মাধবীলতা,
ভালবাসা-দিবস এ তোমার জন্য একটা-
কবিতা লিখতে চেয়েচিলাম,পারিনি !
বড্ড চালাক হয়ে গেছ তুমি !!
এখন আর ধরা দাওনা আমার মায়াজালে ।
বোধহয়,আমার কবিতাগুলো সেকেলে হয়ে গেছে !
এখন তোমার বাগান এ একরাশ আধুনিক কবিতা !!


মাধবীলতা,
ভুলে গেছ ? তোমায় নিয়ে লিখা,সেই প্রথম কবিতা, “চলন্ত-বেলা” !
হেসে উঠলে ?!!
বেলা আবার চলে কি করে ??
আমার কবিতা,তেষট্টি পেরিয়ে তেপ্পান্ন হাজার এ গেলেও কি,
তোমার হৃদয় শুষে নিবে ??
নাকি এ যুগের সেই গোলাপি-লাল রঙিন গুঁড়োগুলো-
তোমার বাহির-ভেতর আরও পুরু করে দিবে !!?
তরতর করে তোমার শরীর-মন গোলাপি থেকে লাল হয়ে উঠবে !!
আর আমার কবিতাগুলোও অপ্রকাশিত থেকে যাবে ।


মাধবীলতা,
এখনও কি তোমার নাকের ঘামগুলো রোদে জ্বলজ্বল করে উঠলে-
কেউ কি বলে ?? “তুমি মস্ত ভাগ্যবতী,
তোমায় অনেক ভালবাসবে সে”
মাধবীলতা, আর কত ভালবাসা পেলে-
তোমার সেই মুক্তোগুলি আর কোনদিনও ফুটবে না ??


মাধবীলতা,
এখনও কি তুমি,সেই দুঃস্বপ্ন দেখে মধ্যরাতে জেগে উঠ ??
“আমাকে তোমার কাছ থেকে কে যেন নিয়ে যাচ্ছে !
নিঃশ্বাস জমাট বেঁধে যাচ্ছিল তোমার” !!
তুমি সেদিন পালিয়েও পার পাওনি।।
ভয় পেয় না মাধবীলতা !
তুমি ঘুমও !!
আর কখনো তোমায়,কেউ কেড়ে নেবেনা !
তোমার নির্ভুল চোখদুটো,রাতজেগে আর কষ্ট দিওনা।।


মাধবীলতা,
এখনও কি তোমার বাঁকা চুলগুলো-
কপল পেরিয়ে চোখের সাথে খেলা করে ??
তোমায় দেয়া নীল শাড়ীটি,এখনও নীল আছে তো !?
আমার সব নীলরঙে লিখা চিঠিগুলো, এখনও নীল আছে তো !!?
নাকি ঘুণে ধরে, কিছু কালো যন্ত্রণা,
আর রক্তাক্ত স্মৃতিতে বিলীন হয়ে গেছে ??


বলেছিলে,
আমি শুধুই তোমার, তোমাকেই ভালোবাসি, বাসবো।।
ঘর বাঁধব, সংসার হবে, দুষ্টুমিতে ভরে রাখব সারাক্ষণ!!
তোমার হাসি দেখে মনে হত-
অসীম আকাশে, নরম একখণ্ড সাদা মেঘ !
মাধবীলতা, আজ কোথায় সেই ভালোবাসা ??
সেই ঘর,সেই বুকে বহনকৃত রক্ত !!


শুনেছিলাম,
ভালোবাসা বড় স্বার্থপর !
যে কোন মূল্যেই সে পরিণতি চায় !!
আমিও তাই চেয়েছিলাম।
তুমি আমাকে তাই, ভালোবাসার দ্বায়ে দায়ী করলে !
খুনের দ্বায়ে দায়ী করলেও, ওতটা কষ্ট হতোনা মাধবীলতা !!


মাধবীলতা,
আজ আমার দিনও রাতের মতই আঁধার,
আনন্দগুলোও অবহেলার মতই নির্মম !!
তোমার দেয়া, অপমানগুলো পুরষ্কার ভাবি।
তবু,তোমার কংক্রিটের দেয়াল আর,
ব্যস্ততার সীমানার মাঝে-
পৌঁছে যাবে, আমার অগোছালো কবিতা,
আমার স্নিগ্ধ অনুভূতি, আমার ভালোবাসা !
বড় ভালোবাসি তোমায় !!