চিতার আগুন যখন জ্বলে শ্মশান ঘাটে
শেষ নিয়তির চরম বিধানে,
তখন কাঁদে এ পৃথিবী শূন্যতারই হাহাকারে
চরম রোদনে উন্মুক্ত চোখেতেও,
জীবনজ্যোতি মেশে সে যে অপূর্ণ জীবন
অরুণ আলোর শেষের শিখাতে,
রয়ে যায় সকলই বাকি সংসারের ঐ কর্মযজ্ঞে,
তবু নিভু নিভু বাতি কার সমীরে বহে?
কোথায় আর থাকে শূন্য; হৃদয়কুঞ্জ,
জীব জীবন প্রবাহ অসীম স্যন্দনেতে!
ছবির রঙ কেমনে যায় নীরবে বদলে
একই মঞ্চে, অন্য ভূষণে অন্য চরিত্রে,
তবু আসে স্মৃতি হয়ে ক্ষণে ক্ষণে বিষাদ
জাঁগিয়ে, নিবিড় রোদন উঠিয়ে বুকে,
হারানো ঐ ফাগুন সমীর, স্মৃতির পটে
বেদন দিয়ে, জ্বালায় বাতি প্রেমাগ্নিতে।
শেষের সেই চিতার অগ্নি, নিভে কি কখনো
শান্তি ফোঁটায় পূর্ণ দহন শেষে?
কে যে তবে চিহ্নহীন এ জগতের অভিনয়ে,
যতই দাগী, অনাচারী কলঙ্কদাগে,
তারও কোন হয়ত আলো; রয়েছে সুপ্ত;
অজানা পুষ্প পলাশে গোপন বসন্ত,
আর যে দিয়েছে এত রঙ, রঙের কালির,
সুরের আবিরে হৃদয় জুরে দ্বার খুলে,
সে কালিকা থাকুক অমর, বেদনার এই
মরমদাহ চিরনতুনের অমৃত স্বাদে,
চিতার সে শেষের আগুন জ্বলেই থাকুক
বিরহানলে, কালির ছাইয়ের প্রেম বিভূতি,
প্রেমের এই নিবিড় অর্ঘ্য হউক নিবেদন
স্মৃতির আড়ালে জনমধরে অর্পণেতে।