দিনে দিনে ছিঁড়েছ সকল প্রাণের
বাঁধন মুখের কথায় হাসির ছলে
শব্দবানের আঘাতে, তবু আমি-
থেকেছি নীরব এমন প্রেমের যূথিকাতে,
প্রেমেরই সুধার অমৃত আবেগেতে,
কে যে কোথায় গেল চলে গোপন যত কালো-
মেঘের ডানায় বসে নীরব ভ্রমনে হেসে,
আর দাঁড়িয়ে আমি সেই একই বাঁকে,
বসন্ত কেমন নিল বিদায় তীব্র পৌষেতে,
সকল ভাব কোথায় কেমন গেল জমে
কঠিন হয়ে পাথরেরই স্থবির মূরতিতে,
তবু আমি গেয়েই গেলাম মিলনগীতি,
দুয়ার খুলে নিমন্ত্রনে পথের ধূলায় কান পেতে,
এখন কে এসেছে আমার ঐ নিমন্ত্রনে-
হৃদয় খুলে আবেশেতে, তোমার নামে,
যতই ছিঁড়ুক মিলন সেতু সংসারেরই ঘূর্ণিঝড়ে,
পেয়েছি তোমায় অনুভবের চরম সীমাতে,
যতই পুরুক রিক্ত বাঁধন দহন তাপে অনল জ্বেলে-
সমীরেতে, আমি কাঁদিনি অভিমানে!
তোমার প্রেমের নিবিড় স্পর্শে পেয়েছি নিমন্ত্রন,
অসীম ধূলার বন্ধ্যা পথে; পথ চলাতে,
জীবনধরে এমন আঘাতের অনুরনে আমায়-
বাজালে নিরভিমানে; পরম প্রেমাশ্রুতে।
আমি খুঁজেছি জীবনঅমৃত সংসারের-
এই ভীষন তাপে, নীরবে যত বিষ পানে,
কোথায় আর পেয়েছি প্রেম, পেয়েছি মান,
দিনে দিনে প্রকাশেতে ছিহ্ন জালের বন্ধনে,
তবে কি পথিক যাব দূরে; বহু দূরে অভিমানে,
ব্যর্থ প্রেমিকের কলঙ্ক বয়ে জীবনরথে,
আমার প্রেমের গোপন ছবি উঠবে হেসে তোমারই মুখে,
পথ চলার এই নিবিড় ভ্রমনে,
সাজিয়ে দিও আমার ঐ মৃতদেহ বারে বারে-
প্রেমের সলিলে নব জীবনের পরম শুরুতে,
তোমায় পেতে সে ভোরের কাননে,
পাখীর গানে শান্ত সমীরে, সবুজের জীবন দোলাতে,
দিনে দিনে পুড়েছে যখন সকল ডাল দাবানলে-
নিজের হাওয়ায় ভীষন অন্তর্দাহে।