যখন আমি থাকবনা জঞ্জালের পৃথিবীতে
শরীর হবে নিস্তব্ধ প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে।
রক্ত কোন বইবে না আর শিরা উপশিরায়
বিস্মৃতির অতল গহ্বরে নিমিষেই যাব হারায়ে।
জননীর চোখের জল গড়িয়ে পড়বে কাফনে
বাতাস হবে আন্দোলিত ফুপিয়ে কান্নার কাপনে।
সেদিনও আমি দেখব কিন্তু চোখ বন্ধের ভানে
তোমরা যারা থাকবে বসে আমার বামে ডানে।
কেউ হবে শোকাহত, কেউবা একটু অবাক
কারো কান্নার বাধ ভাঙ্গবে কারো চোখে তাক।
সবার মুখে শুনব আমি আমার প্রশংসার
মন্দগুলি চেপে যাবে নিয়ম নেই বলার।
জানাযা পড়ে চলে যাবে চোখ মুছতে মুছতে
এ মুছা মন থেকে মুছা কষ্ট হবেনা বুঝতে।
কে বা বলছিল আমার খারাপ দোষ ঢাকতে
মন্দগুলো বলেও যদি আমায় মনে রাখতে।
মনে রাখবে মা আমায় সারা জীবনভর
খোদার কাছে হাত তোলবে তাহাজ্জুদের পর।
কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে উঠবে বনের পাখি
মায়ের সাথে সুর মিলাবে করুণ স্বরে ডাকি।
তারপর হয়ত বছর ঘুরে আসবে মৃত্যুবার্ষিকী
কবরপাশ ঘিরে সবাই দোয়া করবে ঠিকই।
খাওয়াদাওয়া বেশ হবে সাথে মুরগী পোলাও
আমার দুঃখে জ্বলে উঠবে কাঠ-কয়লার চুলাও।
খাওয়া শেষে চলে যাবে হাত মুছতে মুছতে
এ মুছা মন থেকে মুছা কষ্ট হবেনা বুঝতে।
কি দরকার ছিল দোয়ায় হাত তুলে হাকতে
বদদোয়া করেও যদি আমায় মনে রাখতে।