ভেঙে সব নির্জনতা অক্ষমতার বাণী
প্রকাশিব আজ সত্য সুন্দর অমর কবিতাখানি।
এ জীবন ছিল কত যে সুখের হয়নি খুলে বলা
হাড়্গুলি আজ চিকন শক্ত মাংস পাকিয়েছে দলা।
মাথার চুল আজ মিশিয়া গেছে সাদা বেডশীটে
অথচ তাহা কাল যে ছিল গত মাঘের শীতে।
শরীরটা আজ মরে গেছে বেচে আছে সুধু প্রাণ
মৃত্যুর দ্বারে ঘুরে ফিরেও বাচতে করে আনচান।
তরা সব কাছে আসসনা করিস কেন শুধু দূর
অথচ আমার হাত ছাড়া ভাত খাওয়া হতনা তোর।
চোখের সামনে ভেসে ওঠে শৈশবের দিনগুলি
নতুন করে পুরানো মনে সেসব সাজিয়ে তুলি।
ছোট্ট একটা সংসার ছিল মায়ার ডোরে বাধা
ছিলনা এত জটিলতা, ছিলনা সাদা মনে কাদা।
একের পর এক ঘটনা অঘটন সাজছে হৃদয়পটে
দুহাত দিয়ে ঠেলে আমি সরাতে পারিনা কোনমতে।
শেষ বয়সে সবার উপরে স্মৃতিগুলা সম্বল
যেমন হাসপাতালে আমার দরকার থালা-কম্বল।
মাথার পাশে ভনভনিয়ে উড়ছে নার্স মাসি
ডাক্তার আসিয়া চেকআপ করিয়া 'সরি আমি আসি'।
হয়তো মৃত্যুকুপে বসে আমি গাইছি জিবনের গান
ক্ষুদ্র জীবনে কখনোতো করিনি স্রষ্টার সন্ধান।