এসেছো তবে প্রানের মাঝে,
হাসির আলোতে ভরিয়ে তবে পত্র পুষ্পে,
যে ডালেতে ঝরে গেছিল সকল
মুকুল বৃষ্টি বিহীন মরুর তাপেতে,
ঝর্না হয়ে প্রবল স্রোতে এসেছো তবে
সুরের তানে গোপন মাধুরীতে,
সরস্বতীর চরণ ছুইয়ে নিজেরে
মেলে বলাকা হয়ে মধুর মূরতিতে!
তোমার পরশে মেতেছে মন শৈশবেতে
হারনো সকালে ধূসর ডালেতে,
কেন তবে এসেছো ঝড়ে মাতাল সন্ধ্যায়
প্রবল তরঙ্গে বনের বাতাসে,
উঠল বেজে সেই যে তার মধুরো
ছন্দে রন্দ্রে রন্দ্রে মনের হরনে,
তোমার চোখে এসেছে শ্রাবণ যুগের
শেষে তাপের পরে সিক্ত সলিলাতে!
সেই যে চোখে বিভোর হয়ে দেখেছি
তোমায় হ্রদয় ভরে সুপ্ত যুমুনাতে,
বইছে তাতে নীরব ধারা নিবিড় যত
প্রানের সুধায় নুতন জীবনে,
দিলে প্রেম কামনা শেষে অন্তঃপুরের
হ্রদয় ভরে চোখে চোখে; তরঙ্গেতে,
কোন প্রবাহ বয়ে গেল নীরব গানে
পুজার মাঝে পূজার অঞ্জলিতে!
সেই শাড়ীটি আজো নুতন আজো
প্রেম আজো আনন্দ, তোমার পরশে,
কেন তবে দিলে দোলা সেই ঝড়েতে
হারনো প্রেমে ধূসর ডালেতে,
এসেছে আবার প্রেম যে ফিরে গোপন
ভেলায় সেই যে স্রোতে মনোহরে!
আসুক তবে ফিরে সকাল নিবেদনে
প্রথম পুষ্পে গন্ধরাজে মানবীতে,
দিকে দিকে জনে জনে হউক যে
পুজা হ্রদয় হতে কামনা বাসনা পুরে,
সেই প্রেমেতে দোলাও হ্রদয় কাঙাল
করে তোমার চোখে পূজার প্রসাদে,
শীতল করে সকল দহন দাবানলের
শেষে তবে সবুজ মুকুলের দানে!
যে ডালেতে ঝড়ে গেছিল পত্র পুষ্প ইন্দ্রজালে,
প্রবল দাহে অভিশাপেতে,
আবার এসো ফিরে তবে মিষ্টি হাসির
সেই তরঙ্গে নীরব শ্মশানেতে,
যেন জাঁগে তৃষা তবে তোমার চোখে
নব হরষে অহঙ্কারের শেষে,
বাজাও আবার ভোরের গান রিক্ত
মনে হ্রদয় জুরে শাড়ীর আলোকে!