মানূষে মানূষে দেখি কত ব্যাবধান ॥
পাঁচ জন একেবারে ভিন্ন,
ভিতরে কেমন বাহিরে নাই তার চিহ্ন,
একই উপাদান রক্ত মাংস যার, একই বিধাতার দেওয়া এ নশ্বর প্রান ॥
কর্ম্মে হয় উওম কিবা অধম,
পাপ পূন্য শাস্তি পূরস্কার তাতেই হবে বেশী কম,
হিসাবের খাতায়,
কার কত দায় ও দেনাপানায়,
হিসাবের পরে ওজন করে, মানূষ কেমন নিরুপন করা হবে তার মান ॥
পাঁচ রকম চিন্তা মন মেজাজ ও মনন,
বলন চলন র্কম্ম ব্যাবহার আচড়ন ও দরশন,
এক পিতার ঔরসে একই মায়ের গর্ভে করা ধারন,
কেউ র্ককশ রুক্ষ বিরস র্ববর, কেউ বিনয়ে শিষ্টাাচারে অনন্য অসাধারন,
কেউ আছে এমন যেন ফুলে ফলে রঙে সৌরভে সবুজ শ্যামল সাজানো মায়াবী কানন,
কেউ যেন বিবর্ন ধূসর মরু,
বলা যেতে পারে, সব ভালোতে হারে, গাধা কিবা গরু,
নরম গরম, প্রশান্ত উগ্র চরম, কেন এমন ব্যাতিক্রম ব্যাবধান হয় একই বাবামার সন্তান ॥
পশু কভূ পারেনা মানূষ হতে,
সৃষ্টির তেমন কোন সেবা উপকার করতে,
সাধিতে জীবের মংগল কল্যান কিবা মহান কিছু গড়তে,
বিধাতার এ বিশাল স্বাধীনতার র্মতে ও তার পরতে পরতে,
যার অদেখা অগনিত অনূপ্রান, মানূষে পশুতে তফাৎ সেতো সামান্য নয় আকাশ সমান ॥
তবু মানূষও কভূ কভূ পশু হয়,
মানূষ যদি অজানায়, আবেগ কিবা ক্রোধের ছোয়ায় পশুর দলে নাম লেখায় সেও এক নিশ্চিত অবক্ষয়,
পশুও আবার দয়া মায়ায় মানূষকে ছাড়িয়ে যায়, উদারতা মহানূভবতায় প্রেম ও সেবায় মানূষ ও বিধাতার মন করে জয়,
উৎর্কষ, উন্নয়ন,
বিশ্ব জুড়ে যা কিছু হয়েছে সাধন,
সব ইতো তার মানূষের মেধা মনন ও গবেষন বুদ্ধি শক্তি ও ক্ষমতার অবদান, তাই মানূষই শ্রেষ্ঠ মহান ও মহীয়ান ॥
কেউবা উঁচূ জাত,
খায় সদা চিনিগুড়া চালের ভাত,
হতে পারে কারো অদেখা লম্বা হাত,
গোটা এই পৃথিবীটা যেন তার হাতের মুঠায়,
বেশী ধনের গরম মাথাটা করে গমগম যেন শূন্যে উড়ে বেড়াতে চায়,
পায়ে যেন কভূ আর ধূলি লেগে না যায়, নেই যেন কোন দায়, তাই বুঝি ছুতে চায় ঐ নীল আসমান ॥
জনে জনে,
প্রকাশে কিবা গোপনে,
সবখানে প্রতিদিন প্রতিক্ষনে,
কথায় কাজে স্বভাব ব্যাবহার ও আচড়নে,
সবটুকু নয় তবু সামান্য হয় বদনে, তা প্রতীয়মান অন্তরে যা লুকানো বিদ্যমান ॥
পায়রা কুকুর বিড়াল ও ঘোড়ায়,
আদর সোহাগ জানায় বিনয়ে ভালবাসায়,
লেজ নেড়ে জিহ্বায় কৃতঞ্জতায় পরশ বুলায় সারা গায়ে ও পায়,
পোষা পাখী ও পশু জীবন কাটায় মানূষের সেবায়, নিজে প্রান দিয়ে বাঁচাতে চায় বাঁচায় তার মনিবের প্রান ॥
শুনেছি হরিন শিশুরে,
বনের বাঘ নাকি লালন পালন করে,
মানব সন্তানেরে পরম আদরে, ব্যাঘ্র মাতা স্বেচ্ছায় ওরে, মাতৃ স্নেহে করায় দুগ্ধ পান ॥
এমন আজব গল্প,
সবাই জানে বেশী কিবা অল্প,
সময় সময়,
