বেকুব কারে বলে আমি
বুঝে ছিলাম সেদিন,
কাঁদার ভিতর বাইসাইকেল
চালিয়ে ছিলাম যেদিন।
ছিটকে কাঁদা ছড়িয়ে গেলো,
একটি লোকের গায়-
বেকুব ছাড়া নিজের কাছে
আর কিছুনা দায়!
দাঁড়িয়ে গেলাম বেকুব হয়ে
কি করবো এখন?
বুড়ো লোকটা চোখ রাঙিয়ে
তাকিয়ে ছিলো যখন।
অবাক সবাই দেখছে আমায়
কাঁদায় গেছি ভরে-
বলছে সবাই কান ফাটিয়ে
দেননা কেন ঠুসি।
মাথা নিচু ভাবছি মনে,
সত্যি যদি মারে
চাচার মনের জমানো রাগ
দেবেকি সব ঝেড়ে?
উপায় খুঁজেতে বুদ্ধি পেলাম
এগিয়ে গেলাম কাছে-
টুকরো কাগজ হাতে নিয়ে
দিলাম কাঁদা মুছে।
বলল আমায় নাপাক করলে
ময়লা কাঁদা মেখে?
চোখটা যেনো লালচে রঙের
মুখটা করে বেঁকে।
বলছি আমার ভুল হয়েছে
বুঝতে পারিনাই-
জানলে পরে এমন কাজকি
করতাম আমি তাই?
ঠিক আছে! করলাম ক্ষমা
বেঁচে গেলে তুমি-
আস্তে করে সরতে থাকলাম
সাইকেল ধরে আমি।
হাটছি আর ভাবছি শুধু'ই
বুকে জ্বলছে ধুপ!
বিবেক আমায় ডাকছে বলে
তুই বড় বেকুব ।