তর দাদা দিয়ে মরেছিল, শুকনা চাষের জমি
লাঙ্গল চালায়ে তাতে আমি, উর্বর করে তুলি।
এক কুলেতে তর বাপ, পাশে রেখে তর চাচা
শিখেছি আমি সংগ্রাম করে, জীবনের তরে বাঁচা।
গ্রামের চোরেরা আমায়, করেছে কত জ্বালাতন
মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছি, সহ্য করে সব নির্যাতন।
কষ্ট করে কত ঢেকি চালায়ে, ঘুরায়ে কল যাতি
লাথি খেয়েও সরিনি কোথাও, ভেঙ্গেছে বুকের ছাতি।
বিচার পাইনি কোথাও, কেহ পাশে দাড়ায়নি বিধবার
সবার মনে লোভ ছিল, ভোগ করবে জমি তর দাদার।
পৃথিবী এখন অনেক বড়, যাহা ছিলনা আগে
ভাঙ্গা ঘরে রাত কাটিয়েছিনু, শত বরষা মাঘে।
পোষেছি হাস পোষেছি মুরগী, ছাগলও ছিল ভাই
বিয়োলে কিছু দুধও দিত, আধমরা এক গাই।
ভালবাসা ছিল সন্তানের জন্য, কোথাও ছিলনা চির
বুকের পাজর ভেঙ্গে ভেঙ্গে, তৈরী করেছি প্রাচীর।
আজ একটু গাড়ির ঝাঁকুনিতে, বড্ড লাগছে বুকে
বোধহয় আমি বাচবনা আর, মরব ধুকেধুকে।
শ্বাসকষ্ট অনেক হচ্ছে আমার, কাপছে হৃদ অন্তর
অথচ আমার নিঃশ্বাসে একদা, ছড়িয়েছিল প্রান্তর।
সব গল্পের এখানেই শেষ, সমাপ্তি সব কবিতার
পারলে একটু মনে রাখিস, আমার ইতিকথার।