এ মহা আয়োজন, কে করে সাধন,
কার মালিকানায়, অধিকার ও দায় এ বিশাল কানন,
যদি পারো বলোতো তোমরা, এই প্রকৃতি আর বসন্ত ও আমরা, কে কার সামন্ত ॥
রঙতুলি নেই কেন তবে,
এটাই যেন তার সবচে বড় কাজ এ ভবে,  
সাজ সাজ রবে, যেন মাতিছে সবে, মনের দুয়ার মেলো, সাজাতে এলো আজ ঋতুরাজ বসন্ত ॥
এলো ফাগুন,
শিমুল কৃঞ্চচুড়ার মাথায় আগুন,
হিল্লোল হিন্দোল,
পাখীদের কোলাহল কলরোল,
প্রকৃতির সারা গায়ে যৌবনের নব দোল,
চারিদিকে তার, অরুপ রুপের বাহার, নেই যেন তার অন্ত ॥
মৌ মৌ সুরভি ও শোভার,
নাই কিনার যেন নাইরে পার,
শত রঙ ছোটবড় কতযে ফুল তার,
সাজিয়ে ডালায় যেন দেখাতে চায়, কত মধুয় ভরপূর এ বসন্ত ॥
ডালপালা গুলি সদ্য সমাপন করিল স্নান,
মেলায় যাবার আয়োজন, সতেজ সজীব প্রান,
হেথা বসিবে আসর, হবে কোটি কবিতা আর গান,
জোয়ার ভাটার চীর বহমান,
র্ঝনা ও নদীর কূলকূল কলতান,
নেমেছে রুপের ঢল, মরা পাতাগুলি ঝড়েছে সকল, সবুজ শ্যামল চীর প্রাণবন্ত ॥
সেই মাঘেতে হয় শুরু,
ফাগুনে ভরপূর আগুনে, চৈত্রে বনেবনে, ষোলকলা যেন পূরো,
যখন শেষ হয় বৈশাখে,
ডালে ডালে শত পাখীরা ডাকে,
তের ফলের গন্ধ যেন লেগে থাকে নাকে,
শত বৃক্ষ শাখে, ফুলে ফলে একেবারে ভরে থাকে,
কাল বৈশাখে,
বায়ু ও জলের প্রবল র্ঘূনিপাকে,
গুরু গুরু দেওয়া ডাকে, মাটি কাপে থরথর,
প্রকুতি হয়, যেন শান্ত হবার নয়, হেন অশান্ত দামাল ক্ষিপ্ত ও দূরন্ত ॥
কত কবিতা লেখায়,
শত জনেরে রসিকা কবি বানায়,
র্ঘূনিঝড়ে ছনের ঘরের ছানি যায় উড়ে, কড়মড় করে টিনের ঘর,
রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি, আহা কিযে মিষ্টি, অবিরাম ধারা ঝরঝর,
টিনের চালে যেন নূপূরের তালে,
কে সুধা ঢালে, জড়ায় যেন আবেশের জালে,
সে সময়, মনেহয় যেন মোহ যাদুময়, আহা কি মনোহর মনোমুগ্ধকর,
এ লগনে, একান্তে আপন ঘরে আপন মনে, শুধু তারা দুজনে নববধূ বর,
বাহুর বাধনে, প্রেমের টানে, সুযোগের কারনে, একে অপরের বুকের ভিতর,
দেয়া যায়না ঠেলে দুরে ফেলে, কাগজ কলম পেলে লেখনী যেন হতে চায়না ক্ষান্ত ॥
প্রিয় বন্ধু হারা,
সে বিরহে অস্থীর যারা,
বাহিরে শান্ত মৌন যায়না চিনিতে পারা,
বৃষ্টি কণার ভেজা পরশ ছোয়ায় যেন কিছুটা হয় প্রশান্ত ॥
মন বসে আর থাকেনা যেন ঘরে,
যেতে চায় হারিয়ে মেঘলা আকাশে উড়ে,
মন পাখীটা আমার হয়যে বড় উদাস,
বড় দেখিতে জানিতে ইচ্ছে করে ঐ আকাশ,
আর সাত রঙ সমাহার, বিশাল ঐ রঙধনূটার কোথা হতে আসে রঙ কোথা শেষ প্রান্ত ॥
তাদের জন্য কিছু বাণী ও পাঠ,
পালাবার পথ খোলা নাই, চারিধারে সীমানার ঘের, মাঠঘাট তেপান্তর বাট,
যারা বাধনহারা লক্ষ্ণীছাড়া ডানপিটে দামাল ও দূরন্ত ॥
দখিনা মৃদু সমীরণ,
নহে শীত নয় গরম যেন এমন,
বসন্তের র্বাতা ছড়ায় সে করিছে বহন,
গগনে মেঘের, ভেলাগুলি ফের করিছে শুরু বিচড়ন,
যে কোন ক্ষন, ভরিতে দেশ করিতে সুফলা, এক পসলা হতে পারে বরিষন ॥
এই বুঝি সেই শুভক্ষন,
প্রকৃতির মৌ মৌ মহাযৌবন,
খুঁজিছে সবে পেতেই হবে ফুল আর মধুবন,
সাজিছে নব সাজে বৃক্ষরাজি,
নানা ফুলের আয়োজন বুঝি শুরু হবে আজই,
মহাসমারোহে পাতাঝড়া যত নব পত্রপল্লব,
সহসাই শুরু হবে, কুকিলের সুমধুর কুহু কলরব,
মৌমাছি নাঁচিনাঁচি, যেন আজই ঘূম হতে জাগিছে সব ॥
ফলগু ছোয়ায়,
মাঝি ভাটিয়ালী গায়,
রাখাল যদি বাঁশরী বাজায়,
খেয়াঘাটের পরে ঐ বিজন বটতলায়,
লাগবে সে আগুন আসি ষোড়শী রুপসীর মনে ও সারা গায়,
মাতাল নেশায় ফুটিবে শত ফুল,
মদির সৌরভে আশপাশ হবে মুখরিত মসগুল,
আসন্ন পসরার আয়োজনে ব্যাস্ত যত আম আনারস কালজাম লিচূ চালতা কাঠাল তেতুল জামরুল ॥
তৃষিত মোর বুক ভরাতাম,
ধন্য হতাম আমি আর দামীও হতাম,
সারাটি বছর দিনগুলি যদি এমনই পেতাম,
কত ভাল হত, সব করিতাম মনের মত, নিত্য যদি মনটা আমার মিনতিগুলি মানতো ॥