পশুও হয় মমতাময়,
বিশ্বাস কারো হয়কি নাহয়,
যদিও জাতস্বভাবে তারা হিংস্র বন্য র্নিমম র্নিদয়,
“বাল্যশিক্ষা” বই আবার পঠন দরকার, প্রাচীন কালের বইয়ে রয়েছে কত ঞ্জান আর তার অসংখ্য প্রমান ॥
অবাক বিস্ময়,
মানূষ কেমনে পশু হয়,
তা যে কভূ বিশ্বাস করার মত নয়,
পেলাম এ কোন যূগের দেখা, নাকি এটাই জীবিকা, আছে পেশাদার খুনী শুনেছি লোকে কয়,
তাদের কি নাই মরন, করে গুম খুন যূলূম র্নিযাতন ও লুন্ঠন, নাই মরনের পরে হিসাব ও আযাবের ভয়,
বন্যতা হিংস্রতা ও র্ববরতায়,
যে জনের কাছে পশুও হেরে যায়,  
পশুরা নাকি তাই মোখ দেখাতে মরে যায় লজ্জায়,
বলো কে নেবে তার দায়, সে কি তবে যায়নি পাঠশালায়, কেন এ পরাজয় না হয়ে মহত্বে শ্রেষ্ঠ মহান ॥
কেউ ভাল কেউ মন্দ,
চোখ থেকেও কেউবা হয়ে রয় অন্ধ,
দুর দিগন্তে শান্তিপূর যাবার সব পথ যার হয়ে গেছে বন্ধ,  
দয়া মায়া মমতায়,
মহানূভবতা উদারতা ও মানবতায়,
রয়েছে লুকায়, এ ভব পাঠশালায়, তব আশেপাশে আংগীনায়, মানূষের শ্রেষ্ঠ হবার গোপন রহস্য ভেদ সুযোগ ও সম্মান ॥
র্মূখ পন্ডিত ও বিদ্যান,
দীনহীন সাধারন কিবা ধনবান,
বিদ্যায় ক্ষমতা র্মযাদা কিবা ধনে নয়,  
কথায় কাজে ও ব্যাবহারে ই মানূষের পরিচয়,
লোকের কাছে বড় আর মানূষ ইতো খাটি মানূষ হয়,  
একজন উম্মি ঞ্জানে ও গুনে করেছেন সারা বিশ্ব ভূবন জয়,
জগতের যত র্আত পীড়িত অসহায় র্নিযাতিত মানূষের ত্রান, দিয়েছেন শিখিয়ে মানবতা কারে কয়,
করিতে ধনী ও গরীর আর ছোট ও বড়র মাঝে দূরত্ব ও ভেদাভেদ অবসান ॥
দুদিনের এ ভবে,
নিজেই তোমরা রাখিতে হবে,
আলো আর ভালোয় জীবন ভরাতে সবে,
আপন জাতের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হবার আজিকার রুগ্ন মূর্মূষ মান ॥
এখন আর পশু থেকে মানূষ তেমন হয়না,
মানূষের মানূষ হতে হয়না সুমতি, পশু হবার অবাধ গতি যেন থেমে রয়না,
বলায় কাজে চলায় অজানায় অবহেলায়, দিনে দিনে যেন তা ক্রমর্বধমান ॥
মননে অনূভবে চেতনায়,
অপার অরুপ আলোর ছোয়ায়,
আত্বা আমার ধূয়ে মুছে মানূষ হতে চায়,
যেন এমন নয়ন লভে এ ভবে দিব্য দেখিতে পায়,
জীবন তরীটা তার  ঠিক কি বেঠিক কোনদিকে কোনপথে যায়,  
সকলে তার বিবেকের আয়নায়, এমন একটা তৃতীয় নয়ন যদি বিধাতায় করিত সবারে দান ॥
এক পিতার ঔরসে এক মায়ের র্গভের পাঁচ ভাই বোন,
কেউ করে নাঁচগান হৈচৈ, কেউ বলে চুপ করে বস কি বলি মন দিয়ে শোন,
বিধাতার এইতো বিধান, জনে জনে প্রকাশে গোপনে বচনে র্কম্মে চলনে, পাাঁচ আংগুলের মত, স্বভাবে হয় কত ব্যাবধান ॥
এ সমাজে ছোট বড়,
যতই তোমরা শ্রেনী ভাগ কর,
কুটির হতে দূড়ে সরে গিয়ে বিশাল প্রাসাদ গড়,
হাতপা ও নয়ন মন, মুক্তস্বাধীন মানূষগন,যত পার পাপপূন্যে ঝোলা ভর,
