অ রে যাদুর বাঁশী ॥
তুইযে ওরে কূল নাশা,
মোহ ও নেশার এইনা ভালবাসা,
স্বপ্ন আশা সোনার জীবন চূড়মাড় ছাড়খাড়,
সোনালী সময়ে আসি, হলোযে আমার দারুন সর্বনাশী ॥
না দেখে তার মোখ,
না জেনে আহা, কেমন সে লোক,
বাঁশীওয়ালারে কখন আমি দিয়াছি মন, ফেলেছি ভালবাসি ॥
একদিন তার বাড়ীতে গেলাম,
লোক পাঠিয়ে হেথা পাঠালাম পয়গাম,
চিঠিতে লিখে পরিচয় নাম, আমি তারে জানালাম,
মোর মনে বড় সাধ, আমি হবো তোমার ভালবাসার সেবা দাসী ॥
কে আছে তার ঘরে, শেষে যদি ঐ বাঁশীওয়ালা,
না যদি বুঝে নারীর মন, সুখের আশায় হয় বুকের জ্বালা,
হেথা থেকে ঘূরে এসে, এ মন যেন শেষে, হলো আরও বেশী উতলা,
সে এক বাউন্ডেলে বাঁধনহারা,
তার কেউ নেই আর, শুধু বুড়ো মা ছাড়া,
ঘূরে বেড়ায় গানের দলে, ভিন গেরামে এ পাড়া ওপাড়া,
নিয়ে যাওনা মোরে, পালকিতে করে তোমার ঘরে, জলদি করে আসি ॥
ফুটেছে ফুল পাপড়ি যার অনল লাল,
মৌমাছি মধুকর ভ্রমরের দল যেন হয়েছে মাতাল,
শোভা আর সৌরভ ভরেছে চারকূল ফেলেছে যেন তার মোহ জাল,
ঢাকনা মেলা, ভরপূর ডালা, হার না মানা সে বাহার যেন থইথই একেবারে বেসামাল,
আপনি অধীর হই,
আহা সে কথা কারে কই,
তৃষিত বুকের ঐ দারুন পরশ লই,
এসোনা এখনই ডুবে গিয়ে গহীনে, গোপনে তুমি আমি দুজনে ধন্য হই, তা না হতে বাসী ॥
দিও মোরে শুধু বন্ধুর দাম,
করে দিব আমি তোমার ঘরের যত কাম,
বানালে মোরে তোমার মন আর ঐ দুষ্ট দেহটার প্রিয় সাম,
তুমি হবে মম এ অদেখা মনের বনে, আর ঢেকে রাখা দেহ জমিনে, রসিকা মালী আর রঙীলা চাষী ॥
আমি খেয়েছি লাজ,
মানিনা ধন আর ধনীদের এ সমাজ,
যদি আমার উপর, ভেংগে পড়ে পড়ুক, আকাশের বাজ,
আমি মানিব তাই, যদি তোমারে পাই, মনিবের দেওয়া আমার মাথার তাজ,
নিয়তির গতি সেই হাল, মোর ভাংগা নায়ে কে উড়াবে রাঙা পাল, যা হয় আমার এ কপাল রাশি ॥
তর বাঁশীর শুর,
নেশা ভরপূর দারুন মাতাল মধুর,
কোথা সেই যাদুর নেশার ঘের স্বপ্নীল সুখের শান্তিপুর,
বাঁশী শুনে হয় মনে যেন তুই আমার এই বুকের ভিতর, আসলে বহুদূর,
যেথা দুজনে মিলে বাসনারে খাবো ধরে গিলে মাতিব ভোগে ছুবো মাতাল নেশার চূড়,
দরদী দোসর হয়ে, ভাগাভাগি করে লয়ে, জীবনের যত কান্নাহাসি ॥
এক বিছানায় বসত হলে,
দুজনে মিলে হরষে ও চোখের জলে,
তোমার আমার বুকে বুক, চোখে চুখ আর গলে গলে,
যাবো ঐ নীল শূন্যে, হাতে হাত ধরে এই দুজনে, রঙীন মেঘের ভেলায় ভাসি ॥
মাতবরের বেটায়,
শুনেছি সে নাকি মদ গাঁজা খায়,
কি হবে আমার, দিয়ে তার ধন আর দালান কোঠায়,
আগেই বলে রাখি তোমায়, যদি ওরে সে মোরে বিয়ে করে তার ঘরে নিয়ে যায়,
কেউরে না বলে একদিন, খালাস করে দিয়ে তব সব দায় ঋন, শাড়ীর আঁচলে আমি গলে দেবো ফাঁসি ॥