আমগাছ আমফুল,
ডালে বসে নাঁচে ময়না টিয়া, গান গাহে বুলবুল,
টসটসে তুলতুল, মিষ্টি রসে ভরা প্রিয় ফল আম ॥
বলো তা পছন্দ কার নয়,
যদি সাধনা ও চেষ্টা ঠিকঠাক হয়,
বাংলার আম হয়ত একদিন বিশ্ব করিবে জয়,
আকার, রঙ রস মজা আর, সৌরভ নানাহ যার, মনোহর ও নয়নাভিরাম ॥
অ ভাই আম্র কলি,
কেন মনভার তরে বলি,
ধূলি আর বালিতে পড়েছি ঢাকা,
বলনা ভাই, এভাবে যায় আর কতদিন থাকা,
একি অযতন অবহেলা, শুরুতেই হেরিলাম আর মেলা কষ্টেও যেন পড়ে রহিলাম ॥
এখানে সেখানে,
আর আমের বাগানে,
রাস্তার পাশে ও বাড়ীঘর যেখানে,
ফলে কিবা বাজারে মিলে শুধু ছয়মাস যেন তাই হেন রসনাবাসন,
বাঙালীর প্রিয় ফল আম, কালে তা যেমন তেমন, অকালে হয় বেড়ে আগুনের দাম ॥
আমি বসে গাড়ীতে,
বহুদিন পর যাচ্ছি প্রামের বাড়ীতে,
সারি সারি গাছগুলি ছুটছে উল্টোদিকে, কেন প্রানপণ চেষ্টা যেন লোকালয় ছাড়িতে,
গাড়ী হতে এবার নেমে, পায়েচলা পথে আমি থেমে থেমে, হাটা শুরু করিলাম ॥
হাটিতে যেন মন চায়না,
ঐ পথটা কিছুতেই যেন আর ফুরায়না,
আসলে নহে বেশী দূর, ঐতো দেখা যায় আমার বাড়ী জাঁহাপুর গ্রাম ॥
দখিনা মৃদু সমীরণ,
নহে শীত নয় গরম যেন এমন,
বসন্তের আগমন র্বাতা সে করিছে বহন,
গগনে মেঘের, ভেলাগুলি ফের করিছে শুরু বিচড়ন,
যে কোন ক্ষন, ভরিতে দেশ করিতে সুফলা, এক পসলা হতে পারে বরিষন,
এই বুঝি সেই শুভক্ষন,
প্রকৃতির মৌ মৌ মহাযৌবন,
খুঁজিছে সবে পেতেই হবে ফুল আর মধুবন,
সাজিছে নব সাজে বৃক্ষরাজি,
নানা ফুলের আয়োজন বুঝি শুরু হবে আজই,
মহাসমারোহে পাতাঝড়া যত নব পত্রপল্লব,
সহসাই শুরু হবে, কুকিলের সুমধুর কুহু কলরব,
মৌমাছি নাঁচিনাঁচি, যেন আজই ঘূম হতে জাগিছে সব,
ফলগু ছোয়ায়,
মাঝি ভাটিয়ালী গায়,
রাখাল যদি বাঁশরী বাজায়,
খেয়াঘাটের পরে ঐ বিজন বটতলায়,
লাগবে সে আগুন আসি ষোড়শী রুপসী আর শিমুল কৃঞ্চচূড়ার মনে ও গায়,
মাতাল নেশায় ফুটিবে শত ফুল,
মদির সৌরভে আশপাশ হবে মুখরিত মসগুল,
আসন্ন পসরার আয়োজনে ব্যাস্ত যত আম আনারস লিচূ চালতা কাঠাল তেতুল ও জামরুল জাম ॥
দেখি যেন তারা হয়েছে পীড়িত,
ধূলায় যেন চেনা নাহি যায় হয়েছে হেন ধূসরিত,
যেন ন্বিঃশ্বাস নিতে পারেনা, তাকাতেও কষ্ট হয় আলোতে চক্ষু খুলি,
ধূলার আস্তরনে ঢাকা পড়ে গেছে, আর যেন আপদেও আছে আমের কঁচি বোলগুলি,
কদিন থেকেই চলতে পথে কিবা ভাবছিলাম শুয়ে শুয়ে,
আম্র গাছের মুকুল আর পত্রগুলি যত, দাড়িয়ে আছে ঠায় যেন বড় অসহায় অন্ধের মত, কে দেবে সেগুলি সাফ করে ধূয়ে,
এমন সাধ্য কার, কে করিবে আর, কিবা সে গরজ পড়েছে কার শহর জুড়িয়া বাড়ীবাড়ী ঘূরিয়া ঘূরিয়া এই কঠিন কাম ॥
এক পসলা বৃষ্টি হলো সেই রাতে,
লভে যেন সহসা বাসন্তি লগন, মুঠো ভরে তার দুইহাতে,
এত দান কার, মহিমা অপার, সুবিশাল মাঠে ও আংগীনাতে,
করে বৃষ্টির জলে স্নান সমাপন, আম ফুলেরা যেন পরম খুশীতে মাতে,
বৃক্ষপত্রমুকুল, পরম পাওয়ার হরষে যেন ভাংগিতে চাহে কূল, এক অন্য সবুজ সজীবতাতে,
ঘূম হতে উঠে এক সুপ্রভাতে, এবার আজিকে এই প্রথম আম্র ফুলের গন্ধ পেলাম আর, তাতেই আমার মনটা ভরালাম ॥