দিকে দিকে,
বিদ্যা ও ধন কিবা ক্ষমতার নিরিখে,
আপন কর্ম্মদোষে পড়ে রাজরোশে হয় সব ব্যাবধান, আসলে বিধাতার চোখে মানূষ হিসাবে সবাই সমান ॥
বিধাতার এই আজব দুনিয়ায়,
কেউ দুধ বেঁচে মদ, কেউ মদ বেঁচে দুধ কিনে খায়,
শুদ্ধ শোধন হতে চায়না কেন মন,
তারে মন্দ পথ দেখায়, বেশী মজা পায়, শুধু চায় নেঁচেগেয়ে ভোগবিনোদন,
এই মন কেমন নিমক হারাম, তবু দেখো তার কত দাম, যার ঘরে থাকে খায়, নাহি শুধরায় করেনা তারে শাসন নিয়ন্ত্রন,  
তবুও করে শ্রেষ্ঠ হবার বড়াই সারাক্ষন, দেখনা সে ঘটায় কত অঘটন, ডুবায় জাতের কূলমান ॥
মানূষ কেন মানূষ হতে চায়না,
তবেকি সে ভাল কাজে সুখ খুঁজে পায়না,
বয়স হলো, তবু কেন বলো, রইল সে এমন কানা,
বুঝাতে গেলে বড় অবহেলে করে হেন ধারনা যেন তার সব জানা,
ভাবে দূষমন, বলে আমি নাকি বেশী কথা বলি অকারন, বুঝি তাই মানেনা মানা,
যদি তা পেতাম, আর আমি পারতাম, সবারে কিনেই দিতাম এমন একটা আজব আয়না,
মাপা যায় মান আর, আপন চোখে দেখা যায় তার নিজের রুপ স্বভাবের চমৎকার চেহারাখান ॥  
কেউ লজ্জায়,
যেন দেহপ্রানে মরে যায়,
লোকের চোখের আড়ালে মোখ লুকাতে চায়,
গায়ে মাখেনা মোখ ঢাকেনা কি আসে যায় যতই লাথি কিল খায়,
হলে সময়, হবে দেখাজানা পরিচয়, লাভলোকসান পানাদেনা ধরে দিলে টান পূরাতন খতিয়ান ॥
কেউ নাই আর কিছু নাই যার,
তাদের তরে কি আছে তোমার সেবা উপকার,
কর বিকাশ কর সর্মপন করে উজার তব সম্ভার সমাহার,
আর এখনই তা করা দরকার, শেষে যদি হয় ভার, যা আছে তোমার সৃজন ও দান কিবা অবদান ॥
সবখানে এমন হোক,  
বলবে কেন নিন্দুক কিবা মূর্খ মন্দ লোক,
কেন সে অপেক্ষায়, আপন আরশিতে আপনি দেখুন আপনার মোখ,
মোখের ভাষায়,
গাত্র বর্ন ও চেহারায়,
ধর্ম কর্ম্ম অনূভবে চিন্তা চেতনায়,
হে মহান, শুধু তুমিই জানো তা কোথায় কেন তোমার এ মহাসৃজনের কি কারন ভেদ বিধান ॥
নাই যার,
অনেক বিদ্যা ও ধন আর,
সুন্দর মোখ ও সুশোভন পোষাকের বাহার,
সে কি হতে পারেনা গুনীজন, হয়তবা এমন যেন সেরাও সবার,
বাহিরে আবরন ভিতরে ভূষন আপন ভোলা খোলা তার সবকটি জানালা দুয়ার,
ক্ষুদ্র আলো আর সমান্য ভালোর নগন্য এক অচেনা অবতার,
হলে গবেষন পাবে সন্ধান হবে আহরন, তবেইতো মন সমাপন হবে যাচাই করা আপনি আপনার মান ॥  
আবু হকে বলে,
তা কেন হয় তাহলে,
অ ভাইজান, সফলে কিবা বিফলে আপনি তবে কোন দলে,
তা যদি জানতে চান, কত অমূল্য ধন ধূলাতে লুটায় পাওয়া যায়, ছুটে যান,
বিনে টাকা পয়সায়, বিবেকের পাঠশালায়, আজ এখনই তাই হেথা গিয়ে নাম লিখান,
কতজনে ধন্য হয়, ঝোলাভরে কুড়িয়ে লয়, জীবনে মরনে হয় চীর ধন্য মহান, লভে তার আলো ভালোটার ক্ষুদ্র মহাদান ॥