তুমি জান না।
জেনো না তুমি কোনোদিনও
কি সয়ে বেঁচে আছি আমি আজ।
জানলে, জীবনের সব ভালো লাগা,
আলোর উৎসে পাখনা মেলে ওড়া সব প্রজাপতিরা
যাবে এক নিমেষে শেষ হয়ে!


চাপা কান্নাতেও আছে আশা।
আছে বিলাসিতার দীর্ঘ শ্বাস।
কতিপয় বন্ধুর হৃদয় আছে তাতে,
আছে বনানীর কোমল ছায়া।


কিন্ত এখানে চোখে জল আসে না আর।
আসে কেবল মস্তিষ্কে অসুস্থ রক্তের ক্ষরণ।
উচ্চ মেধার সরল সমীকরণ এ জীবন নয়।
ওরা যে এঁটো হাতেও সূর্যকে ধরতে চায়!


মানুষের মতই দেখতে ওদের!
শুয়োরের বাচ্চারা তো কাদায় মাখা
কচু বনের সরল প্রাণী! বিশেষণ নয়!
এই নামের যোগ্য নয় ওরা।


ঐ আর্মানি ফ্রেমের অহংকারী চশমার আড়ালে
ঠান্ডা চোখের চশমখোর চোরগুলো:
ওদের বাপের নয়, কারোর
গোপন মুহূর্তের জারজ সন্তান।


নতুন প্রজন্মের দুরন্ত জীবন শক্তির বাজেরাও
হার মানে এদের কাছে আজ।
ওরা আজ কর্ম জগৎ এ পচে ফুলে ওঠা পাপের পৃষ্ঠপোষক।
শুধু  মৃত্যুর মত হীম শিতল সায়নাইড দাঁত
ওদের ফসিল করে দিতে পারে।


তুমি জান না, ওদের সাথে,
রোজ কাটাতে হয় আমায় সময়।
ওরা সাপের মত জীভ দিয়ে
চেটে নিঃশেষ করে জীবন সরলতার
সকল নাবালক ফসল।


আমার কাছে বেশি চাওনি তুমি,
তবু দিনের শেষে অপত্য স্নেহের দুর্বলতা ছাড়া
সংসারে দিতে পারিনি আর কোনো অভিব্যক্তি।
অথচ কত যে দেওয়ার ছিল!
কী ভীষন জীবনী শক্তির সুপ্ত বীজ ছিল প্রাণে,
তুমি জানতেই পারলে না।


এতো কিছু বলেও ঠিক বোঝানো যাবে না তোমায়,
কি সয়ে বেঁচে আছি আমি আজ!
জানলে, জীবনের সব ভালো লাগা,
আলোর উৎসে পাখনা মেলে ওড়া সব প্রজাপতিরা
যাবে এক নিমেষে শেষ হয়ে।