায় জানিও ঘৃণা ভরে ।
সারাটি জনম কাঁদছি
চোখের নিচে পড়ে গেছে কালো দাগ
বুকে জমেছে শ্যাওলা, তবু দুঃখের শেষ নেই,
শেষ নেই তোমায় পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা
শেষ নেই নতুন স্বপ্নের, নতুন আশার
বোঝানোর ভাষা নেই, লেখার অক্ষর জ্ঞানটুকুও নেই।
বলতেও পারিনা, সইতেও পারিনা
কি যে এক অসহ্য যন্ত্রণায় জ্বলছি ,
কষ্টের শেষ নেই, শেষ নেই আবেগ অন্তরে,
জীবন্ত মানুষের ভিতরে জীবন্ত এক লাশ
এ যেন ভালোবাসার অপরাধে প্রেমের চীতায় পুড়ে মরা ,
কঙ্কাল খাঁচা হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো জগত সংসারে।
জানি এই জীবনে আসবে না আর
সুর ঝরাবে না মনের হারমোনিয়ামে,
গাইবে না গান, নাচবে না ভালোবাসার জন্মদিনে,
যদি পারো পীড়িতের অপরাধে অপরাধী
দিশেহারা, মাতাল-পাগল এক প্রেমিককে
ক্ষমা করো নিঃশর্ত ক্ষমা শেষ লগনে।
দুটি চোখের জলে, চোখের কাজলে
শূন্য দেহটির শেষ গোসল করিয়ে দিও
তোমার কোলে রেখে মাথা,
হাতের কোমল পরশে নয়নদুটি বন্ধ করে দিও
আঁচল দিয়ে ঢেকে দিয়ো মুখখানি চিরতরে
তবু যদি সান্ত্বনা মিলে একটু কমে ব্যথা।